৬৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ

Basisতথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে হাইটেক পার্কের অবকাঠামোগত কাজ শেষ হলে সেখানে পরবর্তী এক বছরের মধ্যে প্রায় ৬৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর বিডিবিএল ভবনে বেসিস হলরুমে গ্লোবাল সার্ভিসেস লোকেশন ইনডেক্সে বাংলাদেশের আইটি সেক্টর অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, গত বছর ১৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হয়েছে। আগামী বছর ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হবে। সবগুলো জেলায় এখন ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র দেশের ৬৪টি জেলায় থ্রি-জি সেবা পৌঁছানোর কারণে। এই ফ্রিল্যান্সারদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার চেষ্টাও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইটি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে বেসিস যে চারটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সেগুলোকে সরকার ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। এ সময় ২০১৭ সালের মধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদকে ফাইবার অপটিক্যালের আওতায় নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশের আইটি খাত অনেক এগিয়েছে উলেস্নখ করে পলক বলেন, আফ্রিকা- ইউরোপ-এশিয়ার মধ্যে এখনও বাংলাদেশের ইনফরমেশন ইনফ্রাসট্রাকচার সবচেয়ে ভাল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ নির্মিত কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যেভাবে হাইটেক পার্কের রায় পেয়েছি ঠিক তেমনিভাবে জনতা টাওয়ারের রায়ও আমাদের পক্ষে আসবে বলে প্রত্যাশা করি। এই টাওয়ারের মামলা এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। বেসিস সভাপতি শামিম আহসানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসিসের নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ, সিনিয়র ভাইস পেসিডেন্ট রাসেলটি আহমেদসহ আরো অনেকে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button