বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে সর্ববৃহৎ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে

Mozinaমার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজেনা বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি পোশাক শিল্প রফতনি করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ একটি দেশে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ একদিন এশিয়ার বাঘে পরিণত হবে। বাংলাদেশ পরিণত হবে পৃথিবীর সেরা রফতানিকারক দেশে ও পৃথিবীর মধ্যে একটি সর্ববৃহৎ ব্র্যান্ডে। আর এটা সম্ভব হবে পোশাক শিল্পের কারণে।
শনিবার দুপুরে তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরের রাজাবাড়ীর ধলাদিয়া এলাকার ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানা পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে ইউএস এইডের পরিচালক জেনিনা জারুজেলস্কি, ডার্ড কম্পোজিট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইতেমা উদ্দৌলাহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল-উদ্দৌলাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আমেরিকায় পোশাক শিল্পে জিএসপি সুবিধা প্রসঙ্গে মজেনা বলেন, ওবামা প্রশাসন দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছে। তবে এ সুবিধা পুর্নবহালে মার্কিন প্রশাসন এদেশের সরকারকে কিছু কর্ম পরিকল্পনা দিয়েছে। জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে গত বছরের ৮ জুলাই জেনেভাতে আমেরিকা, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সেদিন জেএসপি সুবিধা পেতে বাংলাদেশ ওই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অঙ্গিকার করে। ওই দিকনির্দেশনাতে ছিল বাংলাদেশের পোশাক খাতকে কিভাবে রূপান্তর করা যায় তার মূলচিত্র, এটাকে সবার জন্য মানসম্মত পর্যায়ে নেয়ার পদক্ষেপ। সেখানে কারখানায় নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মালিক-শ্রমিক সম্পর্কেরও কথা বলা হয়েছিল। এসব কর্মপরিকল্পনার অনেক কিছু উন্নতি ও অগ্রগতি হয়েছে, পুরো কর্মপরিকল্পনা/রোডম্যাপ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ব্র্যান্ডে পরিণত হবে, পৃথিবীর মধ্যে একটি সর্ববৃহৎ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে। তবে পোশাকখাতে বর্তমানে বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, আর বাংলাদেশই পারে তা অতিক্রম করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে।
তিনি আরো বলেন, ওই রোডম্যাপের মাধ্যমেই পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ স্থান এক নম্বরে করে নিতে পারে, নতুবা সব বিফল হতে পারে। বর্তমানের এই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে না পারলে রানা প্লাজা, তাজরীন ফ্যাশনের মতো আরো ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস এমনটি আর হবে না। এজন্য আমার সরকার, আমার মিশন এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু করা সম্ভব, ততটুকু করব।
তিনি বলেন, আমরা ক্রেতাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি, আইএলওর সাথে কাজ করছি, অন্যান্য অংশীদারসহ বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করছি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button