জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি সংকটের সমাধান নেই রক্ষনশীল দলে

আগামী সপ্তাহগুলো রক্ষনশীলদের জন্য সিদ্ধান্ত সৃষ্টিকারী। তবে এটা শুধু ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিসমূহ সংক্রান্ত সু গ্রে’র প্রতিবেদনের জন্য হতাশাব্যঞ্জক অপেক্ষার কারনে নয়। যেহেতু আমরা ব্যাপক কর বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির দিকে ধাবিত হচ্ছি, তাই জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের একটি বড়ো ধরনের ক্রসরোডে এসে দাঁড়াবেন প্রধানমন্ত্রী ও চ্যান্সেলর। সত্য হচ্ছে, এটা নিজের নাটকীয়তার দ্বারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত একটি সরকারের জন্য সবচেয়ে খারাপ সময় হতে পারে না। বিগত মাসসমূহব্যাপী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে। একটি সাপ্তাহিক ফুড শপের ব্যয় বেড়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের বিল উর্ধ্বমূখী। প্রত্যেকে ব্যত্যয়টুকু লক্ষ্য করছেন।
সরকারের সামাধান কী? শ্রমিক ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জাতীয় বীমার ব্যয় বেদনাদায়কভাবে বাড়ছে। এটা কীভাবে ফিক্স বা নির্দিষ্ট করতে হবে, তা জানতে একজনকে দেখতে হবে আমরা এখানে কেনো? সরকারের জোড়াতালির ব্রেক্সিট চুক্তি থেকে উদ্ভূত প্রতিবন্ধকতা ও অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এজন্য আংশিক দায়ী। যার ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক ও ভোক্তাদের ঘাটতি, বিলম্ব ও উচ্চমূল্যের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
রক্ষনশীলদের ব্যর্থতা গত এক বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এসব চলছে গত এক দশক যাবৎ। বিগত ১১ বছর ধরে পরিকল্পনা গ্রহনে তাদের অদক্ষতা ও অক্ষমতা দুর্ভাগ্যজনক। উদাহরনস্বরূপ গ্যাস সংকটের কথা উল্লেখ করা যায়। এটা দেশবাসীকে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। অথচ অন্যান্য দেশ আমাদের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে এক্ষেত্রে।
এজন্যই গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এই বলে পূর্বাভাস প্রদান করেছে যে, এই পার্লামেন্টব্যাপী যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি অর্ধেক হারে হবে। জ্বালানী মার্কেট নিয়ন্ত্রনে রক্ষনশীলদের ব্যর্থতা, গ্যাস ঘাটতি বন্ধে তাদের সিদ্ধান্তহীনতা, নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উন্নয়নে বেদনাদায়ক ধীর অগ্রগতি, জনগনের অস্বাভাবিক গ্যাস বিল বৃদ্ধির দিকে ঠেলে দিয়েছে। সর্বোপরি, রক্ষনশীলরা বর্তমানে একটি উচ্চ কর পার্টি, কারন তারা স্বল্প প্রবৃদ্ধির একটি দল।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button