২০১৪ সালের সিআইপি হলেন ৫৬ জন

দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৫৬ জনকে ২০১৪ সালের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি-শিল্প) নির্বাচিত করেছে সরকার। সাতটি ক্যাটাগরিতে এদের সিআইপি ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য, উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা-২০১২’ অনুযায়ী সাতটি ক্যাটাগরিতে এ সব ব্যক্তিকে নির্বাচন করা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জামাল আবদুল নাসের চৌধুরী  বলেন, আগামী ৭ মে বেলা ১১টায় রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে নির্বাচিত সিআইপিদের কার্ড বিতরণ করা হবে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ সময় উপস্থিত থাকবেন।
পদাধিকার বলে ১২ জন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদ, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশের (নাসিব) সভাপতি মির্জা নূরুল গণি শোভন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম।এ তালিকায় আরও যারা রয়েছেন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিএফএ) সভাপতি তপন চৌধুরী, উইমেন এন্টারপ্রিনিয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওয়েব) সভাপতি নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন (বিজেএমএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামস-উজ-জোহা, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রূপালী হক চৌধুরী, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি রোকিয়া আফজাল রহমান।
বৃহৎ শিল্প খাতে সিআইপি ২১ জন হলো জাবের এন্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস ছামাদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (নোমান), আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মোনেম, বিআরবি কেবলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পারভেজ রহমান, সুপার রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আহমেদ, ফারিহা নিট টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম, ইসলাম রি-রোলিং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম, এম আর এস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুর রহমান, পাহাড়তলী টেক্সটাইল এন্ড হোসিয়ারী মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা সালমান ইস্পাহানি, এনভয় টেক্সটাইলস্ লিমিটেডের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ।
কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক তানভীর আহমেদ, ফুজি ইংক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড চেয়ারম্যান ফারহানা মোনেম, পলো কম্পোজিট নীট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জলিল, ইউনিভার্সেল জেন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন, স্কয়ার কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের অঞ্জন চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলস্ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী, এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা, প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর নির্বাচিত হয়েছেন।এ ছাড়া জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান, রানার অটোমোবাইলস্ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ফার সিরামিকস্ লিমিটেডের চেয়ারম্যান খোদেজা ফরহাদ রুহী, জেম জুট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।
মাঝারি শিল্প খাতে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন হলো মেসার্স সিটাডেল এপারেলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলাম খান, বিডি সি ফুড লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হায়দার চৌধুরী, অকো-টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেড এম গোলাম নবী, বি আর বি পলিমার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান, জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী শাহেদ আহমেদ, বিডি ফুডস লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ তাফহীম আল-আজমী, এটলাস সি ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মিজানুর রহমান ও ইগলু ফুডস লিমিটেডের পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দিন মোনেম সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।
ক্ষুদ্র শিল্পে নির্বাচিত ৬ জন হলো ক্ষুদ্র শিল্পে কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজবার রহমান, বেইলী ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ জামান, ফুটবেড ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়, করিম স্পিনিং মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, আমানত শাহ উইভিং প্রসেসিং লিমিটেডের পরিচালক লুৎফা বেগম ও টেকনোমিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যশোদা জীবন দেবনাথ সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। মাইক্রো শিল্প খাতের ২ জন হলো আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন ও এবি ফ্যাশন মেকারের স্বত্বাধিকারী সানাউল হক বাবুল।কুটির শিল্পে সিআইপি হলেন,জননী উইভিং ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম (পরান)।
সেবা শিল্প খাতে ৫ জন হলো নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম, এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন, শান্তা প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক জেসমিন সুলতানা, নাভানা লিমিটেডের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম ও শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক এম সেরাজ।
নীতিমালা অনুযায়ী, সিআইপিরা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এক বছরের জন্য একটি পরিচয়পত্র পাবেন। এ পরিচয়পত্র দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। তারা বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। সিআইপিরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। ভিসা প্রাপ্তির সুবিধার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে। স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button