১৫ বছরের সৌদী কিশোরী ইংরেজী ভাষায় ঔপন্যাসিক

নিজাম উদ্দীন সালেহ: বিস্ময়কর হলেও সত্য, আরবী ভাষী দেশ সৌদী আরবের ১৫ বছরের স্কুল পড়ুয়া জনৈক কিশোরী সম্প্রতি ইংরেজী ভাষায় একটি উপন্যাস লিখে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কিশোরীর নাম লীনা আলথেখায়ের। তার উপন্যাসের নাম ‘ফোরশ্যাডো’। সে ২০১৭ সালে এই উপন্যাসটি লেখা শুরু করে যখন তার বয়স ছিলো মাত্র ১৪ বছর। স্কুলে লেখার একটি এসাইনমেন্ট থেকে মূলতঃ তার উপন্যাস লেখার ধারণা আসে।

লীনা জানায়, আমার মনে সব সময় এই ধারণাটি ছিলো কিন্তু তা স্পষ্ট ছিলো না। তবে যখন আমি লেখা শুরু করি, এটা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এখন এটা ‘ফোরশ্যাডো’ নামে আঙ্গিক লাভ করেছে।

যে আরো জানায়, আমি আসলে স্কুলের জন্য একটি রচনা লিখেছিলাম এবং যখন আমি তা পুনরায় পড়ি, তখন আমার মনে চিন্তা আসে, প্রশ্ন জানে -তুমি কি জানো এটা কী ? এটা একটি বেশ ভালো উপন্যাসের ধারণা। অতঃপর আমি সারা গ্রীষ্মকালব্যাপী এটা লিখি।

লীনা আরো জানায়, কখনো সুপরিচিত হওয়ার জন্য এটা ঘটেনি। আর এ বয়সে এ ধরণের ভাবনা আসার কথাও নয়। আমি মনে করি, কঠোর পরিশ্রম দরকার, স্বপ্ন বাস্তবায়নে খুব কম বয়স কিংবা খুব বেশী বয়স কোন বিষয় নয়।
লীনা আলথেখায়ের আরো বলে, সে বিষয়টি কারো কারো সাথে শেয়ার করেছিলো। কিন্তু তারা বলেছেন, এ কাজে সফল হওয়ার জন্য তোমার বয়স যথষ্টে নয়।

লোকজন বলতেন, তুমি এখনো ছোট -তুমি এখন এটা করো না, কারণ তোমার সামনে এখনো অনেক পড়ে আছে। কিন্তু আমার মাতা ও বন্ধুরা আমাকে বড়ো ধরণের সমর্থন দিয়েছেন, এতে উত্ফুল্ল হয়েছেন।

সে আরো বলে, মাঝে মাঝে আমার ইচ্ছা হতো এটা বন্ধ করে দেই কিন্তু বন্ধুরা আমাকে এটা চালিয়ে যেতে বলে। বইটি প্রকাশের পর কিশোরী লেখিকা লীনা আলথেখায়ের জেদ্দার ভার্জিন মেগাস্টোর -এ উপস্থিত হয়। সে তার আগ্রহী ও বিস্মিত পাঠকদের বইয়ে অটোগ্রাফ বা স্বাক্ষর প্রদান করে। তখন তার পরিবার যেখানে উপস্থিত ছিলো। তাদের মেধাবী সন্তানের জন্য তাদের গর্ব প্রকাশ পাচ্ছিলো।

উপন্যাসটির কাহিনী মেঘান নামক জনৈক হাইস্কুলের ছাত্রীর অভিযানকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। তার ভাই একজন পদার্থবিদ। সে ল্যাবে তার ভাইয়ের সাথে সময় কাটায়। এ সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটে, যা তার জীবন বদলে দেয়।

লীনা জানায়, সে তার লেখালেখির অভিযান অব্যাহত রাখবে। আরো উপন্যাস লেখার পরিকল্পনা আছে তার। সম্ভবতঃ ‘ফোরশ্যাডোর’ আরো পর্ব লিখবে সে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button