লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের দিনব্যাপী দুই দশক পূর্তি উদ্যাপন

LB৫ জনকে সম্মানসূচক আজীবন ও ৪৩ জনকে আজীবন সদস্য পদ প্রদান
বিলেতের বাংলা মিডিয়ার একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের দুই দশক পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে পূর্ব লন্ডনের ওয়াটার লিলি হলে গত ৩০ জুন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা, সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিলেত প্রবাসী ৫ জন গুণী সাংবাদিককে সম্মানসূচক আজীবন সদস্য পদ এবং ৪৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে জীবন সদস্য পদ প্রদান, ‘কানেকটিং টু কমিউিনিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক, র‌্যাফেল ড্র এবং ডিনার পার্টি। বিলেতের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব সদস্যদের সরব উপস্থিতিতে দুপুর ১.৩০ মিনিটে সংগঠনের সভাপতি নবাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় সাধারণ সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। সভার শুরুতেই সভাপতির বক্তব্য রাখেন নবাব উদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে গত এক বছরে প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সেগুলোর বিস্তারিত কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন। পরে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট এবং কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ জুবায়ের বার্ষিক আয় ব্যয়ের রিপোর্ট পেশ করেন। উপস্থিত সাধারণ সদস্যরা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের উপস্থাপিত রিপোর্টর প্রতি একাত্বতা ঘোষণা করেন এবং তাদেকে সাফল্যের অগ্রযাত্রা বহমান নদীর স্রোতধারার মতো অপ্রতিরোধ্য গতিতে প্রবাহমান থাক সে প্রত্যাশা করেন। তারপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তোর পর্ব। সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে একে একে প্রশ্ন উপস্থাপন করেন। সংগঠনের সভাপতি নবাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক  মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ জুবায়ের অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। অন্য কোন আলোচ্যসূচি না থাকায় সভাপতি নবাব উদ্দিন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাধারণ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সাধারণ সভায় সাংবাদিক সারওয়ার কবিরের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং সন্ত্রাসীদের খোঁজে বের করে আইনের হাতে সোপার্দ করার জন্য টাওয়ার হ্যামল্সে পুলিশের প্রতি আহবান জানানো হয়। চ্যানেল এস টেলিভিশনের জনপ্রিয় উপস্থাপক ফারহান খান মাসুদের উপস্থাপনায় বিকেল সাড়ে ছ’টায় দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের সূচনাতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি নবাব উদ্দিন। তিনি আবেগ আল্পুত কক্তে বলেন,  প্রেস ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ থেকে ২০ বছর পূর্বে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আমরা বর্তমান পর্যায়ে এসেছি। বিলেতে বাংলা মিডিয়ার ইতিহাস শত বছরের দ্বার প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। অতীতের দিকে ফিরে তাকালে অতি সহজেই এ সত্য উচ্চারণ করা যায় যে বিলেতে বাংলা মিডিয়ার পরিধি, লোকবল, মিডিয়া হাউসের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমাদের যাত্রা যখন শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ১৫ জুন। সেই সময় বিলেতে হাতেগোনা কয়েকটি সংবাদপত্র ছিল। বর্তমানে সে সংখ্যা হয়েছে কয়েকগুণ। যে সকল কর্মবীর মহ”প্রাণ ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁরা হচ্ছেন, সানাউল হক চৌধুরী, সৈয়দ সরওয়ার আলম চৌধুরী, সৈয়দ সামাদুল হক, নবাব উদ্দিন, মহিব চৌধুরী, মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, সৈয়দ নাহাস পাশা, নজরুল ইসলাম বাসন, সৈয়দ ফারুক, শেখ মোজাম্মেল হোসেন কামাল, সৈয়দ বেলাল আহমদ ও আনোয়ারুল ইসলাম রাজু। দীর্ঘ দুই দশকের এই যাত্রা পথে অনেকেই জড়িত ছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে। বিশেষ করে যারা এই ক্লাবের সাধারণ সদস্য বা কার্যকরি কমিটিতে ছিলেন বা বর্তমানে আছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  ‘কানেকটিং ট* কমিউনিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিষয় ভিত্তিক তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, রেডিও সম্প্রসারণ সম্পির্কিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিবিসি বাংলা ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সিনিয়র প্রডিউসার মাসুদ হাসান খান, বিলেতে বাংলা সংবাদপত্রের ক্রমবিকাশের ধারা সম্পির্কিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাপ্তাহিক জনমতের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা এবং টেলিভিশন সম্পর্কিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চ্যানেল এস এর হেড আব প্রোগ্রাম গোলাম রসুল। মিডিয়া কার্যক্রমের ক্রমবিকাশ সম্পর্কে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অতিথি বক্তা, বিবিসি টেলিভিশনের বৈদেশিক প্রতিনিধি, লেখক ও সংবাদ বিশ্লেষক হ্যামফ্রি হোক্সলি।  রেডিও সম্প্রসারণ সম্পর্কিত প্রবন্ধে মাসুদ হাসান খান বলেন, টেলিভিশন প্রযুক্তির বিকাশের ধারায় অনেকেই মনে করেছিলেন সংবাদ মাধ্যমের এই ধারা বিলুপ্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্ত* বাস্তবতা হচ্ছে রেডিও’র যাত্রা পথ এখনো অব্যাহত আছে। কমিউনিটি রেডিও প্রসার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এই ব্রিটেনে টেলিভিশন চ্যানেলে সংখ্যার আধিক্য থাকলেও বাংলা রেডিও সমতালে শ্রুতাদের মন জয় করে টিকে আছে।  তাই তার স্বগত উচ্চারণ হচ্ছে রেডিও আছে এবং থাকবে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে। টেলিভিশন সম্পর্কিত প্রবন্ধে গোলাম রসুল বলেন, বিলেত থেকে বর্তমানে ৬টি টেলিভিশন চ্যানেল দিনরাত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে যাচ্ছে। সম্প্রচারিত ৬টি টেলিভিশন চ্যানেলই শ্রুতা দর্শকরা বিনা মূল্যেই উপভোগ করতে পারছেন। প্রতিটি চ্যানেলই নিজস্ব প্রেগ্রাম প্রচার করে চলেছে। এরই মধ্যে অনেক প্রগ্রামই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্ত তারপরও এই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অগ্রযাত্রা কতদিন টিকে থাকবে সে নিয়ে সঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা টেলিভিশন একেবারেই গুরুত্বহীন। বিলেতে বাংলা সংবাদপত্রের ক্রমবিকাশের ধারা সম্পর্কিত প্রবন্ধে সৈয়দ নাহাস পাশা বলেন, বিলেতে বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাস প্রায় শত বছরের। ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের বিজয়ের পরে যুদ্ধে ভারতীয়দের অবদান ইত্যাদি খবরা খবর নিয়ে ‘সত্যবানী’ নামের একটি বুলেটিন প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৪০ সালে ‘জগ” বার্তা’ নামের একটি কাগজ দিয়ে শুরু আর আজকে আমরা এখানে শুধু বাংলা সংবাদপত্র নয় বিশাল বাংলা মিডিয়ার সাফল্য সিলেব্রেশন করছি।   অতিথি বক্তা, বিবিসি টেলিভিশনের বৈদেশিক প্রতিনিধি, লেখক ও সংবাদ বিশ্লেষক হ্যামফ্রি হোক্সলি শ্রীলঙ্কায় নিজের কাজের অভিজ্ঞতা ও মিডিয়া পরিবর্তন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। বিলেতের জনপ্রিয় আবৃতি শিল্পী সালাউদ্দিন শাহীনের দ্রোহী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যরে একটি কবিতা আবৃতির মাধ্যমে ‘কানেকটিং টু কমিউনিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।  এরপর লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী সংগঠনের দুই দশকের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণী উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন আমরা কয়েকজন সংবাদকর্মী বিশ বছর পূর্বে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে যে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম আজ সে সংগঠনটি বিলেতের বাংলা মিডিয়ার একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন হিসেবে সর্বমহলের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বিশ বছর পূর্বে কয়েকজন স্বপ্নচারি মানুষ শূন্য হাতে যে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করে যাত্রা শুরু করেছিলেন আজ সেই সংগঠনটি বিলেতের বাংলা মিডিয়ার একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বমহলে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। সংগঠনটির অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় যারা পর্যায়ক্রমে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন তাদের প্রতেক্যের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  উপস্থাপক ফারহান খান মাসুদ বিলেতে বাংলা মিডিয়ায় স্বস্বক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট একুশে গানের মহাকাব্যের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, বিবিসি বাংলা বিভাগের সাবেক উপ-বিভাগীয় প্রধান সাংবাদিক ও কলামিষ্ট সিরাজুল রহমান, সাপ্তাহিক জনমতের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও  প্রকাশক আনিস আহমদ, বিলেত থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘দেশবার্তা’ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট গাজীউল হাসান খান এবং সাপ্তাহিক সুরমার অনারারী সম্পাদক আয়েশা আহমদকে  সম্মাননা প্রদান পূর্বক প্রেস ক্লাবের জীবন সদস্য পদ প্রদানের ঘোষণা করেন। অনিস আহমদের পরিচয় উপস্থাপন করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি নবাব উদ্দিন এবং আনিস আহমদের হাতে ক্রেস্ট তোলে দেন চে’ার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মুকিম আহমদ ও প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাপ্তাহিক নতুন দিনের সম্পাদক মহিব চৌধুরী। গাজীউল হাসান খানের হাতে ক্রেস্ট  তোলে দেন প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। আয়েশা আহমদের অনুপস্থিতিতে সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক সৈয়দ মনসুর উদ্দিনের হাতে ক্রেস্ট তোলে দেন চ্যানেল এস টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আহমদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল আহমদ।   লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নতুন ভাবে যে ৪৩ জন মহ” প্রাণ ব্যক্তিত্ব জীবন সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন তাদেকে ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানানোর জন্যে উপস্থাপক ফারহান খান মাসুদ টাওয়ার হ্যামলেট্স বারা কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র লু”ফুর রহমান ও বেথনালগ্রিন- বো নির্বাচনী এলাকার প্রথম বাঙালি এমপি রুশনারা আলীকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান। তারা একে একে সম্মানীত জীবন সদস্য পদ প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট তোলে দেন। উপস্থিত সুধিবৃন্দ, প্রেস ক্লাবের সদস্যসহ অতিথিরা হাত তালি দিয়ে তাদেরকে বরণ করে নেন। যে ৪৩ জন নতুন ভাবে প্রেস ক্লাবের জীবন সদস্য পদ গ্রহণ করেছেন তাঁরা হচ্ছেন, আব্দুল মুহিত, আলী মোহাম্মদ জাকারিয়া, আতিক চৌধুরী, বাবলুল হক, বাদশা কাদির, এমদাদ আহমদ, এনাম আলী এমবিই, এনামুল মুমিন শামীম লোদী, গোলাম কিবরিয়া, হারুন মিয়া, ইমরান মজুমদার, জমির উদ্দিন, জোনায়েদ চৌধুরী, এম এ মুনিম, এম শাহাব উদ্দিন, মাহমুদ এ রউফ, মানিক মিয়া, মনিরুল হক, মোহাম্মদ আব্দুল মুকিত, মোহাম্মদ ইউসুফ সেলিম, মনির আহমদ, মনোয়ারা হাকিম আলী, মুমিন আলী, মোস্তাকিম রেজা চৌধুরী, মোজাহিদ আলী চৌধুরী, নাসের আলী শাহা, নূর উর রহমান খন্দকার পাশা, নূরুল ইসলাম মাহবুব, অলি খান, পারভেজ আহমদ, প্রফেসর ড. নূরুন নবী,  রেজাউল করিম, সেলিম চৌধুরী, সাবু নেওয়াজ, শাহ নূরুল আলম, শাহানূর খান, শাকুর আলী, শেখ মফিজুর রহমান, সোহেল আহমদ খান, তালুকদার আব্দুল খালিক, টিপু রহমান, ওয়ালি তছর উদ্দিন এমবিই, জেপি ও ইয়াওর খান।   অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য বেথনাল গ্রিন- বো নির্বাচনী এলাকার এমপি রুশনারা আলী ও টাওয়ার হ্যামলেট্স বারা কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র লু”ফুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মহিব চৌধুরী। আজীবন সদস্য পদ প্রদানের পর প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ জুবায়ের, একটি স্থায়ী ভবনে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক’শ পঞ্চাশ হাজার পাউন্ডের তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে আবেগ আল্পুতকণ্ঠে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন আজকের এই পূর্তি অনুষ্ঠানে ৮৬ হাজার পাউন্ডের তহবিল সংগ্রহ করে আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। তহবিল সংগ্রহের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি অঙ্গিকার ঘোষণা করেন এবং এ ব্যাপারে সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বিলেতের জনপ্রিয় শিল্পী হিমাংশু গোস্বামী, গৌরী চৌধুরী, আলাউর রহমান ও রুখসানা সাফা। এরপর অমিরুল চৌধুরীর পরিচালনায় র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান চত্বরে প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসহাক কাজল ও নির্বাহী সদস্য আব্দুল কাইয়ূমের পরিচালনায় বিলেতের লেখকদের প্রকাশিত গ্রন্থের একটি প্রদর্শনী বুক স্টল উপস্থিত সুধিজনের প্রশংসা অর্জন করে। বুক স্টলে বিলেতের শতাধিক লেখকের বই শোভা পায়। উপস্থিত সুধিবৃন্দ লাইন বেধে বইগুলো উল্টে-পাল্টে দেখেছেন। অনেকেই বই ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিধান না থাকায় বই বিক্রি করা যায় নি। বিলেতের বাঙালি কমিউনিরি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃবৃন্দের এই মিলন মেলা রাত সাড়ে দশটায় সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। আবার দেখো হবে আগামী বছরের কোন এক সময়ে এই প্রত্যাশা নিয়ে বিলেতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা সাংবাদিকরা হাস্যজ্জ্বোল মুখে একে অন্যের কাছ থেকে বিদায় ফিরে যান নিজ নিজ আবাসে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button