‘বায়তুল মুকাদ্দাসকে মুক্ত করা মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব’

ikramaফিলিস্তিনে আল আকসা মসজিদের গ্র্যান্ড খতিব শাইখ ড. ইকরামা সাঈদ আবদুল্লাহ সাবরি বলেন, বায়তুল মুকাদ্দাস তথা আল কুদসকে মুক্ত করা শুধু ফিলিস্তিন নয়, সমস্ত মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব।
তিনি বলেন, আল আকসা হচ্ছে ফিলিস্তিনের মুকুট। এর পবিত্রতা ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। পৃথিবী থেকে ঊর্ধ্বাকাশে গমন ও অবতরণের তোরণ হচ্ছে আল আকসা। এই তোরণ দিয়ে নবী করিম সা. মিরাজে গিয়েছেন।
তিনি গতকাল বৃহষ্পতিবার  দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও সভাকক্ষে আয়োজিত ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীনী শিক্ষা ও দীনী দাওয়াতের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপ্রিয় ও সাহসী। আরব থেকে এত দীর্ঘ দূরত্বে অবস্থান করেও শক্তি প্রয়োগ কিংবা যুদ্ধ ছাড়াই বাংলাদেশের মানুষ দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেছে। আল আকসা মসজিদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসা রয়েছে। আল আকসা আক্রান্ত হলে তারা ব্যথিত হন।
আল আকসা মসজিদের খতিব বলেন, আমরা একই দ্বীনের অনুসারী এবং রাসূল সা. আদর্শে নিজেদের জীবন পরিচালিত করি। এক মুসলিম উম্মাহ হিসেবে আমরা পরস্পরকে ভালবাসি। পবিত্র কুরআনুল কারীম হল ঐক্য ও সকল জ্ঞানের উৎস। মুসলমানদের জীবন সঠিকভাবে পরিচালনার সকল বিধি-বিধান এতে নিহিত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইসরাইলের দখল দারিত্বের পর ফিলিস্তিনে মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইহুদি-নাসারা এটা সহ্য করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আল কুদসকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার পর বাংলাদেশে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানোর জন্য তিনি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হযরত মুহাম্মদ সা.। তিনি ছিলেন দয়া, মানবতা ও ন্যায় বিচারকের প্রতীক। তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে মানবতার মুক্তি সম্ভব।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস-এর গভর্নর আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধর্মসচিব মোঃ আনিছুর রহমান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক সচিব এনআই খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, শায়খ খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দীসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আলেম-ওলামা অংশ নেন।
এছাড়া বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্বারীদের মধ্যে মিসরের ড. আহমাদ নাইনা, ইরানের সাইয়্যেদ মুহাম্মদ জাওয়াদ হুসাইনি, সিরিয়ার ক্বারী মুতাসিম বিল্লাহ আল আসালি, আলজেরিয়ার শাইখ রিয়াদ আল জাযায়েরি, ভারতের তইয়্যিব জামাল ও বাংলাদেশের শাইখ আহমদ বিন আল আজহারি সভায় অংশ নেন।
সভাশেষে আল আকসা মসজিদের খতিব শাইখ ড. ইকরামা সাঈদ আবদুল্লাহ সাবরি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য মুনাজাত করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button