ব্রিটেনে এসাইলাম প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে নয়গুণ

গত বছরের শেষভাগে যুক্তরাজ্যে প্রক্রিয়াধীন এসাইলাম প্রার্থীদের সংখ্যা ২০০০ সালের তুলনায় নয়গুণ বেশি ছিলো। ১৯ বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া (ছদ্মনাম) যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে লাইবেরিয়া থেকে পালিয়ে আসেন। গত ২ বছর ধরে তার আশ্রয় আবেদনের ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থেকে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যুদ্ধ পীড়িত দেশ লাইবেরিয়ায় প্যাট্রিসিয়ার পরিবার শিশু অবস্থায় তাকে ত্যাগ করে। টিনেজ অবস্থায় ভরণ-পোষণকারী পরিবারের নিপীড়ন বাধ্য করে তাকে পালিয়ে আসতে।

মানব পাচারকারীরা দুই বছর পূর্বে প্যাট্রিসিয়াকে ব্রিটেনে নিয়ে আসে, তখন তার বয়স ১৭ বছর। এরপর সে আশ্রয় দাবি করে। প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা তার আবেদন যতো তাড়াতাড়ি দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন এবং একটি কেস ৪৫ দিন দেখতে হয় বলে জানান। প্যাট্রিসিয়া বলেছে, এই ৪৫ দিন এখন দুই বছরেরও বেশি সময়েও শেষ হচ্ছে না। সে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না। কোন কিছু করতে পারে না,যা তার করা দরকার।
সে আরো জানায়, আশ্রয় দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলে, সে কাজ করতে পারবে না, একটি স্থায়ী বাড়ি পাবে না কিংবা তার কলেজ কোর্সের ভোকেশনাল পার্টে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
রিফিউজি কাউন্সিলের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমানে ৬৫ হাজার লোক অপেক্ষায় লাইনে আছেন। হোম অফিস জানিয়েছে, ভেঙে পড়া আশ্রয় পদ্ধতিকে সুষ্ঠু করতে তাদের একটি পরিকল্পনা রয়েছে।
রিফিউজি কাউন্সিলের বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, করোনা মহামারী এক্ষেত্রে স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে, যা ২০২০ সালে এক-চতুর্থাংশ বৃদ্ধি পায়। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এনভার সলোমন বলেন, আশ্রয় পদ্ধতি সংস্কারের প্রসঙ্গ এলে আশ্রয়প্রার্থীদের অপেক্ষার বিষয়টি আলোচ্য সূচীর শীর্ষে থাকা উচিত।
হোম অফিস বলেছে, আমরা কেসসমূহকে স্ট্রিমলাইন করতে কাজ করছি এবং ঐগুলোকে অগ্রাধিকার করণের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে, যেগুলো মারাত্মকভাবে অরক্ষিত। তবে আমরা সিদ্ধান্ত প্রদান করা ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে স্থবিরতা কাটাতে এবং লোকজনকে দীর্ঘ সময়ের জন্য অপেক্ষমান থাকা প্রতিরোধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button