তুর্কী খেলাফত যেভাবে অস্তমিত হল

মনসুর আহমদ: ১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে হালাকু খান কর্তৃক বাগদাদ নগরী ধ্বংসের পর সুন্নী মুসলিম বিশ্ব দুই বছরের জন্য খেলাফত বিহীন ছিল। ১২৬১ সালে মামলুক সুলতান বেইবারস কায়রোতে আব্বাসীয় খেলাফতের আধ্যাত্মিক কর্তত্ব চেতনা জাগ্রত করেন। বাগদাদ ধ্বংস কালে একদল মসুলমান ঘটনা ক্রমে বেঁচে যায়। মামলুক খান এই দলের নেতা আবুল কাশেম আহমদ কে মিশরে আহ্বান জানান এবং তাঁকে মুনতাসির বিল্লাহ উপাধিতে ভ’ষিত করে খলিফা হিসেবে ঘোষণা প্রদান করেন। মিশরে মুনতাসির ও তাঁর অধঃস্তন পুরুষেরা প্রায় আড়াই শত বছর ধরে সুন্নী মুসলমানদের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু খলিফা সলিম মামলুকদেরকে ১৫১৭ খ্রিষ্টাব্দে রিদানিয়া যুদ্ধে পরাজিত করে মিশর দখল করেন। মিশর দখলের পর সুলতান সলিম শেষ আব্বাসিয়া খলিফা থেকে ধর্মীয় নেতৃত্বের দায়িত্ব লাভ করেন। সেই সময় থেকে মুসলিম বিশ্বের সুন্নী মুসলমানগণ তুর্কী সুলতানদেরকে খলিফার নামে প্রধান ধর্মীয় নেতা হিসেবেও স্বীকৃতি প্রদান করে।

আব্বাসীয়া খেলাফত বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বহু ক্ষুদ্র রাষ্ট্র এবং লোকায়াত্ব শাসকের উদ্ভব হয়। ষোড়শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে উসমানীয় সুলতানগণ ইউরোপে তাদের প্রভুত্ব দৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু ষোড়শ শতাব্দীর পর ঐতিহাসিক বির্তনে খ্রিষ্টান জগত ও ইসলামী জগতে ভিন্ন ভিন্ন ভাবধারার সৃষ্টি হয়। এক সময় খ্রিষ্টান জগতের মধ্যে অশান্তির জন্য তুর্কীদেরকে দায়ী মনে করা হয়। তুর্কীদের বাদ দিয়ে খ্রিষ্টান জগতের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। পরিকল্পনা প্রণয়ন কারী কার্ডিনাল আল বেরনী মনে করতেন যে, স্থায়ী শান্তি পরিকল্পনাকে বাসস্তবায়িত করার পূর্বে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র গুলোকে একত্রিত হয়ে ইউরোপ থেকে তুর্কীদেরকে বিতাড়িত করতে হবে। কার্ডিনাল তার “ শান্তি” সম্পর্কীয় সাধারণ পরিকল্পনায় বলেন : “মনে হয় খ্রিষ্টান ইউরোপের সংগঠন কণ্যাণের জন্যই উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে তাদের ভূ-খণ্ড রক্ষার্থে জার্মানীর সম্রাটদের খুব বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত এবং সেদিকে রাজ্য বিস্তারের চেষ্টা করা উচিত। সব খ্রিষ্টান রাজাদেরকে একত্রিত করে তুর্কী সাম্রাজ্য জয় করা সম্ভব হবে।…

উনিশ শতকের প্রারম্ভে সুলতান সলীম শাসন ব্যবস্থার সংস্কার, আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার, নব্য পদ্ধতিতে সামরিক সংগঠন ও আধুনিক পাশ্চাত্য যুদ্ধাস্ত্রেও প্রচলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু ইসলামের শিক্ষা ও তার ভাবধারা সম্পর্কে অজ্ঞ ও মুর্খ সূফী সম্প্রদায় এ¦ং সংকীর্ণমনা আলেম সমাজ ধর্মের নামে এই সংস্কার কর্যের বিরোধিতা করলেন। এমনকি শায়খুল হাদিস আতা উল্লাহ আফেন্দী ফতোয়া দিলেন যে, বাদশাহ কোরআন বিরুদ্ধে কাজ করে। অবশেষে ১৭০৭ সালে সলীমকে পদচ্যুত করা হল।

সলীমের পরে সুলতান মামুদ সংস্কার কার্যের চেষ্টা করলেন। এ বারেও আলেম সম্প্রদায় ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ তার বিরোধিতা করলেন। অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম কওে ১৮২৬ সালে মাহমুদ আধুনিক সামরিক সংগঠন এর নীতি চালু করতে সক্ষম হলেন। কিন্তু আলেম সম্প্রদায় তার বিরোধিতা করেই চললো। এই যুগেই তুরস্কের চিন্তাশীল লোকদের মধ্যে নিজেদের জাতীয় অধঃপতন সম্পর্কে সাধারণ অনুভূতি সৃষ্টি হয়। তারা সুলতান আবদুল মজিদের আমলে শাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও সামরিক বাহিনী পুনর্গঠন করলেন। সুলতারন আবদুল মজিদেরর পদচ্যুতি (১৮৭৬) পর্যন্ত এই দলটি ভেতরে ও বাইরে অসংখ্য বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও জাতীয় পুনর্গঠনের কাজ উত্তম রূপে সম্পন্ন করলেন। কিন্তু সুলতান আবদুল হামিদ গতি পথই বদলে দিলেন। ১৮৭৬ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত এই স্বার্থপর সুলতান ব্যক্তিগত ক্ষমতার মোহে তুর্কী জাতির মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উন্নতির পথ রোধ করে।

হামিদীয় আমলের (১৮৭৬- ১৯০৯) শেষ নাগাদ নতুন যুব সমাজ পাশ্চাত্যের গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ দ্বারা উদ্ভুদ্ধ হয়। এরা আশা করেছিল যে , পাশ্চাত্যের ভাবধারা গ্রহণ করলে ওসমানীয রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। উদার পন্থীগণ বলতে লাগল যে, আধুনিক রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে ধর্ম অচল হয়ে গেছে এবং জাতীয়তাবাদই কেবল এর ভিত্তি হতে পারে। এ অন্দোলন গোপনে দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন কারীরা সুলতান আবদুল হামীদকে ১৮৭৬ সালের অস্থায়ী শাসনতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করতে বাধ্য করে। সুলতান আবদুল হামিদের সিংহাসন চ্যুতির (১৯০৯)সঙ্গে সঙ্গে প্যান -ইসলাম যুগের অবসান হয়। নব্য তুর্কী দলের নতুন শাসনে জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃত হয় এবং মন্ত্রীসভা কর্তৃক পরিচালিত দায়িত্বশীল সরকারের হাতে ক্ষমতা প্রদান করা হয় যে , ধর্মের ভিত্তিতে কোন পার্থক্য নির্দেশ করা চলবে না। এবং আইনের চেখে সব নাগরিকই স্বাধীন ও সমান বলে বিবেচিত হবে।

ইসলামী রাষ্ট্র থেকে জাতীতাবাদী রাষ্ট্রের ভিত্তিতে এই পরিবর্তন ইসলামী আইনের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক যুগের সূচনা করে। কারণ জাতীয়তাবাদই পশ্চিমা চিন্তাধারা থেকে জন্ম নিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্ম দেয় এবং জাতিই যে ক্ষমতার উৎস- এ নীতির প্রবর্তন করে। ধর্মীয় ভিত্তি পরিত্যাগ করে জাতীয় ভিত্তি গ্রহণ করায় উসমানীয় সাম্রাজ্যের ধ্বংসের সূত্রপাত হল। উসমানীয় শাসন আমলে দারুল ইসলামে সঙ্গবদ্ধ সমাজ গড়ে উঠেছিল। জাতীয়তাবাদ এ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করাতো দূরের কথা তাকে বিচ্ছিন্ন ও দুর্বল করে ফেলে। দারুল ইসলামের বিচ্ছিন্নতা আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। জাতীয়তাবাদ এসে তাকে অরো ত্বরান্বিত করে দেয়। জাতীয়তাবাদের প্রভাবে নতুন রাষ্ট্রগুলোও আইনের ভিত্তি রূপে ইসলামকে পরিত্যাগ করলো। তুরস্ক যেমন সম্পূর্ণ ভাবে শরিয়ত থেকে দূরে চলে গেল,তেমনি আরবীয় উপদ্বীপে শরিয়ত একই অবস্থায় রয়ে গেল। উর্বর হেলালী দেশ গুলো (সিরিয়া, লেবানন, জর্দান, ইরাক ও ফিলিস্তিন ও মিশর ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে গণ্য করে ইসলামের প্রতি মৌলিক আনুগত্য জানিয়ে তারা মধ্যম পন্থা অবলম্বন করলো। একই সঙ্গে এরা জাতীয় সরকার গঠন করে এবং বৈদেশিক সম্পর্ক নির্ণয়ের ব্যাপারে পাশ্চাত্যের নিয়ম কানুন অনুসরণ কর। বর্তমান রাষ্ট্র বিজ্ঞানের আওতায় এসব রাষ্ট্র সম্পূর্ণ রূপে জাতি পূঞ্জের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

এ ভাবে যখন প্রথম মহাযুদ্ধের পূর্বেই তুরস্কে আইন ও ক্ষমতার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য ভাবধারা গৃহিত হল তখন পশ্চিমা জগত তাদের পূর্ব পরিকল্পিত শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তুর্কী সাম্রাজ্যের উপর ঝুঁকে পড়ে। আমরা দেখতে পাই ১৯১১ সালে ইটালী তুরস্ক সা¤্রাজ্য ভুক্ত ত্রিপলী আক্রমণ করে। ১৯১২ সালের অক্টোবর মাসে বলকানের খ্রিষ্টান প্রজাগণ তুর্কী সুলতানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ফলে মাকদুনিয়া ও আলবেনিয়া সহ তুরস্কের সকল ইউরোপীয় ভূ-খণ্ড তার হস্তচ্যুত হয়ে পড়ে। বৃটিশ সরকার তুরস্কের বিপক্ষে পশ্চিমা শক্তিবর্গকে সমর্থন করে। বৃটিশ মিত্র শক্তি বলকান বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে।

১৯১৪ সালের জুলাই মাসে বৃটিশভুক্ত মিত্রপক্ষ এবং জার্মানীভুক্ত বিরুদ্ধ পক্ষের মধ্যে প্রথম বিশ^যুদ্ধ বাঁধে। ঐ বছর নভেম্বর মাসে তুরস্ক জার্মানীর পক্ষে যোগদান করে। এই যুদ্ধ ইউরোপ থেকে সমগ্র বিশে^ ছড়িয়ে পড়ে। বৃটিশ কর্তৃপক্ষ ফ্রান্স ও রাশিয়ার সমর্থনে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। বৃটিশ কর্তৃপক্ষ যুদ্ধে বেগতিক দেখে ভারতীয়দের সাহায্য কামনা করে এবং ভারতীয় মুসলমানদের কাছে ওয়াদা করে যে, যুদ্ধে তাদের পক্ষ থেকে মুসলমানদের ধর্মীয় স্থান গুলির কোন ক্ষতি সাধন করা হবে না। তুরস্ক সা¤্রাজ্য ও খলিফাদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা হবে।

যুদ্ধে তুরস্ক কোন পক্ষ সমর্থন করবে এ বিষয় তুরস্ক কর্তৃক কোন সিদ্ধান্ত গৃহিত হওয়ার পূর্বেই ‘লন্ডন টাইমস’ পত্রিকা শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশ করে। তাতে পরামর্শ দেয়া হল যে, তুরস্ক যেন কোন পক্ষেই অবতীর্ণ না হয়। এমনকি গ্রীসের দিকে যেন তার পদচারণাও না হয়।

১৯১৮সালের নভেম্বর মাসে ১ম বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে। সে বছর অক্টোবরে তুরস্ক মিত্র শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছিল। কনস্টানটিনোপল তাদের হাত ছাড়া হয় এবং তারা যুদ্ধ বিরতির আবেদন করে। যুদ্ধ ক্ষেত্রে বৃটিশ গভর্ণমেন্টভূক্ত মিত্র শক্তি তাদের পূর্ব প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তুরস্ক থেকে কেড়ে নেয়া অঞ্চল গুলি নিজদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। ১৯১৯ সালের জানুয়ারীতে প্যারিসে অনুষ্ঠিত মিত্রশক্তি বর্গের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে মিত্রশক্তি বর্গ তুরস্ককে ছিন্ন ভিন্ন করার ব্যবস্থা করে। সিরিয়া, ইরাক, আরব, মিশর এ সবই তুরস্কের হাত ছাড়া হয়ে যায়। এতেও পশ্চিমা শক্তিবর্গ খুশি হতে পারেনি। বিশ্ব যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পরেও বৃটিশের সহায়তায় গ্রীকরা ১৯১৯ সালের মে মাসে বিনা উস্কানিতে পর্যদুস্ত তুরস্কের উপর চালিয়ে স্মার্ণা দখল করে নেয় এবং আনাতোলিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।

যুদ্ধ শেষে মিত্রশক্তি সেভর চুক্তির (১৪ ই মে ১৯২০) অধীনে পূর্ব ওয়াদা ভঙ্গ করে তুরস্ক রাজ্যের আত্মসাৎ শুরু করে। ১৯২০ সালের ১০ই আগষ্ট তুরস্কের সাথে মিত্র শক্তির ‘ সেভর চুক্তি’স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধির শর্তানুসারে মিশর, সুদান, সাইপ্রাস, ট্রিপোলিটানিয়া , মরক্কো ও তিউনিসিয়া প্রভৃতি স্থানের উপর অধিকার ত্যাগ করতে তুরস্ক বাধ্য হলো। স্মার্ণা ও দক্ষিণ পশ্চিমে এশিয়া মাইনরকে সাময়িক ভাবে গ্রীসের আধিপাত্যাধীনে দেয়া হলো। ইটালিকে ইজিয়ান সাগরস্থ কয়েকটি দ্বীপ এবং থ্রেসের এক অংশ দেয়া হলো। তুরস্ক আর্মেনিয়ার স্বাধীনতা স্বীকার করতে বাধ্য হলো। দার্দানোলস ও বোসফরাস প্রণালীদ্বয় আন্তর্জাতিক ভাবে নিরপেক্ষ জলপথ হিসেবে ঘোষিত হল। এক সময়ের বিশাল অটোম্যান সা¤্রাজ্য কনস্টানিপল ও আনাতোলিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ হলো।

তুর্কী সুলতান ৬ষ্ট মুহাম্মাদ ছিলেন মিত্র শক্তির ক্রীড়ানক। তার প্রতিনিধি দল শেভর চুক্তি স্বাক্ষর করলেন। কিন্তু তা যখন আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমোদনের জন্য তুরস্কে পাঠান হল তখন মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী দল ঐ চুক্তি অনুমোদনে বাধা দিলো। শেষ পর্যন্ত লসেন চুক্তির (জুলাই – ১৯২৩)মাধ্যমে তুরস্ক সেভর চুক্তির পরিবর্তনে সক্ষম হয়।
১৯২২ সালের নভেম্বর মাসে তুরস্ক তাদের জাতীয় পরিষদে সুলতান খলিফা ৬ষ্ঠ মুহাম্মাদকে পদচ্যুত করে এবং তদস্থলে আবদুল মজীদকে (১৮৬৮-১৯৪৪) সুলতান না করে খলিফা নির্বাচিত করে তাকে পার্থিব ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বিহীন খলিফা বলে ঘোষণা করে। একই সময় আঙ্কারা জাতীয় পরিষদ তুরস্ককে প্রজাতান্ত্রিক দেশ বলে আখ্যায়িত করে। কিছু দিনের মধ্যেই আঙ্কারার কর্তপক্ষ দেখতে পেল যে খলিফা আবদুল মজীদ তুরস্কের ঘরোয়া ও বৈদেশিক রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন এবং তুরস্কের ব্যবস্থাপনা পরিষদে প্রতিদ্বন্দিতা করার পাঁয়তারা করছেন। তাই কামালপন্থী সরকার ১৯২৪ সালের ৩রা মার্চ অইন করে খিলাফত রহিত করেন এবং খলিফাকে স্বপরিবারে কারারুদ্ধ করে।

এ ভাবে যে খেলাফত ব্যবস্থার পত্তন হয়েছিল হজরত আলীর ইন্তেকালের পর হজরত হোসাইন ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জোবায়েরের শাহাদতের মধ্য দিয়ে; সেই খেলাফতের শেষ নাম টুকুও মুছে গেল খ্রিষ্টান পরাশক্তির চক্রান্তের মধ্য দিয়ে তুর্কী খেলাফতের শেষ চিহ্ন ধ্বংসের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button