একশ’ কোটি টাকার তহবিলের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই খাতের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় এটি পরিচালিত হবে। ব্যাংকগুলো ৫ শতাংশ সুদে অর্থ নিয়ে আগ্রহী পোশাক কারখানার উদ্যোক্তাদের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে পারবে। একজন গ্রহীতা সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কর্মকর্তাদের সঙ্গে তহবিলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, জাপানি রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোসীমা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খন্দকার শওকত হোসেন ও জাইকার বাংলাদেশ প্রধান তাকাও টোডা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের মহা-ব্যবস্থাপক সুকোমল সিংহ চৌধুরী।
এ সময় পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, বিকেএমইএর সহসভাপতি মোস্তফা জামাল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম-সচিব অরিজিৎ চৌধুরীসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংক খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে গভর্নর বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা সংস্কারের জন্য জাইকা তহবিল থেকে মোট খরচের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ নেওয়া যাবে। তবে সেই অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি টাকার বেশি হবে না। পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সংগঠনভুক্ত যেসব কারখানায় ১০০ থেকে ২ হাজার শ্রমিক কাজ করে সেগুলো এ অর্থ ব্যবহারের যোগ্য বিবেচিত হবে। পিডব্লিউডি ও জাইকার প্রকৌশলীরা ভবনের ঝুঁকি ও খরচের বিষয়টি নির্ধারণের পর ব্যাংক থেকে অর্থ ছাড় হবে।”
ড. আতিউর জানান, রানা প্লাজা ধসের পর দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছে। এরই মধ্যে আর্থিক খাতের সব প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকের এক দিনের বেতন এবং সিএসআরের আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৯০ কোটি টাকা দিয়েছে।
তিনি আশা করেন, এ ধরনের দুর্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের পোশাক খাত এগিয়ে যাবে। তা ছাড়া জাপানি দাতা সংস্থার আর্থিক এ সহযোগিতা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হবে।
তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিবেচনায় দেশ এখন প্রসংশনীয় অবস্থানে রয়েছে। এখানকার প্রবৃদ্ধির যে সম্ভাবনা তাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব হবে।”
জাপানের রাষ্ট্রদূত সাদোসীমা বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সব সময়ই কাজ করবে জাপান। পোশাক খাতে চালু করা ১০০ কোটি টাকার তহবিলটি সফলভাবে পরিচালিত হবে বলে তিনি আশা করেন।”
তিনি বলেন, “পোশাক খাতের জন্য এটি পাইলট বেসিসে চালু হলো। এর সফলতার ওপর আরও তহবিল দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে।”
এর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে যেসব তহবিল দেওয়া হয়েছে তা বেশ সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামীতেও যে কোনো অবকাঠামো উন্নয়নে জাপান এ দেশের পাশে থাকবে।”
বিজিএমইএ ও বিকেএমইর পক্ষ থেকে এ ধরনের তহবিল চালুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়।
তৈরি পোশাক খাতের জন্য খুব খারাপ সময় যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজিএমইর সহসভাপতি আজিম বলেন, “রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক খাত এক ধরনের ক্রান্তিকাল পার করছে। এমন সময়ে জাইকার এ তহবিল এ খাতের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে বলে আশা করা যায়।”

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button