সার্কে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রিজার্ভ বাংলাদেশের

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চিতি ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রিজার্ভের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বলছেন, মূলত রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের ভাল প্রবৃদ্ধিই বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভকে এই অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
মঙ্গলবার দিনশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার।
বিদেশি মুদ্রার সঞ্চিতির দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে ভাল অবস্থানে আছে কেবল ভারত। ২ অগাস্টের তথ্য অনুযায়ী উদীয়মান অর্থনীতির এই দেশটির রিজার্ভ ২৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি।
জুলাই শেষে পাকিস্তানের রিজার্ভ ১০ দশকি ২৩ বিলিয়ন ডলার, গতবছর তাদের রিজার্ভ ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ছাইদুর রহমান জানান, অর্থবছরের প্রথাম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ শতাংশ; আর রেমিটেন্সে ১৫ শতাংশ।
‘মূলত এ দুটি খঅতে ভাল প্রবৃদ্ধির কারণেই রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।’
এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যর মূল্যহ্রাস ও বাংলাদেশের খাদ্য পণ্য আমদানি কমাও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে তিনি মনে করেন।
‘তাছাড়া দাতাদের প্রকল্প সাহায্য ছাড়ের পরিমাণ এখন যথেষ্ট ভাল।’
ছাইদুর রহমান জানান, অগাস্টের প্রথম ৯দিন প্রবাসীরা ৩২ কোটি ২২ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। আর ঈদ সামনে রেখে জুলাই মাসে দেশে এসেছে ১২৩ কোটি ডলার।
গত অর্থবছরের শেষ দুই মাস মে ও জুনে রেমিটেন্স প্রবাহ সামান্য কমে এলেও চলতি ২০১৩-১৪  অর্থবছরের প্রথম মাসে তা আবার বাড়তে শুরু করে।
গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেকর্ড ১৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ২৭ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। যা ২০১১-১২ অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button