অবশেষে বউ পেলো সেই চিংড়ি জামাই!

বিয়ের ভোজে চিংড়ি মাছ দেয়া নিয়ে তুলকালামের পর কনের কাবিনের তিন লাখ টাকা নগদে পরিশোধ করে আগামী শুক্রবার নতুন বউকে ঘরে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে সেই চিংড়ি নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য শ্বশুরের উপস্থিতিতে মুরুব্বিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন সেই চিংড়ি জামাই। আনোয়ারার বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ছেলে ও মেয়ে একই উপজেলার দু’টি আলাদা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাই দুই ইউনিয়ন “বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী ও বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত থেকে দুই পক্ষকে মিলিয়ে দিয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ওই কনে ও বর পক্ষকে নিয়ে চলে এক সালিশি বৈঠক। প্রায় ৩ ঘন্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কনের কাবিননামার মোহরানার (দেনমোহর) বাইরে বিয়ে অনুষ্ঠানে বিবাদের জন্য কনের নিরাপত্তা হিসেবে আরও ৩ লাখ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হবে বর আলমগীরকে। এই টাকা নগদ প্রদান করেই আগামী শুক্রবার কনেকে ঘরে নিয়ে যাবেন তিনি।

এছাড়া আগের কাবিননামা অনুযায়ী ৭ লাখ টাকা দেনমোহর ও স্বর্ণালংকার বাবদ ৮০ হাজার টাকা উসুলের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ১১নং জুইদন্ডী ইউনিয়নের ৮নং খুরুসকুল গ্রামের হাজী বাড়ীর আবদুল মোনাফের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীরের (৩০) সাথে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। ১৮ দিন আগে আকদ অনুষ্ঠানে দেনমোহর ছিল ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।

গত বৃহস্পতিবার বটতলী আলভী ম্যারেজ গার্ডেনে প্রীতিভোজের আয়োজন ছিল।

মধ্যপ্রাচ্যের আমিরাত প্রবাসী বরের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে কনেপক্ষ ৫০০ বরযাত্রীসহ প্রায় ৮০০ লোকের প্রীতিভোজের আয়োজন করে। মুরগির রোস্ট, খোরমাসহ নানা উপাদেয় আইটেমে ভোজের আয়োজন করা হয়। কিন্তু খাবার আয়োজনে চিংড়ি মাছ না থাকায় বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আলমগীর।

একপর্যায়ে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিয়ের দিন মেয়ে পক্ষ কনেকে তুলে দিতে অপারগতা জানালে সোমবার সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button