‘এএটি’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত তাজ একাউনটেন্টস

tajবিশ্বের ১৪০ হাজার সদস্যধারী বৃটিশ একাউন্টিং প্রফেশনলাদের প্রতিষ্ঠান ‘এএটি’র দু’দিনব্যাপী কনফারেন্স ও অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কনফারেন্সের শেষদিনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সফল ৫জনকে অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়। একমাত্র বাংলাদেশী বা বিএমই হিসেবে মেইনস্ট্রিম এই অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী হয়েছেন পূর্ব লন্ডনের তাজ একাউনটেন্টস এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আবুল হায়াত নুরুজজ্জামান।
এ উপলক্ষ্যে উইনজরের এক অভিজাত হোটেলে সারাদেশ থেকে ফাইন্যালিস্ট একাউটেন্ট বা একাউটেন্সি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ইন্ড্রাস্ট্রির শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা যোগদেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশন অব একাউন্টিং টেকনিশিয়ান (এএটি)-এর সিইও মার্ক ফারার।
অনুষ্ঠানে ‘লাইসেন্স মেম্বার অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস’ বিজয়ী আবুল হায়াত নুরুজজ্জামান সম্পর্কে এএটি’র পক্ষ থেকে বিশেষ প্রশংসা করা হয়। ৪’শ ক্লাইন্টধারী তাজ একাউটেন্টসকে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করে মোট ৫জন সর্টলিস্টেড ফাইনেলিস্ট থেকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
আবুল হায়াত নুরুজজ্জামান তাঁর সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা যে উচ্চমানের সার্ভিসের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি, এই অ্যাওয়ার্ডস তারই স্বীকৃতি। আমি এবং আমার টিম মেম্বার সকলেই এই সাফল্যে দারুন আনন্দিত ও গর্বিত। তবে এটি কমিউনিটির প্রফেশনাল সার্ভিস প্রভাইডারদেরও উৎসাহিত করবে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, একাউন্টিং পেশায় কোয়ালিফিকেশন এবং উচ্চমান খুবই জরুরি। অন্যথায় ক্লাইন্ট বা একাটেন্সি প্রতিষ্ঠান দু’পক্ষেরই ঝুঁকি রয়েছে। আমরা শুরু থেকেই বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পাশপাশি, কমিউনিটি তথা তৃণমুল পর্যায়ে সার্ভিস দিয়ে আসছি।
অনুষ্ঠানে রাইজিং স্টার ক্যাটাগরিতে জিনা গার্ডনার এবং এএটি এডভোকেট হিসেবে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী হন। এছাড়াও সিপিডি ও প্রফেশনাল মেম্বার ক্যাটাগরিতেও অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা দেয়া হয়। এ সময় এএটি’র প্রেসিডেন্ট নিকি ফিসারও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে টেকনোলজি’র পাশাপাশি প্রধান গুরুত্ব ছিলো উন্নত ম্যানেজম্যান্ট স্কিল, উচ্চমান এবং সঠিক একাউটেন্সির ওপর।
উল্লেখ্য, তাজ একাউন্টেটস শুরুর থেকেই বিজনেস স্টার্টাপ, রিকোভারি, এডভাইস, পে-রুল, আউটসোর্স একাউেেন্টন্সি, ট্যাক্স রিটার্ণ ও প্রোপাটি রেন্টাল একাউন্টিং ইত্যাদি বিভিন্ন পর্যায়ের সেবা দিয়ে আসছে। জনাব নুরুজ্জামান চ্যারিটি, সেবা ও কমিউনিটি কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। তিনি বৃটেনের বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন বৃটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর।
ইতোপূর্বে তিনি কমিউনিটিতে বিভিন্ন অবদানের জন্য ব্রেন্ট কাউন্সিল অ্যাওয়ার্ডস, সানরাইজ রেডিও বাংলা অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। জনাব নুরুজ্জামানের দেশের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার হাটখলা ইউনিয়নের দিঘীর পার রাজার গাঁও গ্রামে। তিনি পূর্ব লন্ডনের স্টেপনী গ্রীনে স্বপরিবারের বসবাস করেন। ২০১০ সালে গ্রেটোরেক্স স্ট্রিটের মাইক্রোবিজনেস সেন্টারে ক্ষুদ্র পরিসরে তাজ একাউনটেন্টস যাত্রা শুরু করেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পববর্তীতে পূর্ব লন্ডনের ৬৯ ভ্যালেন্স রোডে বৃহৎ পরিসরে অফিস উদ্বোধন করেন।
aat

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button