মধ্যপ্রাচ্যের আগুন উসকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া

Russiaশাজাদ আলী: পাশ্চাত্য এই আত্মপ্রবঞ্চনাকর ধারণায় ভুগছে যে, সিরিয়া ও ইরাকে বিরামহীন বোমা হামলা চালিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে স্বঘোষিত ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) কুপোকাত করতে পারবে। অথচ তারা যা বুঝতে পারছে না তা হলো, এ ধরনের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে তারা আসলে নৃশংস এই উগ্র গ্রুপকে আরো শক্তিশালী করে তুলছে।
যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই বুঝে বা না-বুঝে তার নিজের জন্য ফ্রানকেনস্টাইনের দৈত্য গড়ে তোলে। সেটা আলকায়েদা, তালেবান বা ইসলামিক স্টেট- যেটাই হোক না কেন, সবই যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজে স্বীকার করেছেন, ইরাকে হামলার কারণে আইএসআইএস গঠিত হয়েছে। এখন দেশটিকে বিরাট মূল্য দিতে হচ্ছে।
কেবল এটাই নয়, লিবিয়াতেও এমনটা ঘটেছে। কর্নেল মোয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সশস্ত্র যোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়েছিল পাশ্চাত্য। গাদ্দাফির মৃত্যুর পর সাবেক সেনাবাহিনীর অস্ত্রগুলো পেয়ে এসব গ্র“প বিপুল শক্তিশালী হয়। এখন তারা ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। এটা লিবিয়াকে বহুজাতিক উগ্রপন্থীদের প্রজননভূমিতে পরিণত করেছে। সিরিয়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে। পাশ্চাত্যই বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইসলামিক স্টেটকে অস্ত্র ও সমর্থন দিয়েছিল। অনেক পরে তারা বুঝতে পারে, এই গ্র“পটি আসাদের চেয়েও ভয়ঙ্কর। পরিণতিতে এখন সিরিয়ায় আইএসআইএসের ওপর বোমা ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র, আর ফাঁক পেয়ে আসাদ যুদ্ধ করছেন বিরোধী বাহিনীর বিরুদ্ধে।
ইসলামিক স্টেটের অতি সাধারণ কৌশল হলো মুসলিম দুর্দশাকে পুঁজি করে ফায়দা তোলা। মুসলিম দেশগুলোতে পাশ্চাত্যের যত নৃশংসতা ও হস্তক্ষেপ হবে, আইএসের জন্য তত লাভ। পরিস্থিতিকে যেন আরো খারাপ করতেই মার্কিন-সমর্থিত নুরি আল মালিকির শিয়া সরকার ইরাকে শিয়া-সুন্নি বিভেদ আরো বাড়িয়ে তুলেছিল। এর পরপরই শিয়াবিরোধী আইএসের সৃষ্টি ছিল একটি অনিবার্য বিষয়। সুন্নিদের বিরুদ্ধে মালিকি সরকারের মিত্র শিয়া মিলিশিয়াদের নৃশংসতার ফলে সুন্নিরা শিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আইএসে যোগ দেয়।
মনে হচ্ছে, ওবামা প্রশাসন তার পূর্ববর্তীদের বোকামি থেকে শিক্ষা নেয়নি। বস্তুত মার্কিন সমর্থিত মধ্যপ্রাচ্যের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিচ্ছে। আইএসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এ ধরনের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এসব দেশের মুসলিম জনগণকে ইসলামের নামে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অনুপ্রাণিত করছে।
সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন সামরিক হামলা ওই আগুনে ইন্ধন জোগায়। এ ধরনের পরিবেশ আইএসআইএসকে বেড়ে ওঠা এবং সারা বিশ্ব থেকে সদস্য সংগ্রহের সুযোগ এনে দেয়। ওয়াশিংটনের আইএসআইএস-বিরোধী কৌশল পুরোপুরি ত্রুটিপূর্ণ বিবেচিত হয়েছে। পররাষ্ট্রনীতিতে একের পর এক ভুলের সাথে যুক্তরাষ্ট্র আরো একটা ভুল করে বসে সিরিয়ায় স্থল সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে। হোয়াইট হাউজের মতে, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সাহায্য দিতে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর বেশ কিছু সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসব করেও যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। বরং ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদ আরো বেড়েছে। সূচক অনুযায়ী, ২০০০ সালে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছিল মাত্র ১,৫০০টি। আর ২০১৩ সালে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে দাঁড়ায় ১০,০০০-এ। এর অর্থ হলো ২০০০ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদ পাঁচ গুণ বেড়েছে। অবশ্য ইরাক ও সিরিয়ায় সামরিক হামলা (যা কেবল উন্মুক্তই নয়, বাজেভাবেও সংজ্ঞায়িত) চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটিয়েছে।
মিথ্যা ধারণা
ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো কূটনৈতিক ক্ষেত্রে একটি জয় অর্জন করেছে। কিন্তু এটা করতে গিয়ে তারা মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নি মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন করার দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইরানকে মিত্র হিসেবে পেয়ে আইএসআইএসকে নিঃশেষ করে ফেলতে পারবে, কিন্তু তাতে ইরাকে আরো অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়ে বৃহত্তর শিয়া-সুন্নি বিভাজনের পথ করে দেবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী সাবেক উপদেষ্টা ড্যানিয়েল বেনজামিনের মতে, আইএসআইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক অভিযান কোনো ধরনের বোধগম্যতার মধ্যেই পড়ে না। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আইএসের হুমকি স্রেফ একটা তামাশা। ইউএস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি জে জনসন মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামিক স্টেটের কোনো হুমকিই নেই, আর মার্কিন জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কেন্দ্রের উপপরিচালক নিকোলাস রাসমুসেন কংগ্রেসকে বলেছেন, আইএস যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে হুমকি সৃষ্টি করেছে, তবে সেটা কেবল ইরাকে। বস্তুত ৯/১১-এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আলকায়েদা-অনুপ্রাণিত মুসলিমদের চেয়ে অতি ডান চরমপন্থীরা অনেক বেশি লোককে হত্যা করেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর মতো সামর্থ্য নেই আইএসআইএসের, সে ধরনের কিছু করার ইচ্ছাও তাদের নেই। এই গ্র“পটি তার ‘দূরের শত্র“র’ ওপর আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা ততক্ষণ করবে না, যতক্ষণ না তাদের মনে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের রাষ্ট্র কেড়ে নিচ্ছে। দেশে সৃষ্ট সন্ত্রাসীরা অবশ্য ইসলামিক স্টেট থেকে উদ্দীপ্ত হতে পারে। কিন্তু আইএসআইএসকে পরাজিত করা হলেও এ ধরনের নিঃসঙ্গ হামলা হতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি এবং পাশ্চাত্যে মুসলমানদের কোণঠাসা করার পরিণতিতেই তারা সন্ত্রাসীতে রূপান্তরিত হয়েছে। সে দিকেই নজর দেয়া উচিত।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে বিরাট প্রশ্নও রয়েছে। কোনো দেশে কেবল তখনই হামলা চালানো যায়, যদি জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদন করে, বা আত্মরক্ষার্থে কিংবা অন্য দেশের সরকারের অনুরোধে সহায়তা করার জন্য।
ইরাকে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপকে হয়তো বৈধতা দেয়া যায় এই হিসেবে যে, বাগদাদ তেমন অনুরোধ করেছিল। কিন্তু সিরিয়ায় সে ধরনের কিছু ঘটেনি। আসাদ সরকার তেমন কিছু করার অনুরোধ করেনি, জাতিসঙ্ঘও কিছু করার অনুমোদন দেয়নি। আইএস হামলা করতে পারে- এমনটা ধরে নিয়ে আগাম হামলার যে যুক্তি যুক্তরাষ্ট্র দিতে চাইছে, সেটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। চরমপন্থী গ্রুপটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সরাসরি কোনো ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছিল, তেমন মনে করার কোনো যুক্তি নেই।
রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তি
সিরিয়ান মঞ্চে রাশিয়ার প্রবেশে জটিলতা আরো বেড়েছে। রাশিয়া যদিও দাবি করছে, তারা আইএসআইএসের ওপরই কেবল বোমা ফেলছে, কিন্তু ধারণা করা হয়, মস্কো মূলত আসাদবিরোধী গ্রুপগুলোকেই টার্গেট করছে। এমনটা হতেই পারে। কারণ ভ্লাদিমির পুতিন যেহেতু চাইবেন না মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রধান এক মিত্র হেরে যাক। তবে এর ফলে আইএসআইএস অবকাশ পেয়ে যাচ্ছে, যদিও গ্র“পটির বিরুদ্ধে রাশিয়ারও ভীতি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের বৈধতা না নিয়ে সিরিয়ায় বোমা ফেলতে থাকলেও রাশিয়া কিন্তু বৈধতা নিয়েই কাজটি করে যাচ্ছে। কারণ দামেস্ক এতে অনুমতি দিয়েছে, অন্তত এতে কোনো ধরনের আপত্তি করছে না। তবে তার মানে এই নয়, সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার যোগদান কোনো ধরনের বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। এমনকি রাশিয়া যদি আইএসআইএসের বিরুদ্ধেই অভিযান চালিয়ে থাকে, তবুও তারা আদর্শিক এই গ্র“পকে হারাতে পারবে বলে মনে হয় না। তারপর আসে দেশে সৃষ্ট সন্ত্রাসীদের কথা। সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি, তবে তাদের যদি মনে হয়, মস্কো কার্যত সুন্নিবিরোধী অভিযানে নিয়োজিত, তবে তারা সহিংস হয়ে উঠতে পারে।
পররাষ্ট্রনীতি নতুন করে মূল্যায়ন
ওয়াশিংটনকে অবশ্যই তার ব্যর্থ ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নীতি নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে। এই নীতির কারণেই শান্তির চেয়ে বেশি সৃষ্টি হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ এবং মার্কিনবিরোধী ভাবাবেগ। আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চার থেকে ছয় ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়ে গেছে। তাকে অবশ্যই মধ্যপ্রাচ্য থেকে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করে নিতে হবে, প্রক্সি বন্ধ করতে হবে, আরব একনায়কদের সমর্থন দেয়া বাদ দিতে হবে।
ইরাক ও সিরিয়ায় প্রগতিমনা পক্ষগুলোর সাথে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়া হয়তো কাজ দেবে। ভুল নীতিতে চালিত হয়ে ইরাকে হামলা চালিয়ে এবং দখল করে যুক্তরাষ্ট্র যে ক্ষতি করেছে, সেটা পূরণ করার নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার।
শুধু সামরিক কার্যক্রমের মাধ্যমেই ইসলামিক স্টেটকে নির্মূল করা যাবে না। বরং এটা আইএসআইএসকে আরো শক্তিশালী করে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই কূটনৈতিক সমাধানে যেতে হবে, সিরিয়া সঙ্কট নিরসনে সমঝোতার পথ ধরতে হবে। আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যদি বাহিনী পাঠাতেই হয়, তবে সেটা হওয়া উচিত আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কাছ থেকে, মালিকি যেভাবে ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া ব্যবহার করেছিলেন, সে ধরনের নয়। সিরিয়ায় স্থলবাহিনী পাঠিয়ে এবং সেখানে পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র বরং পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটাচ্ছে। দেশটি কে শাসন করবে, তার দায়িত্ব সিরিয়ানদের ওপরই ছেড়ে দেয়া উচিত।
অধিকারবঞ্চিত ইরাকি সুন্নিদের বোঝাতে হবে, আইএসআইএস নয়, প্রেসিডেন্ট হায়দার আল আবাদি সরকারের অধীনেই তাদের অনেক ভালো ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বাগদাদের দায়িত্ব হবে সুন্নিদের আস্থা অর্জন করা, যাতে তারা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাকি সরকারকে সহায়তা করে। অন্য দিকে আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকা অনেক কম হলেও সে অন্য কোনো মিত্রের চেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করছে। তিউনিসিয়ায় ব্রিটিশ পর্যটকদের বিরুদ্ধে আক্রমণে এ ধরনের কিছু বার্তাই দিচ্ছে।
আইএসআইএস চায় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৈন্য পাঠিয়ে ক্যামেরন সরকার চোরাবালিতে পা দিক। যুক্তরাজ্যে সৃষ্ট ইসলামভীতি, ইসলামাতঙ্ক থেকেও ফায়দা নিতে চায় আইএসআইএস। মুসলিমবিরোধী বিভিন্ন গ্র“পের উত্থানে ব্রিটিশ মুসলমানদের আরো কোণঠাসা হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বঞ্চনাবোধ থেকে ব্রিটিশ মুসলিমরা আইএসে যোগ দিতে প্রলুব্ধ হতে পারে। আইএসে যোগ দিতে প্রায় ৭০০ ব্রিটিশ মুসলিমের মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ায় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত।
ইরাক আক্রমণে ওয়াশিংটনের বোকা মিত্র হওয়ায় যুক্তরাজ্যকেও ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত। বিশেষ করে টনি ব্লেয়ার যেখানে মুখরক্ষার ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন যে, হামলাটির আগেই তাদের কাছে ভুল তথ্য থাকার খবরটি তারা নিশ্চিত হয়েছিলেন। তিনি এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তাদের ওই অভিযানের কারণেই ইসলামিক স্টেটের উত্থান ঘটেছে। তবে চিলকট রিপোর্টের আগে দিয়ে ব্লেয়ার নির্জীব ক্ষমতা প্রার্থনার সময় এটা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান যে, ইরাক হামলা ও সাদ্দাম হোসেনকে অপসারণ করা ছিল ভুল।
মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার পাশ্চাত্যের মিত্রদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার অবকাশ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে পাশ্চাত্যের সামরিক ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের উপজাত হিসেবে সৃষ্ট সেখানকার রাজনৈতিক ও সম্প্রদায়গত বিশৃঙ্খলা অবসানে তাদের বিচক্ষণ ভূমিকা পালনের এটাই সময়।
জিওপলিটিক্যাল মনিটর থেকে লেখাটির অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ হাসান শরীফ

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button