নিউ হোমস বোনাস প্রাপ্তিতে টাওয়ার হ্যামলেটস সারা দেশের মধ্যে শীর্ষে

সরকারের নিউ হোম বোনাস গ্র্যান্টস প্রাপ্তির ক্ষেত্রে টাওয়ার হ্যামলেটস আবারো সারা দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। ২০১৯/২০ সালের জন্য নিউ হোম বোনাস গ্র্যান্টস হিসাবে টাওয়ার হ্যামলেটস লাভ করেছে ১৯ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড। ঘরবাড়ী নির্মানের ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য এবং এখাতকে আরো উৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে টাওয়ার হ্যামলেটস এই বরাদ্দ লাভ করলো।

এই অর্থের বাইরে আরো প্রায় ৩শ হাজার পাউন্ড দেয়া হয়েছে সামর্থ্যরে মধ্যে ঘরবাড়ী বানানোর জন্য। উল্লেখ্য যে, সামর্থ্যরে মধ্যে ঘরবাড়ী বানানোর ক্ষেত্রে টাওয়ার হ্যামলেটস হচ্চেছ সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয়। গত বছর টাওয়ার হ্যামলেটসে মোট ৮শ ৫০টি সামর্থ্যরে মধ্যে বাড়ী বানানো হয়েছে।

মেয়র জন বিগস নতুন কাউন্সিল বাড়ী নির্মানের জন্য কাউন্সিলের ক্যাপিটাল পোগ্রামের অধীনে ৩শ ৩২ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ দিয়েছেন। এর মধ্যে ২শ ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড নতুন বাড়ী নির্মানের জন্য এবং ১শ ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড অস্থায়ী আবাসন হিসাবে ব্যবহারের জন্য বাড়ী ক্রয় বাবদ ব্যবহার করা হবে। টোরী সরকার কতৃক কাউন্সিলের ক্রমাগত বাজেট কাটের বিপরীতে এই বরাদ্দ অব্যাহত রয়েছে। ২০১০ সালে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি শুরু হবার পর সরকার টাওয়ার হ্যামলেটসের ১শ ৪৮ মিলিয়ন পাউন্ড কোর ফান্ডিং কমিয়েছে, শতকরা হিসাবে তা ৬৪%।

সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নিউ হোমস বোনাস প্রাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে মেয়র জন বিগস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস আবোরো নিউ হোমস বোনাস প্রাপ্তিতে শীর্ষ স্থান লাভ করায় মূলত হাউজিংয়ে আমাদের অবদানই স্বীকৃত হলো। মেয়র বলেন, সামর্থ্যরে মধ্যে বাড়ী বানানোর ক্ষেত্রেও আমরা সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছি। আগামীতেও হাউজিং খাতের উন্নয়নে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

জন বিগস আরো বলেন, বাসিন্দারা সবসময়ই আমাদের কাছে নতুন বাড়ী বানানোর জন্য দাবী জানিয়ে থাকেন এবং আমার নতুন বাজেট প্রস্তাবনায় এর প্রতিফলন রয়েছে। সরকারের ব্যাপক বাজেট সংকোচন সত্ত্বেও অতিপ্রয়োজনীয় হাউজিংখাতে আমরা উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রেখেছি। মেয়র জন বিগস ক্রিসমাসের সময় বেড এন্ড ব্রেকফাস্টে কোন হোমলেস পরিবার না থাকায় কাউন্সিলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

ডেপুটি মেয়র এবং হাউজিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলামও হলিডের সময় বেড এন্ড ব্রেকফাস্টে কোন হোমলেস পরিবার না থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সর্বোচ্চচ বোনাস হাউজিং খাতে আমাদের অবদানেরই স্বীকৃতি।

আরেক ডেপুটি মেয়র এবং রিজেনারেশন বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার র‌্যাচেল ব্ল্যাক বলেন, ২ হাজার কাউন্সিল বাড়ী নির্মানের উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। হাউজিং খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমানের বিনিয়োগ আমাদের বাসিন্দাদের সাহায্য করলেও এই সমস্যার পুরোপুরি সমাধানের জন্য টোরী সরকার মোটেই আন্তরিক নয়। সমাধানের পরিবর্তে তারা ক্রমাগত বাজেট কাটের মাধ্যমে আমাদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button