চিকিৎসকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান

বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো রোগীদের পাশে দাঁড়ান

PMপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসকদের প্রতি বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের হাতের স্পর্শ, একটু সহানুভূতি রোগীর মনোবলকে অনেক বাড়িয়ে দেয়’।
চিকিৎসকদের কাছে দেশ ও জাতির অনেক প্রত্যাশা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু চিকিৎসা দেয়াই নয়, আপনাদের মুখের কথাও রোগীকে অনেক সুস্থ করে দেয়। তাই আপনাদের কাছে দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জনস (বিসিপিএস)-এর ১২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। সভাপতিত্ব এবং সমাবর্তন বক্তৃতা করেন বিসিপিএস-এর সভাপতি অধ্যাপক এস এ এম গোলাম কিবরিয়া।
স্বাগত বক্তৃতা করেন বিসিপিএর-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিসিপিএস-এর সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সমাবর্তন গাউন পরে শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ৬ প্রবীণ চিকিৎসকের হাতে বিসিপিএস-এর অনারারী ফেলোশীপ তুলে দেন। এছাড়া ৬ তরুণ কৃতি ফেলোকে স্বর্ণপদক এবং এফসিপিএস ও এমসিপিএস পরীায় উত্তীণ ২০ শিার্থীর হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
ফেলোশীপ ও পদক প্রদানের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিসিপিএর-এর অনারারী সেক্রেটারী অধ্যাপক কনক কান্তি বড়–য়া।
আজকের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট ৯২৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সনদপত্র গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ১৬ দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞকে ফেলোশীপ দেয়া হয়।
সনদপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করব, চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে আর্ত, পীড়িত ও দরিদ্র মানুষের মুখে আপনারা হাসি ফোটাবেন। দেশ ও জাতির সেবায় এবং মানবতার কল্যাণে নিজেদেরকে উৎসর্গ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আপনাদের এ অর্জনের পিছনে দেশের সাধারণ মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। তাই আপনাদের দায়িত্ব সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের প্রতিটি সেক্টরকে নতুন করে ঢেলে সাজান। তিনি স্বাস্থ্যখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দেশের সাধারণ মানুষ যেন উন্নত চিকিৎসা পায়। এ কারণেই দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির জন্য তিনি এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার একটি যুগোপযোগী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছে। প্রায় ১৫ হাজার ৬০০ কমিউনিটি কিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এসব কিনিক থেকে ১২ কোটি গ্রামীণ দরিদ্র মানুষ সেবা গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করতে তাঁর সরকার কাজ করে চলেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে তিনি চিকিৎসকদের সহযোগিতা চান। সূত্র : বাসস।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button