বাংলাভাষায় মর্সিয়া সাহিত্য

ড. এম এ সবুর: ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে ইরাকের কারবালায় মহানবি (সা)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের সাথে ইয়াজিদের যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে ইমাম হোসেন সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। হোসেন পরিবারের শাহাদাতের বিয়োগান্তক এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক শোকগাঁথা রচিত হয়েছে। কারবালায় শহীদ ইমাম হোসেন ও অন্যান্য শহীদগণের উদ্দেশ্যে লিখিত শোকগাঁথা ও প্র্রশংসামূলক কবিতা মর্সিয়া সাহিত্য নামে অভিহিত হয়েছে। এ সব মর্সিয়া সাহিত্য সৃষ্টির পিছনে ধর্মীয়ভাব কাজ করেছে। অর্থাৎ নবি বংশের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা এবং তাদের শত্রু পক্ষের নিন্দা মর্সিয়া সাহিত্যের মূল উপজীব্য হয়েছে। মোঘল শাসনামলের (১৫৭৫-১৭৫৭ খ্রি.) আগেই বাংলা সাহিত্যে মর্সিয়ার উদ্ভব হলেও মোঘল শাসনামলে তা ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছে। আর এ ধারা আধুনিক বাংলা সাহিত্যকাল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম মর্সিয়া কাব্য শেখ ফয়জুল্লাহর জয়নবের চৌতিশা (১৫৪৫ খ্রি.)। ইরাকে কারবালার বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে রচিত হয়েছে এ কাব্য। জয়নবের চৌতিশা কারবালা যুদ্ধ সংক্রান্ত বড় কাব্য না হলেও এটি বিশেষ আঙ্গিকে ইসলামী চেতনায় রচিত হয়েছে। এ কাব্যে শেখ ফয়জুল্লাহ ইমাম হোসেনের নির্মম শাহাদাৎবরণ ও কারবালার করুণ কাহিনী চিত্রিত করেছেন। এতে বাংলায় মর্সিয়া সাহিত্যের প্রাচীনতম রূপ বিকশিত হয়েছে। তাঁরই পথ ধরে কারবালার ঐতিহাসিক বিয়োগান্তক করুণ কাহিনী অবলম্বনে চট্টগ্রামের অধিবাসী কবি দৌলত উজীর বহরম খান জঙ্গনামা রচনা করেছেন।

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ মর্সিয়া কাব্য মক্তুল হোসেন। এ কাব্যের রচয়িতা চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার জোবরা গ্রামের অধিবাসী মুহম্মদ খান (১৫৮০-১৬২০ খ্রি.)। এ কাব্যটি ফারসী কাব্য মক্তুল হোসেন-এর ভাবানুবাদ হলেও এতে কবির নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ও কল্পনার প্রাধান্য আছে। কারবালা প্রান্তরে ইমাম হোসেন নির্মমভাবে শহীদ হলে কী করুণ অবস্থা হয়েছিল কবি কল্পনায় তা বর্ণিত হয়েছে এভাবে,

স্বর্গমর্ত্য পাতালে উঠিল হাহাকার।
কান্দন্ত ফিরিস্তা সব গগণ মাঝার ॥
বিলাপন্ত যতেক গন্ধর্ব বিদ্যাধর।
অর্শিকুর্সি লওহ আদি কাঁপে থরথর ॥
অষ্ট স্বর্গবাসী যত করন্ত বিলাপ।
এ সপ্ত আকাশ হৈল লোহিত বরণ।
কম্পমান সূর্য দেখি হোসেন নিধন।
ক্ষীণ হৈল নিশাপতি আমীরের শোকে ॥
মঙ্গল অরুণ বর্ণ রক্ত মাখি মুখে।
বুধে বুদ্ধি হারাইল গুরুএড়ে জ্ঞান ॥
শুনি কালা বস্ত্র পিন্ধে পাই অপমান।
জোহরা নক্ষত্র কান্দে তেজি নাট গীত।
ফাতেমা জোহরা কান্দে শোকে বিষাদিত।
সমুদ্রে উঠিল ঢেউ পরশ আকাশ।
কম্পিত পর্বত ছাড়ে সঘন নি:শ্বাস ॥

আসহাব নামা, দজ্জাল নামা, কিয়ামত নামা অনুলিখিত গ্রন্থগুলোও মক্তুল হোসেন কাব্যের অন্তর্গত বলে ধারণা করেছেন বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক আব্দুর রহমান খাঁ। তবে ড. এনামুল হকের মতে, মক্তুল হোসেন কাব্যটি ফাতিমা, আসহাবনামা, হাসান, মুসলিম, যুদ্ধ, হুসেন, শ্রীদূত, অলীদ, এজিদ এবং অন্তপর্ব মোট এগারো পর্বে বিভক্ত। কারবালার ঐতিহাসিক প্রান্তরে হাসান পুত্র কাশেম নিধন ও কাসেমের সদ্য বিবাহিতা পতœী সখিনার বিলাপের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে কাসেমের লড়াই কাব্যে। এ কাব্যের রচয়িতাও মুহম্মদ খান।

কারবালার ঐতিহাসিক বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে খ্রিষ্টীয় সতেরো শতকের শেষ দিকে কাসেমের লড়াই রচনা করেছেন শেখ শেরবাজ চৌধুরী। এ কাব্যের মূল বিষয়বস্তু কাসেম ও সখিনার বিবাহ প্রসঙ্গ এবং কারবালা প্রান্তরে ইমাম হোসেন ও কাসেমের শৌর্য-বীর্য এবং তাঁদের শাহাদৎ বরণের ঘটনা। আঠারো শতকের কবি জাফর কারবালার মর্মান্তিক ঐতিহাসিক ঘটনা অবলম্বনে রচনা করেন শহীদ-ই-কারবালা ও সখিনার বিলাপ। এ কাব্য দু’টি মর্সিয়া সাহিত্য শ্রেণীর অর্ন্তগত। আঠারো শতকের প্রধান কবি রংপুরের ঝাড়বিশিলা গ্রামের হেয়াত মাহমুদ রচনা করেন জঙ্গনামা (১৭২৩ খ্রি.)। বলা হয়ে থাকে, একদা জিব্রাইল (আ.) হযরত মুহম্মদ (স.) কে জানান যে তাঁর প্রিয় দৌহিত্র হাসান-হোসেন রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে শাহাদৎ বরণ করবেন। এরই সূত্র ধরে বিষ প্রয়োগে হযরত হাসান হত্যার পরিকল্পনা, কারবালার শুষ্ক মরুপ্রান্তরে তৃষ্ণাকাতর ইমাম হোসেনের নির্মম হত্যাকান্ড, হোসেনের পুত্র কাসেম-সখিনার বিবাহ, কাসেম হত্যাকান্ড এবং কাসেমের স্ত্রী সখিনার অকাল বৈধব্য ইত্যাদি নির্মম কাহিনী হেয়াত মাহমুদের জঙ্গনামার মূল উপজীব্য। কারবালার মর্মান্তিক হৃদয় বিদারক ঘটনাÑ যা সারা বিশ্বের মুসলমানদেরকে শোকাহত করেছে। সে ঘটনাই হেয়াত মাহমুদের হৃদয়স্পর্শী বর্ণনায় উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠেছে এ কাব্যে। এতে ইসলামের প্রতি কবি মনের অনুভূতি ব্যক্ত হয়েছে। বাংলা মর্সিয়া সাহিত্য ধারায় ষোল শতকের মুহম্মদ খানের মক্তুল হোসেন কাব্যের পর হেয়াত মাহমুদের জঙ্গনামা একটি পূর্ণকাব্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এ কাব্যে কারবালা প্রান্তরে মর্মান্তিক হত্যাকান্ড ও যুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে কবি বলেন,

পাইকে পাইকে যুঝে পদাতি পদাতি
স্বারে স্বারে বিষম যুদ্ধ অতি।
তার্জিয়া গর্জিয়া যুঝে আপনার বলে
শতে শতে মুন্ড কাটি পড়ে মহীতলে।

আঠারো শতকের বাংলা মর্সিয়া সাহিত্য ধারার অপর একজন কবি হামিদ। তিনিও মুহম্মদ খান ও হেয়াত মাহমুদের ন্যায় কারবালার ঐতিহাসিক মর্মান্তিক ঘটনা অবলম্বনে রচনা করেন সংগ্রাম হুসন (১৭৪০ খ্রি.)।

মূলত মোঘল আমলে (১৫৭৬-১৭৫৭ খ্রি.) রাজ পোষকতায় বাংলাভাষায় মর্সিয়া সাহিত্য ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এ সময়ের বাংলা মর্সিয়া কাব্যের কবিগণ উৎকৃষ্ট মর্সিয়া রচনার মাধ্যমে এ শাখাকে পরিপুষ্ট করেন। বিশিষ্ট মর্সিয়া সাহিত্য গবেষক ড. গোলাম সাকলায়েন মোঘল শাসনামলকে বাংলা মর্সিয়া সাহিত্যের স্বর্ণযুগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

পূর্বসূরীদের অনুসরণ করে ইংরেজ আমলে (১৭৫৭-১৯৪৭ খ্রি.) বাংলা ভাষার মুসলিম কবিগণ মর্সিয়া কাব্য রচনা অব্যাহত রাখেন। বাংলায় ইংরেজ শাসনামলে কারবালার মর্মান্তিক যুদ্ধ কাহিনী নিয়ে জঙ্গনামা (১৭৯৪ খ্রি.) রচনা করেন ফকির গরীবুল্লাহ। এ পুঁথি কাব্যে কারবালা প্রান্তরে রাসূলের দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন ও তাঁর পরিবারবর্গের নির্মম হত্যাকান্ড সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ইমাম হোসেনের শাহাদতের হৃদয় বিদারক দৃশ্য সম্পর্কে কবি তার কাব্যে বলেন,

যখন বসিল কাফির ছাতির উপরে।
ছের জুদা কৈল যদি ইমামের তরে ॥
আরস কোরস লওহ কলম সহিতে।
বেহেস্ত দোজখ আদি লাগিল কাঁদিতে ॥
আসমান জমিন আদি পাহাড় বাগান।
কাঁপিয়া অস্থির হইল কারবালা ময়দান ॥
আফতাব-মাহতাব তারা কালা হইয়া গেল।
জানওয়ার হরিণ পাখি কাঁদিতে লাগিল ॥
বালক মায়ের দুধ না খাই শোকেতে।
নাওমেদ রহে সবে এনাম জুদায়েতে ॥
বাঘ-ভাল্লুক কাঁদে আর মহিষ-গন্ডার ॥
বাচ্চারে না দেয় দুধ কাঁদে জারে জার।
গাই নাহি দুধ দেয় বাছুর লাগিয়া।
বাছুর না খাই কিছু দেলে শোক পাইয়া ॥
মৌমাছি ভ্রোমর কাঁদে হইয়া উধাও।
কাঁকে কুম করে কাঁদে গৃহস্থের বউ।

আঠারো শতকে মর্সিয়া বাংলা সাহিত্যের এক সমাদৃত শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। মর্সিয়া সাহিত্য ইসলামী ভাবধারা সমৃদ্ধ হলেও সমকালীন কোন কোন হিন্দু কবিও মুসলিম ঐতিহ্যভিত্তিক মর্সিয়া সাহিত্য রচনা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর রাঢ়ের অধিবাসী রাধাচরণ গোপ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও ইসলামী ভাবধারার কাহিনী অবলম্বনে মর্সিয়া কাব্য রচনা করেছেন। তাঁর রচিত ইমাম হোসেনের কেচ্ছা ও আফৎনামা (হোসেনের মৃত্যু কাহিনী) কাব্য দু’টি মর্সিয়া সাহিত্যের বিশেষ নির্দশন। কাব্য দু’খানি কারবালার মর্মান্তিক হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে। এতে মুসলিম কবিগণের ন্যায় আরবী, ফার্সী পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। কবি রাধাচরণ গোপ তাঁর পীরের কথা মত তাঁর কাব্য রচনা করেছেন বলে উল্লেখ করে লিখেন,

রাধপ গোপে বলে পীরের মুখের বাণী।
শুনিতে ইমাম কেচ্ছা অপরূপ কাহিনী।
কহিল রাধপ গোপ সত্যপীরের পায়
আল্লা আল্লা বল ভাই তওফিক খোদায়।

ঊনিশ শতকে ফকির শাহ্ গরীবুল্লাহ-এর ধারায় মর্সিয়া রচনা করেন মুহম্মদ হামিদুল্লাহ খান। তিনি চট্টগ্রামের অধিবাসী ছিলেন এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে খান বাহাদুর উপাধি লাভ করেন। তাঁর রচিত গুলজার-ই-শাহাদৎ বা শাহাদতুদ্যান (১৮৬৩ খ্রি.) মর্সিয়া কাব্যে কারবালা যুদ্ধের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ঊনিশ শতকের মর্সিয়া ধারার অপর কবি মীর মনোহার রচনা করেন হানিফার লড়াই (১৮৮৬ খ্রি.)। এ কাব্য গ্রন্থখানি বাংলা মর্সিয়া সাহিত্য ধারায় বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া সুনামগঞ্জের ওয়াহেদ আলী রচনা করেন বড় জঙ্গনামা। এ কাব্যের অনেকাংশে ফকীর গরীবুল্লাহর জঙ্গনামা কাব্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়। এ সময় পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বালিয়া পরগনার জনাব আলী রচনা করেন শহীদ-ই-কারবালা নামের এক বৃহৎ কাব্যগ্রন্থ। শহীদ-ই-কারবালা নামের অপর এক গ্রন্থ রচনা করেন মুহম্মদ মুনশী। ঢাকা জেলার অধিবাসী মুন্সি তাজউদ্দীন প্রমুখ মর্সিয়া সাহিত্য রচনা করেন। বাংলা মর্সিয়া সাহিত্যের এ ধারা বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বর্তমান ছিল। এ শতকের প্রথম দিকেই সা‘দ আলী ও আব্দুল ওয়াহাব যৌথভাবে রচনা করেন শহীদ-ই-কারবালা। এতে মুহম্মদ মুনশীর শহীদ-ই-কারবালা-এর কাহিনী ও ভাষা নকল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ড. গোলাম সাকলায়েন।

ইংরেজ আমলে বাংলা সাহিত্য প্রাচীন ধারা থেকে আধুনিক ধারায় রূপান্তরিত হয় অর্থাৎ গদ্য রীতি শুরু হয়। এই রূপান্তরিত আধুনিক যুগের ধারাতেও মর্সিয়া সাহিত্য রচিত হয়। মীর মশাররফ হোসেনের বিষাদসিন্ধু এ ধারার শ্রেষ্ঠ মর্সিয়া রচনা বলা যায়। নিলফামারী জেলার জলঢাকা থানার ইসহাক উদ্দীন রচনা করেন দাস্তান শহীদ-ই-কারবালা। কাব্যখানি ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে চৈত্র মাসে রচনা শুরু করে ১৩৩৬ বঙ্গাব্দে ১২ ভাদ্র (১৯২৯ খ্রি.) তারিখে সমাপ্ত করেন। গ্রন্থখানি কাব্যে রচিত হলেও মীর মর্শারফ হোসেন রচিত বিষাদ সিন্ধু অনুসরণ করেছেন বলে তিনি লিখেন,

বিষাদ-সিন্ধুর আমি পিছেতে হাঁটিয়া,
দাস্তানে হানিফার জঙ্গ লিখি বিবরিয়া।

চট্টগ্রাম জেলার মির্জাপুর গ্রামের কাজী আমিনুল হক রচনা করেন জঙ্গে কারবালা (১৯৪৫ খ্রি.) দ্বিতীয় বিশ্বযুেদ্ধর (১৯৩৯-৪৫ খ্রি.) সময়। ইতিহাসভিত্তিক কারবালার বিষাদময় ঘটনা অবলম্বনে রচিত এ কাব্যখানি বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এ ছাড়া আবুল আলী মোহাম্মদ হামিদ আলীর কাসেম বধ কাব্য (১৯০৬ খ্রি.) ও জয়নাল উদ্ধার (১৯০৯ খ্রি.), মোহাম্মদ উদ্দীন আহমদের মোহররম কাব্য (১৯১২ খ্রি.), মোহাম্মদ আব্দুল বারীর কারবালা (১৯১৩ খ্রি.), কবি কাজেম আল কোরাইশী ওরফে কায়কোবাদ রচিত মহরম শরীফ, ফজলুর রহিম চৌধুরীর মহরম চিত্র (১৯১৭ খ্রি.), গোলাম সাকলায়েনের কারবালার কাহিনী, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর কারবালার যুদ্ধ ও নবী বংশের ইতিবৃত্ত (১৯৫৭ খ্রি.) বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বিশ শতকের শেষার্ধে মর্সিয়া কাব্যগ্রন্থ রচিত না হলেও এ সময় কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা স্মরণে কাজী নজরুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা প্রমুখ মুসলিম সাহিত্যিক অনেক কবিতা, গান, প্রবন্ধ রচনা করেছেন। এ সময় ড. গোলাম সাকলায়েন বাংলা সাহিত্যে মর্সিয়া বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তার রচিত বাংলায় মর্সিয়া সাহিত্য গ্রন্থ বাংলা সাহিত্যের মর্সিয়া গবেষণামূলক গ্রন্থগুলোর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button