‘আবার আসিব ফিরে এই সংসদে…’

গতকাল সোমবার ছিল দশম জাতীয় সংসদের সর্বশেষ অধিবেশন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংসদ গঠিত হয়েছিল যার মধ্যে ১৫৪ জন সাংসদই ছিলেন তথাকথিত ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ নির্বাচিত। অর্থাৎ এই সংসদের বেশিরভাগ সদস্যই জনগণের প্রত্যক্ষ ভোট বা সমর্থন ছাড়াই ”নির্বাচিত” ঘোষিত হয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। কারণ, সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপি সহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এমনকি জাতীয় পার্টিও আংশিকভাবে নির্বাচন বর্জন করার কারণে অধিকাংশ স্থানেই আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা ”বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়” নির্বাচিত ঘোষিত হয়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এটা নিয়মরক্ষার নির্বাচন, প্রয়োজনে আরেকটি নির্বাচন হবে। কিন্তু সেই নির্বাচন আর হয়নি।

যাইহোক, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ঐ নির্বাচন নজিরবিহীন ও বিতর্কিত বলে গণ্য হলেও আওয়ামীলীগের জন্য তা ছিল পরম সুখের।এমন সুখে সংসদের গতকালই ছিল শেষ দিন। জরুরি সংকটকালীন পরিস্থিতি বা যুদ্ধ বিগ্রহ না হলে এই সংসদ আর বসবে না। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংসদ গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই সংসদ থেকে যাবে এবং এই সংসদের সদস্যরাও যথারীতি সাংসদের মর্যাদা ভোগ করে ও প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।

তবে এমন সুখের সংসদে আগের মত সহজ পদ্ধতিতে ফেরা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে কিছুটা শংকা থাকলেও সেই শংকাকে তুরি মেরে উড়িয়ে দিয়ে সমাপনী ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী জীবনানন্দ দাসের কবিতার কয়েক ছত্র আবৃত্তি করে নিজের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন এভাবে-

‘আবার আসিব ফিরে/ ধানসিঁড়িটির তীরে/এই বাংলায়/ আবার আসিব ফিরে এই সংসদে’।

সংসদ নেত্রী এই বক্তব্য দেয়ার পর সংসদে তুমুল হাততালি পড়ে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button