জামায়াত ই দেশের প্রধান সমস্যা: অর্থমন্ত্রী

Malজামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। জামায়াত ই দেশের প্রধান সমস্যা। তাদের দেশ থেকে বের করে দেয়া দরকার। তাদের দেশে থাকার কোন অধিকার নেই।
গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকে নিন্দনীয় এবং ন্যক্কারজনক বলে উল্লেখ করেন।
তবে জামায়াত নিষিদ্ধে কী ‘প্রবলেম’ আছে, তা না উল্লেখ করলেও ‘জামায়াতকে দ্রত দেশ থেকে বের করে দেওয়ার পক্ষে’ সরকারের ওই বয়োজ্যেষ্ঠ মন্ত্রী।
গত শনিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে অতর্কিতে হামলায় ছুরিকাহত হন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এ ঘটনায় ফয়জুর রহমানকে সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলে এবং পিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।
আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো জামায়াতের ভাষায় কথা হয়ে গেল। জামায়াত দেশের শত্রু। তাদের এক্ষুণি দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে জামায়াতের প্রসঙ্গ আসায় একজন সাংবাদিক তখন বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের একটি সিদ্ধান্ত আছে। আইন মন্ত্রণালয় এটির খসড়া করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমাও দিয়েছে। তাহলে সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে বিলম্ব করছে কেন?
জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে প্রবলেম আছে। সবকিছু দেখেশুনে আগাতে হচ্ছে।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন জাফর ইকবালের ওপর হওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনা এটা প্রমাণ করে কি না যে, দেশে জঙ্গিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে?
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। জঙ্গিবাদ দমন হয়েছে। দু-একটি ঘটনা ঘটছে, জঙ্গিরা ধরাও পড়ছে, বিচারও হচ্ছে।
জাফর ইকবালের ওপর হামলার ব্যাপারে গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেন, এই জঙ্গি হামলায় বিএনপির ইন্ধন আছে। তবে এই প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি অর্থমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনের আগে অর্থমন্ত্রী বিসিএস ইকোনমিক ক্যাডার এবং বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের একীভূত করার বিষয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button