১ ঠোঙা ঝালমুড়ির দাম ১ হাজার টাকা: তবুও ঠেলাঠেলি

এক ঠোঙা ঝালমুড়ি। দাম ১০ পাউন্ড। বাংলাদেশী মুদ্রায় এক হাজার টাকার বেশি। তাতে কী! লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন সেই ঝালমুড়ি খেতে। লাইন পড়ে যাচ্ছে। অ্যাঙ্গাস ডেনন নামের এক লোক সরবরাহ করে শেষ করতে পারছেন না। হাসিমুখে একের পর এক খদ্দেরকে খাওয়াচ্ছেন তিনি। বিক্রেতা ব্রিটিশ। পোশাক পরিচ্ছদ সাহেবি। কোট-প্যান্ট ও মাথায় একখানা চেক টুপি পরে তিনি ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন। ওভাল স্টেডিয়ামের বাইরে। বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের কাছে অ্যাঙ্গাস যেন আলাদা এক আকর্ষণ হয়ে উঠেছিলেন।

লন্ডন স্ট্রিট ফুডি জানিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় গিয়েছিলেন অ্যাঙ্গাস ডেনন। তিনি পেশায় রাঁধুনি। বাঙালি খাবার-দাবারের স্বাদ-গন্ধে তিনি মোহিত হয়েছিলেন। এই শহর থেকে ফিরে তিনি ঝালমুড়ির স্টল দেন। তবে তার স্টল-এর নাকি কোনো স্থায়ী ঠিকানা নেই। কখনো এখানে, তো কখনো ওখানে! এই যেমন পৌঁছে গিয়েছিলেন ওভাল স্টেডিয়ামের বাইরে। তার স্টল-এর স্থায়ী ঠিকানা নেই ঠিকই। তবে তার স্টল ঘিরে ভিড় কিন্তু স্থায়ী। অ্যাঙ্গাস-এর ঝালমুড়ি মাখা খেতে হাসিমুখে লাইন দেন সাহেব-মেমসাহেবরা। হাসিমুখে ভিড় সামলান অ্যাঙ্গাস।

স্টার অ্যাঙ্গাস-এর ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস এখন জনপ্রিয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সৌজন্যে তার ঝালমুড়ি বিক্রির একটি ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে। দেখে মনে হবে, কোনো গ্রামের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন তিনি। শশা, পেঁয়াজ কাটা রয়েছে একটি পাত্রে। প্লাসটিকের মগে রাখা জিনিসপত্র। টক পানি দিচ্ছেন মুড়িতে। সঙ্গে মশলা। কাগজ মুড়িয়ে বানিয়ে নিচ্ছেন ঠোঙা। তার পর মুড়ি মেখে হাতা দিয়ে তুলে দিচ্ছেন সেই ঠোঙায়। হাসতে হাসতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ঝালমুড়ি। ওভাল স্টেডিয়ামের বাইরে তিনি যতক্ষণ ছিলেন, ভিড় জমে ছিল তার স্টল-এর বাইরে।
কেউ কেউ তো আবার মজা করে লিখলেন, ”ওনাকে কখন, কোথায় পাওয়া যাবে কেউ বলতে পারে না। সব থেকে ভালো হয়, টুইটার বা ফেসবুক দেখে ওনার অবস্থান জেনে নেয়া।”
বুঝতে পারছেন তো, ঝালমুড়িওয়ালার চাহিদা! -জি নিউজ

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button