ইসলামী আন্দোলনের রোডমার্চ শুরু

IAইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দুই দিনব্যাপী ঢাকা-রংপুর রোডমার্চ শুরু করেছে। গতকাল সকাল ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে রোডমার্চ শুরু হয়। বিভিন্ন স্থানে পথসভা ও মাহফিলের মাধ্যমে প্রথম দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। তবে পুলিশি বাধায় সিরাজগঞ্জে পথসভা করতে পারেনি তারা। এ ছাড়া গাজীপুরের চন্দ্রাতেও বাধার মুখে পড়ে রোডমার্চ। বুধবার সকাল ৯টায় বগুড়ার আলতাফুন্নেসা মাঠে জনসভার পর আবার রোডমার্চ শুরু হবে। গোবিন্দগঞ্জ, পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুরে পথসভার পর বেলা ২টায় রংপুরে মহাসমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হবে।
পবিত্র হজ ও রাসূল সা: সম্পর্কে কটূক্তিকারী মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাসের দাবিতে এ রোডমার্চ কর্মসূচি করছে ইসলামী আন্দোলন। এ উপলক্ষে গতকাল সকাল ৮টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হন নেতাকর্মীরা। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী রোডমার্চের উদ্বোধন করেন। এরপর সংগঠনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে আড়াই শতাধিক গাড়িবহর নিয়ে যাত্রা শুরু করেন নেতাকর্মীরা। আশুলিয়ায় পথসভা শেষে জোহর নামাজ আদায় করেন। চন্দ্রা গিয়ে পুনরায় পথসভায় মিলিত হলে পুলিশ রোডমার্চের গতিরোধ করে এবং মাইক বন্ধ করে দেয়। নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে কাফেলা আবার রওনা দিয়ে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মোড়ে পথসভা করে।
বিকেলে সিরাজগঞ্জের কড্ডা মোড়ে পথসভার জন্য করা স্টেজ পুলিশ ভেঙে দেয় এবং গাড়িবহর থামতে দেয়নি। এ সময় জনতা বিুব্ধ হয়ে ওঠে। নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে রোডমার্চ বগুড়ার দিকে যাত্রা শুরু করে। রাতে বগুড়ায় পথসভা ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
রোডমার্চ পূর্ব সমাবেশে মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, সরকার আমাদের দাবি না মানলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। তখন যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে। সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ঢাকা মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এ টি এম হেমায়েত উদ্দিন প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button