দেশের অর্থনীতিতে বিদেশী ব্যাংকের কোনো অবদান নেই : বিবি গবর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দেশের অর্থনীতিতে বিদেশী ব্যাংকের কোনো অবদান নেই। এ ব্যাংকগুলোকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রাখতে বাধ্য করার জন্য নতুন করে কঠোর নীতিমালা করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে সাসটেইনেবল বিজনেস মডেল ফর এসএমই ব্যাংকিং সেমিনারে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এ কঠোর নীতিমালা করার আহবান জানান। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গবর্নর ও বিশিষ্ট ব্যাংকার খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সৈয়দ মোঃ ইহসানুল করিম, বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী, ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার, আইডিএলসি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসাইনসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সেমিনারে আলী রেজা ইফতেখার ও আর এফ হোসাইন দুটি এসএমই বিজনেস মডেল উপস্থাপন করেন।
গবর্নর বলেন, বিদেশী ব্যাংকগুলো আমাদের দেশ থেকে শুধু ব্যবসা করে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের অর্থনীতিতে কোন অবদান রাখছে না। তাই এ ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে বাধ্য করার জন্য কঠোর নীতিমালা করতে হবে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র এ মাঝারি শিল্প এবং কৃষিতে তাদের অন্তর্ভুক্তি করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। খেলাপি ঋণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মোট ঋণ খেলাপির ৩ ভাগের ২ ভাগ হলো বড় বড় ঋণ গ্রহীতারা। এদের সংখ্যা কম হলেও আমরা এদের ব্যাপারে তেমন গুরুত্ব দিই না অথচ এসএমই খাতে সামান্য খেলাপি ঋণের আভাস পেলেই তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়ে যায়। এসএমই ঋণ গ্রহীতাদের অতি সামান্যই খেলাপি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আর প্রথম অবস্থানে আছে ভিয়েতনাম। দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে দেশের এ সম্ভাবনা যেন বিলীন হয়ে না যায় তার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
আলী রেজা সেন্ট্রালাইজড এবং হোসাইন ডিসেন্ট্রালাইড মডেলের ধারণা দেন। তারা উভয়ই দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং এ খাতের প্রসারে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। মডেল দুটিতে তারা ব্যাংক এবং গ্রাহকদের মধ্যকার সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button