প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান: বর্নাঢ্য জীবনের শেষ সাক্ষাতকার

রশীদ জামীল: ডাক্তার কমপ্লিট বেডরেস্টের সাজেশান দিয়েছেন। তবুও প্রতিদিন একবার মাদরাসায় চলে আসেন। আমরা যখন মুসাকে (সামী রহমান) ফোনদিয়ে বলতাম, হুজুরকে কয়েকদিন বাসায় রাখা যায় না? মুসা বলত, সম্ভব হয় না রশীদ ভাই। আব্বাকে বললে তিনি বলেন, মাদরাসায় গিয়ে আমার ছাত্রদের একবার না দেখলে ভালো লাগে না।

তখন বাইরের কারো সাথেই তেমন কথাটথা বলেন না। কথা বলতে কষ্ট হয়। আমরা যখন কথা বলতে চাইতাম, তখন অবস্থা দেখে কান্না চলে আসত। কী মানুষ আর কী হয়ে গেছেন। যার একটি হুংকারে বাংলাদেশ কেঁপে ওঠত, তিনি আজ এভাবে চুপ করে বসে থাকেন…

তিন ফেব্রুয়ারি ২০১৮ যোগাযোগ করলাম হুজুরের সাথে। কিছু তিতা কিছু মিঠা প্রশ্ন নিয়ে। অসময়েও সময় দিলেন। কথা বললেন। সন্তানরা চেপে ধরলে বাবাদের ‘সময় নাই’ বলে এড়িয়ে যাবার উপায়ও থাকে না…

– আসসালামু আলাইকুম হুজুর। কেমন আছেন? শরীর কেমন?
– ওয়া আলাইকুম আসসালাম। ভালো আছিরে বাবা। তুমি কেমন আছো?
– জি হুজুর, আলহামদুলিল্লাহ। হুজুর কি একটু ফ্রি আছেন? কিছু কথা বলতে চাই।
– হ্যাঁ, বলো। তোমাদের জন্য সময় না থাকলেও তো সময় দিতে হবে।
– হেফাজতে ইসলাম, শাপলা ট্র্যাজেডি এবং শাহবাগ নিয়ে একটি বই লিখছি আমি। এ ব্যাপারে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে চাইছি।
– আমাকে এসবে না টানলে হয় না?
– জি না। কারণ, হেফাজতের আন্দোলন ছিল নাস্তিক-মুরতাদ বিরোধী আন্দোলন। আর নাস্তিক-মুরতাদ-বিরোধী আন্দোলন নিয়ে কথা বললে আপনার নাম অবধারিতভাবেই মানুষের চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
– ঠিক আছে বলো কী জানতে চাও?

শুরু হল কথা-
রশীদ জামীল: হেফাজতের আন্দোলনের সময়ই আপনি বলেছিলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফী এবং বাবুনগরীর সরলতার সুযোগ নিয়ে কে কার সাথে কী সওদা করবে, কেউ বুঝতেই পারবে না’। আমরা সেটাই দেখতে পেয়েছিলাম এবং আসলে কেউ তখন বুঝতেও পারেনি। এখন ২০১৮-তে এসে জানতে চাই, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থাকে কোন চোখে দেখছেন? হেফাজত জাতিকে কী দিলো এবং কী হারালো?

প্রিন্সিপাল হাবীব: দেখো, আমি তখন যা বলেছিলাম, আজও তা-ই বলব। তবে এটাও সত্য যে, বিশাল একটা ট্র্যাজেডির পরও হেফাজতে ইসলামের প্রাপ্তির খাতা কিন্তু শূন্য নয়।

রশীদ জামীল: হেফাজতের রাজনীতিকায়ন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিছু আলেম হেফাজতকে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছিলেন অথবা করতে চাইছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের আমির হিশেবে ব্যাপারটিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করতে চাইবেন?
প্রিন্সিপাল হাবীব: একজন রাজনীতিবিদ অরাজনৈতিক কোনো সংগঠন করতে পারবেন না অথবা কোনো অরাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিতে পারবেন না; ব্যাপারটি মোটেও তেমন নয়। তা ছাড়া হেফাজতকে তুমি অরাজনৈতিক সংগঠন কেন বলবে! হেফাজতের এজেন্ডা কী ছিল? ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, নবি অবমাননাকারীদের শাস্তি দাবি। অন্যকথায় আমর বিল মা’রুফ এবং নাহি আনিল মুনকার। আর ইসলামি রাজনীতির মূলকথা তো এটাই। ন্যায় প্রতিষ্ঠা, অন্যায় রুখে দাঁড়ানো।

রশীদ জামীল: তাহলে যারা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন বলেন, তারা কি ভুল বলছেন!
প্রিন্সিপাল হাবীব: না, তাঁরাও সঠিক বলছেন। এটা আপেক্ষিক একটি ব্যাপার।

রশীদ জামীল: দুটোই একই সাথে সঠিক—কথাটি যদি আরেকটু ব্যাখ্যা করতেন?
প্রিন্সিপাল হাবীব: হেফাজতের দাবিগুলো ছিল ইসলামের মৌলিক দাবি-দাওয়ার অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং সেগুলো অবশ্যই ইসলামি রাজনীতির ভেতরগত দাবি। এই অর্থে হেফাজতকে একটি ইসলামি রাজনৈতিক সংগঠন বলা যায়। আবার যারা বলছেন, হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন; তাদের কথাও সঠিক। এর কারণ, তাঁরা গতানুগতিক নির্বাচনমুখী রাজনীতির কথা মাথায় রেখেই কথাটি বলছেন। হাতে সময় থাকলে আমি জমানায়ে নবুওত ও খোলাফায়ে রাশেদার যুগ থেকে উদাহরণ টেনে কথাটি ব্যাখ্যা করতে পারতাম। এককথায় হেফাজত একটি রাজনৈতিক দল, নবুওতের কর্মসূচি নিয়ে কাজ করা অর্থে। হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন, গতানুগতিক রাজনীতির মতো নয় বলে।

রশীদ জামীল: আমার মূল প্রশ্নটি কিন্তু এখনো রয়ে গেছে। কিছু আলেম হেফাজতকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন। তাঁরা তাঁদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য হেফাজতকে ব্যবহার করতে চেয়েছেন…
প্রিন্সিপাল হাবীব: এই প্রশ্নের জবাব আমার পক্ষ থেকে তুমিই দিয়ে দাও। কারণ, কথাগুলো যেভাবে বলা দরকার, অবস্থানগত কারণে আমি সেভাবে বলতে পারব না। আর তোমরা আমার ছাত্র হিশাবে আমি কোন্ কথা কীভাবে বলি, তা তো জানোই। আমি একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসাবে অন্য দলের নেতৃবৃন্দের নাম ম্যানশন করে অভিযোগমূলক মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। আর আমি বললে পুরোটাই বলি। অর্ধেক গলার নিচে রেখে কথা বলি না।

রশীদ জামীল: তার মানে কি আমি ধরে নিতে পারি, আমরা যে অভিযোগগুলো করে আসছি—সেগুলো অমূলক নয়?
প্রিন্সিপাল হাবীব: তুমি কী ধরে নেবে না নেবে—সেটা তোমার ব্যাপার।

রশীদ জামীল: বাংলাদেশে নাস্তিক মুরতাদ বিরোধী আন্দোলন এবং প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান প্রায় সমার্থক। বিশেষত তসলিমা নাসরিন-বিরোধী আন্দোলনের সূচনা থেকে সফল সমাপ্তিতে আপনিই ছিলেন মূল নায়ক। হেফাজত মাঠে আসার পর আপনাকে আর আগের মতো একক গর্জনে মাঠে নামতে দেখা যায় না। কেন?
প্রিন্সিপাল হাবীব: যুগে যুগে বাতিল শক্তি যখনই মাথাছাড়া দিয়ে ওঠেছে, আল্লাহপাক তাঁর কোনো না কোনো বান্দাকে প্রতিরোধের জন্য দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। আমার কোনো আন্দোলন যদি আল্লাহপাকের কাছে মকবুল হয়ে থাকে, তাহলে আমার জন্য এরচে বেশি কিছু চাইবার নেই।

তোমার প্রশ্নের জবাবে বলব, তখন আমি কথা বলতাম। আমার মাথায় হজরত শায়খে কৌড়িয়া, হজরত গহরপুরী, হজরত শায়খুল হাদিস, শায়খে কাতিয়া, শায়খে গাজিনগরী রাহিমাহুমুল্লাহসহ আমার বুজুর্গানের হাত থাকত। আমি ছোট হয়ে ডাক দিতাম, তাঁরা বড় হয়েও আমার ডাকে চলে আসতেন। সরপরস্তি করতেন। এখন কথা বলার মতো অনেক লোক তৈরি হয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। কাজ চলছে। বিশেষত এই বয়সে এসেও আল্লামা শাহ আহমদ শফী দামাত বারাকাতুহুম নাস্তিক মুরতাদ বিরোধী আন্দোলনে যে পর্যায়ের ভূমিকা রাখছেন; সেটা অবিশ্বাস্য। আল্লাহপাক তাঁর ছায়াকে উম্মতের মাঝে দীর্ঘায়ত করুন।

রশীদ জামীল: কওমি সনদের স্বীকৃতি বিষয়ে যদি জানতে চাই। আপনার মনে আছে কি না জানি না; ১৯৯৬ সালে জামেয়া মাদানিয়ায় আমি ছাত্র থাকাকালে কওমি সনদ এবং কওমি শিক্ষা সংস্কার নিয়ে লিখেছিলাম। আপনি উৎসাহিত করে বলেছিলেন, ‘লিখে যাও। একদিন ফল পাবে। শুধু আকাবির-আসলাফকে দোষারোপ করে কিছু বলো না। কারণ, তাঁরা তাদের সময়ে সঠিক কাজই করে গেছেন। আমরা যদি আমাদের সময়ে আমাদের কাজ করতে না পারি, সেই দায় তো তাদের নয়…”
প্রিন্সিপাল হাবীব: কওমি সনদের ব্যাপারে আমি সবসময়ই ইতিবাচক ছিলাম; এটা তোমরা জানো। আমি আশাবাদী, আমাদের দাবি অনুযায়ী দারুল উলুম দেওবন্দের চেতনার নিরিখে এবং বাংলাদেশের বাস্তবতার আলোকে কওমি সনদের স্বীকৃতি কার্যকর হবে এবং কার্যকর ভূমিকাও রাখবে।

রশীদ জামীল: একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও প্রশ্নটি করতে চাই। ২০০৬-এর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আওয়ামী লীগের সাথে একটি চুক্তি করেছিল। সে সময় আপনি আপনার এক বক্তব্যে আওয়ামী লীগের নৌকাকে নুহ আলাইহিস সালামের কিশতির সাথে তুলনা করেছিলেন! কথাটি যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন।
প্রিন্সিপাল হাবীব: প্রথম কথা হলো, সেটি ‘আওয়ামী লীগের সাথে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের চুক্তি’—এই কথাটি সঠিক নয়। সেটি ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মধ্যে সম্পাদিত একটি নির্বাচনী সমঝোতা স্মারক। দলের সাথে দলের চুক্তি আর কোনো বিষয়ে সমঝোতা; ব্যাপার দুটির মাঝে আকাশ পাতাল ব্যবধান আছে।

দ্বিতীয়ত পাঁচটি বিষয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই আলোচিত সেই সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষে তৎকালীন মহাসচিব আবদুল জলিল এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষে তৎকালীন মহাসচিব মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী স্বাক্ষর করেছিলেন। কী ছিল সেই সমঝোতা স্মারকে?

‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এই মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ হচ্ছে যে, নিম্নবর্ণিত পাঁচটি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে আসন্ন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করবে এবং মহান আল্লাহ তাআলা বিজয় দান করলে এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে।
১. পবিত্র কুরআন, সুন্নাহ ও শরিয়ত-বিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না।
২. কওমি মাদরাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
৩. নিম্নবর্ণিত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হবে :
ক. হজরত মুহাম্মাদ সা. সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি।
খ. সনদপ্রাপ্ত হক্কানি আলেমগণ ফাতওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করেন। সনদবিহীন কোনো ব্যক্তি ফতোয়া প্রদান করতে পারবে না।
গ. নবি-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা ও কুৎসা রটনা করা দ-নীয় অপরাধ।’

এই দাবিগুলো কি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নিজস্ব এবং দলীয় কোনো এজেন্ডা? এর সবগুলোই কি বাংলাদেশের আহলে হক ওলামায়ে কেরামের দাবি নয়? আমি তো অবাক হয়েছিলাম সমালোচনাকারীদের সমালোচনার ধরণ দেখে! দলগতভাবে নির্বাচনী সমঝোতা করল একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু তারা তাদেরকে ১৫টি আসন ছেড়ে দিতে হবে, এক-দুইটা মন্ত্রিত্বের পদ দিতে হবে, এই দিতে হবে সেই দিতে হবে—এসব না চেয়ে চাইল এমন কিছু জিনিস, যেগুলো সকলের প্রাণের দাবি। উচিত তো ছিল এজন্য বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসকে ধন্যবাদ জানানো। কিন্তু উল্টা সমালোচনা শুরু করা হলো। ব্যাপারটি ছিল দুঃখজনক।

রশীদ জামীল: বেয়াদবি মাফ করবেন হুজুর। সত্য বলার এবং সত্য জানতে চাওয়ার সৎসাহস আপনার কাছ থেকেই পেয়ে এসেছি। কোনো একদিন আপনি আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি তোমার মতো করেই লিখে যাবে। কে কী বলল, কে খুশি আর কে নারাজ হলো—এটা তোমার ভাববার দরকার নাই। শুধু আকিদা ও নীতির প্রশ্নে কখনো আপস করো না’। আপনার দেওয়া এই দীক্ষা থেকেই বলছি। আমার মূল প্রশ্নের জবাব কিন্তু পাইনি! প্রশ্ন ছিল আওয়ামী লীগের নৌকা এবং নুহ নবির কিশতি…
প্রিন্সিপাল হাবীব: তোমার সৎসাহসের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। উপরে বর্ণিত আমার কথাতেই তোমার প্রশ্নের জবাব ছিল। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সেই পাঁচদফার সবগুলোই ইসলামের মৌলিক কথামালার অন্তর্গত। আওয়ামী লীগ সেগুলো মেনে নিয়েই তাতে স্বাক্ষর করেছিল।
হজরত নুহ আলাইহিস সালামের কিশতি ছিল ইমানদারদের আপদকালীন অস্থায়ী ঠিকানা। আওয়ামী লীগ আমাদের যে দাবিগুলো মেনে নেওয়ায় সম্মত হয়েছিল, সেগুলো মেনে নিলে নিঃসন্দেহে তাদের নৌকা হত ইমানদারদের জন্য একটি আপদকালীন অস্থায়ী বা সাময়িক ঠিকানা। আর ঠিক এই কথাটিই আমি বলেছিলাম। আমার এই বক্তব্যকেই কাটছাঁট করে কিছু মানুষ জল ঘোলা করার চেষ্টা করেছিল।

রশীদ জামীল: শেষ প্রশ্ন, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ছেড়ে দিয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামে যোগ দিয়েছেন। এবং যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসকে একটি মরা লাশের সাথে তুলনা করে বলেছেন, ‘আমি লাশ পাহারা দেব কেন’?—কমেন্ট প্লিজ?
প্রিন্সিপাল হাবীব: আমার সাবেক সতীর্থ মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী সম্বন্ধে আমার কমেন্ট হলো ‘নো কমেন্ট। তোমার কি আর কোনো প্রশ্ন আছে’?

রশীদ জামীল: জি না। দুআর দরখাস্ত। আসসালামু আলাইকুম।
প্রিন্সিপাল হাবীব: ওয়া আলাইকুম আসসালাম। ভালো থেকো। আমার জন্যও দুআ করো।

-শ্বাসের বহুবচন, পৃষ্ঠা-৩৭-৪২

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button