সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার

‘করোনা সংকট সত্ত্বেও ঢাকা-লন্ডন অর্থনৈতিক সম্পর্কে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা’

কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ে বর্তমান সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনা দেখছে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এক সাক্ষাৎকারে ইউএনবিকে বলেন, ‘মহামারীর পর আমরা একাধিক ইস্যু নিয়ে এক সাথে কাজ চালিয়ে যাব।’

করোনা সংকট বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশেষত তৈরি পোশাক খাতে ‘মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে’ বলে ভালোভাবেই অবগত রয়েছেন হাইকমিশনার। বিভিন্ন সংস্থাকে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি তৈরি পোশাক খাত সাম্প্রতিক সময়ে খুব শক্তিশালী সক্ষমতা এবং বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। মহামারি কমে যাওয়ার পর এগুলো দ্রুত পুনরুদ্ধারে সক্ষম হবে বলে আমি আশা করি।’ তাৎক্ষণিক সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য যুক্তরাজ্যভিত্তিক উদ্যোক্তারা চেষ্টা করছেন বলেও জানান হাইকমিশনার ডিকসন।
ভবিষ্যত সম্ভাবনা:
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, তারা ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা আরও দৃঢ়তর করার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশ থেকে পিপিই কেনার সম্ভাবনাটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে কিছু সংস্থা পিপিই সংগ্রহ করছে এবং আমরা এটিকে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করছি।’
ডিকসন বলেন, সক্ষমতা এবং দ্রুত সরবরাহের জন্যই তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো এতটা প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে। এটিই তাদের পিপিই ব্যবসার সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, কোভিড-১৯ অপ্রত্যাশিত এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, জীবিকা এবং গতিশীলতার ওপর এর প্রভাব পড়েছে। তবে দুদেশের মধ্যে খুব শক্তিশালী সম্পর্ক আছে এবং ভবিষ্যতে এক সাথে কাজ করার জন্য দুর্দান্ত ভিত্তি রয়েছে বলে জানান ডিকসন।
তিনি বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব এক প্রজন্মের জন্য বৃহত্তম জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতেও এর বিপর্যয়মূলক প্রভাব রয়েছে।
ডিকসন আরো বলেন, বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যেটি করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী একে অপরকে সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।
কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা জনস্বাস্থ্যের সক্ষমতা জোরদার করতে, বিভিন্ন বঞ্চিত সম্প্রদায়ে স্যানিটেশন সুবিধা বৃদ্ধি করতে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে বাংলাদেশি অংশীদারদের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
ডিকসন বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সভাপতিত্বে ৪ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া ভার্চুয়াল বিশ্ব টিকা সম্মেলনের মাধ্যমে মহামারি মোকাবিলার মূল বিষয় সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্ব প্রকাশ পায়।
টিকাদান সবসময়ই জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশে এটির প্রচারে শক্তিশালী এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রমাণ রয়েছে শেখ হাসিনার, যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ:
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং ইউনিলিভারসহ বেশ কয়েকটি বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্যভিত্তিক।
এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির দেশ বাংলাদেশের দেয়া সুযোগগুলো নেয়ার ক্ষেত্রে খুব আগ্রহী।
ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন এবং এর গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে এ সুযোগ আরও সহায়তা করবে উল্লেখ করে ডিকসন বলেন, ‘যদিও এ মহামারি নিঃসন্দেহে স্বল্পমেয়াদী প্রভাব ফেলছে, তবে এ সংকট কেটে যাওয়ার পরেও বিনিয়োগের একটি শক্তিশালী সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি।’
আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব:
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নেতা এবং ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাজ্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনের আগে এক সাথে কাজ করবে এ দুই দেশ।
তিনি বলেন, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা এ অংশীদারিত্বকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরে আমরা আমাদের নিজস্ব বাণিজ্য নীতি নির্ধারণের জন্য যুক্তরাজ্যের স্বাধীনতার দ্বারা সৃষ্ট বেশির ভাগ সুযোগ তৈরি করার এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের স্থায়ী সমাধানে কমনওয়েলথের শীর্ষস্থানীয় সদস্য হিসেবে এক সাথে কাজ করছি,’ যোগ করেন ডিকসন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী এবং আমাদের জনগণের মধ্যে অত্যন্ত দৃঢ় ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
ভাসানচর:
ঘূর্ণিঝড় আমফানেও ভাসানচর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবনের জন্য তাদের সেখানে স্থানান্তরিত করার বিরোধিতা করে আসছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, ঘূর্ণিঝড় আমফানে সময়ও ভাসানচরের শরণার্থীরা নিরাপদ ছিল, এটি উৎসাহজনক।
‘আমরা আশা করি যে সরকার, জাতিসঙ্ঘ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদাররা একটি সাধারণ পরিকল্পনায় একমত হতে সক্ষম হবে যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে জাতিসঙ্ঘের পক্ষে ভাসানচরের সুবিধাগুলো মূল্যায়ন করা সম্ভব হব,’ যোগ করেন ডিকসন।
করোনার মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট:
এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার ডিকসন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্য দ্বিতীয় বৃহত্তম দাতা। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমরা ১০ মিলিয়নেরও বেশি ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে। আমাদের এ তহবিল দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন এনজিও গুরুতর রোগীদের জন্য অভিজ্ঞ কর্মীদের সাথে নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো দ্রুত প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেছে।’ আইসোলেশন এবং চিকিৎসা সুবিধার জন্য তারা অক্সিজেনও সরবরাহ করছে বলে জানান হাইকমিশনার। এসব সুযোগ সুবিধাগুলো শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের চিকিৎসার জন্যই প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিকসন বলেন, তাদের অংশীদাররা সাবান বিতরণ করছে, আরও বেশি হাত ধোয়ার জায়গা তৈরি করছে এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গুজব হ্রাস করার জন্য বিভিন্ন তথ্য প্রচার করছে।
তিনি জানান, তারা কক্সবাজার জেলার স্থানীয় ৫৩ হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ সরবরাহ করেছেন, যার মধ্যে অনেকে জীবিকা হারিয়েছেন।
প্রয়োজনীয়তার মূল্যায়ন করতে এবং দ্রুত সাড়া দিতে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তাদের ভূমিকা এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন তিনি।

হাইকমিশনার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ করা, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে এবং মর্যাদার সাথে রাখাইনে ফিরিয়ে নেয়া এবং সেটি সম্ভব না হওয়া পর্যন্ত তাদের সহায়তা করে যাওয়া।’
বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণ এ নিপীড়িত মানুষদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় মানবতা দেখিয়েছে, উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশে গণমাধ্যম:
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যম সর্বত্রই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেই বর্তমানে এটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটের বর্তমান এ সময়ে এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে গণমাধ্যম তার কাজটি স্বাধীনভাবে করতে পারবে এবং নাগরিকদের সুরক্ষিত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে পারবে।’
ডিকসন বলেন, বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় যুক্তরাজ্য সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে, বিশেষত কানাডার সাথে এ বিষয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংকট সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সাহস এবং কৌতূহলের আমি প্রশংসা করি, বিশেষ করে এ ঝুঁকির মধ্যেও।’
কোভিড-১৯ এর মধ্যে বন্ধন:
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, তারা বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা দেখে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করছে বিশেষ করে করোনা প্রতিরোধে একটি কার্যকর টিকা খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে।
ডিকসন বলেন, ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য ৭ মিলিয়নেরও বেশি ইউরো সরবরাহ করা হয়েছে যা অন্যান্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি ৩০টি সরকারি ল্যাবের অতিরিক্ত ৬০ ল্যাব টেকনিশিয়ানকে সহায়তার মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।’
সংক্রমণ প্রতিরোধ ও প্রাদুর্ভাব ব্যবস্থাপনার বার্তা ৫০ লাখেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ব্র্যাককে ১০ লাখ ইউরো দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া দেশজুড়ে ২০টি সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার সুবিধা বঞ্চিত ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য স্যানিটেশনের সুবিধা বাড়াতে ইউএনডিপিকে ৩০ লাখ ইউরো সরবরাহ করা হয়েছে।
‘আমাদের নিয়মিত সহায়তার অংশ হিসেবে এনজিও কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে করোনা পরীক্ষার ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করছি,’ যোগ করেন ডিকসন।
তরুণদের জন্য সুযোগ:
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বিভ্ন্নি স্কলারশিপের মাধ্যমে ব্রিটেনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য তরুণ বাংলাদেশীদের সুযোগ দেয় যুক্তরাজ্য।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এ বছর ভর্তি প্রক্রিয়া এবং শিক্ষার পদ্ধতিগুলো আলাদা হবে। তবে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনলাইনেও উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করে থাকে।
ডিকসন বলেন, শিক্ষার্থীরা যথাযথ সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করতে না পারলেও সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবেদনের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করছে।
বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যোগদানের জন্য অনলাইনে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে, তবে যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ ভিসা পরিষেবা আবার চালু করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
২০২১ সালের গ্রীষ্মে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন, আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক স্নাতক অভিবাসন পথ চালু করছে যুক্তরাজ্য সরকার। এতে সফল আবেদনকারীরা নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে দুই বছরের জন্য কাজ করতে এবং থাকতে বা কাজ সন্ধান করতে পারবেন, জানান হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এশিয়ার অন্যান্য দ্রুত বর্ধমান দেশগুলোর মতো বাংলাদেশে তাদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী।
মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক:
হাইকমিশনার বলেন, ব্রিটিশ ও বাংলাদেশী জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গভীর ও দৃঢ়। বাংলাদেশের প্রায় ৬ লাখ মানুষ যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন।
তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিক্ষা, উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃহত্তর সংযোগের কথা উল্লেখ করেন।
‘আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আমি এ সবকিছু উদযাপনের প্রত্যাশায় রয়েছি’, বলেন হাইকমিশনার ডিকসন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button