ঢাকা-আঙ্কারা দুটি সমঝোতা স্মারক সই

bdturkeyঅর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা ও আঙ্কারা দু’টি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
দু’টি সমঝোতা স্মারকের একটি হচ্ছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা প্রদান এবং অপরটি হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এসএমই ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও কেওএসজিইবি’র (তুরস্কের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়ন সংস্থা) প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. গভাহির উজকার্ট।
অন্যদিকে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ সহযোগিতা বিষয়ক স্মারকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম ও তুরস্কের স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট সেবাহিট্টিন কোরকনাজ স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পারস্পরিক স্বার্থে একযোগে কাজ করা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন। দুই নেতা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ ভূমিতে ফেরত পাঠানোসহ দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং পরস্পরকে সমর্থন করার অঙ্গিকারও পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সফররত তুর্কী প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মামুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রমুখ।
তুরস্কের পক্ষে ছিলেন-উপ-প্রধানমন্ত্রী ও তুর্কি-বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের কো-চেয়ার বেকির বোজাগ ও বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাদের প্রতি তুরস্কের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোগানকে ধন্যবাদ। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচনায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকটসহ দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে এবং পরস্পরকে সহযোগিতা চালিয়ে যেতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, পর্যটন, যোগাযোগসহ প্রধান প্রধান খাতে নিজেদের সহযোগিতা জোরদারের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পারস্পরিক স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশ ও তুরস্ক একমত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আশা করি, আমাদের উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে তুরস্ক।
শেখ হাসিনার পর বিবৃতি দেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ইয়ালদিরিমও। তিনি জানান, রোহিঙ্গা সংকটসহ দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সহযোগিতা থাকবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button