যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে আরব রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন

Kerryইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে নতুন সামরিক অভিযানে সমর্থন দেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার আরব মিত্রদের সাথে ‘সমন্বিত সামরিক অভিযান’ সম্পর্কিত একটি চুক্তিতে সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তি সিরিয়া-ইরাক উভয় দেশের নির্দিষ্ট অংশে প্রেসিডেন্ট ওবামা পরিকল্পিত সামরিক হামলার ব্যাপারে আঞ্চলিক সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সৌদি আরবের জেদ্দায় আলোচনা শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ১০ আরব রাষ্ট্রের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হন। মিসর, ইরাক, জর্দান, লেবানন এবং সৌদি আরব ও কাতারসহ ছয় উপসাগরীয় রাষ্ট্রের সমর্থন পায় যুক্তরাষ্ট্র। এই ১০ আরব রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমন্বিত সামরিক অভিযানের মাধ্যমে আইএসএর কাছ থেকে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার ব্যাপারে সম্মত হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে জন কেরি বলেন, ‘এই জোটে আরব রাষ্ট্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সামরিক সহায়তা, মানবিক সহায়তা এবং অবৈধ অর্থায়ন বন্ধ করা এই অভিযানে অগ্রাধিকার পাবে।’
তুরস্কও এই আলোচনায় অংশ নিয়েছে। তবে আঞ্চলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইরান ও সিরিয়া এই আলোচনায় অংশ নেয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘাতের প্রেক্ষাপটে একটি সামগ্রিক জোট গঠনে জটিলতা রয়েই গেল। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ব্যাপারে ওবামা পরিকল্পনা ঘোষণার পর সমর্থন আদায়ে কেরি আরব নেতাদের সাথে বৈঠক করেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই অঞ্চলের সামরিক ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করে আরো বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করার অনুমতি দেয়ার জন্যও কেরি জোর দাবি জানিয়েছেন। তবে কেরি জানিয়েছেন, জোটভুক্ত কোনো দেশই স্থলসেনা পাঠাবে না।
সিরিয়ায় অন্যান্য সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সৌদি আরব সমর্থন জানালেও আইএসকে ‘সন্ত্রাসী গ্রুপ’ হিসেবে গণ্য করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইরাক ও সিরিয়ায় হুমকি হয়ে ওঠা আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানকে আন্তর্জাতিক লড়াই হিসেবেই নিয়েছে। ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিশেষ কোনো হুমকি চিহ্নিত করতে না পারলেও মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, এ গ্রুপের যোদ্ধারা দেশে ফিরে যেতে পারে এবং হামলা চালাতে পারে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button