ইংলাক লন্ডনে!

Thailandচালে ভর্তুকি দিয়ে রাষ্ট্রের শতকোটি ডলার ক্ষতি করার দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে লন্ডনে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইংলাকের দুটি ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডন প্রামুদোয়াইনাই পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যে অবস্থানের কথা নিশ্চিত করেন। ছবি দুটির একটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে লাল কোট পরিহিত এক নারীর সঙ্গে লন্ডনের হ্যারড ডিপার্টমেন্ট স্টোরে এবং অন্যটিতে তাকে ওয়েস্টফিল্ড শপিং মলের কাছে দেখা গেছে।
রয়টার্স ছবি দুটির সত্যতা নিশ্চিত করতে না পারলেও থাইল্যান্ডের পুলিশ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানিয়েছে, ছবিগুলো আসল। ইংলাকের সঙ্গে থাকা নারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। রাষ্ট্রীয় টাকায় চাল কেনায় অনিয়মের অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইংলাকের অনুপস্থিতিতে তাকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। রায়ের পর থেকে ইংলাকের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
ইংলাকের দলের শীর্ষ নেতারা পরে জানান, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড ছেড়ে নির্বাসিত ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার দুবাইয়ের বাড়ি চলে গেছেন।
কারাদণ্ড কিংবা দেশ ছেড়ে যাওয়া কোনো বিষয়েই ইংলাকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গত এক দশকে সিনাওয়াত্রা পরিবার ও এর সমর্থকদের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী ও রাজতন্ত্রপন্থি পুরনো অভিজাতদের দ্বন্দ্ব দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা জিইয়ে রেখেছে। সেই ধারাবাহিকতাতেই ইংলাকের দণ্ড ও লুকিয়ে দেশ ছেড়ে যাওয়া বলে ধারণা রয়টার্সের। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংককে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডন প্রামুদোয়াইনাই সাংবাদিকদের বলেন, ইংলাক লন্ডনে আছেন। তার ঠিকানা নিশ্চিত হতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও চলছে। “সেপ্টেম্বর থেকেই আমরা এটা জানি। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানান ইংলাক লন্ডনে আছেন। এরপর থেকে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি, যদিও তার সাড়া পাইনি।”
দুই দেশের মধ্যে বহিঃসমর্পণ চুক্তি থাকায় থাইল্যান্ড যুক্তরাজ্যের কাছে ইংলাককে ফেরত চাইবে কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রামুদোয়াইনাই। ইংলাকের যুক্তরাজ্যে অবস্থান নিয়ে ব্যাংককের ব্রিটিশ দূতাবাসেরও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button