আওয়ামীলীগ ও জাপা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ৫

ঢাকার অদূরে দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নে সোমবার সকালে লাঙ্গল ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন। নিহতরা হলেন মুসা খন্দকার (৫৫) ও তার ছেলে মাসুদ খন্দকার (২৮), মকবুল হোসেন (৩৫), আসলাম হোসেন (২০) ও রেজাউল (২৬)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় আনার পথে মারা যান আসলাম হোসেন ও রেজার্উল। সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকায় বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের কাছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান হেরেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে নৌকা সমর্থিত চোকদার সম্পদায়ের লোকজন ১০/১২ টি মোটরসাইকেল নিয়ে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে হাজার বিঘা এলাকায় তোতামিয়ার বাড়িতে একত্রিত হয়। এ সময়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে লাঙ্গল সমর্থিত বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে আহত ও হত্যা করে। গত রোববার রাত ৯ টায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম বিজয়ী হওয়ার সংবাদের পরে নৌকা সমর্থিত চোকদার সম্পদায়ের লোকজন বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনের লোকজন লাঙ্গল সমর্থকদের হত্যার হুমকি দিলে বিষয়টি তারা থানা পুলিশকে জানালে আইন-শৃংখলাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঙ্গল সমর্থক লোকজনের ওপর  চড়াও হলেও পুলিশ কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় লাঙ্গল সমর্থিত আলাউদ্দিন মোল্লার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে তাদের কাছে এর ব্যাখা দাবি করেন। পরে তারা বিক্ষোভ করে এবং দোহার থানা ঘেরাও করে। ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী এলাকায় টহল বৃদ্ধি করেছে। গোটা উপজেলা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও লাঙ্গল সমর্থক আলাউদ্দিন মোল্লা জানান, দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুল মান্নান খানের নিজস্ব লোক। হত্যার হুমকির বিষয়টি পূর্বেই ওসিকে জানানো হয়ে ছিল।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যা ও হামলাকারীদের গ্রেফতারে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাড়াশী অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে এডিশনাল এসপি শহীদুল ইসলাম জানান, হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে আইন-শৃংখলাবাহিনী মাঠে কাজ করছে।
দোহার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমুল হক পাভেল জানান, সহিংসতার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি আইন-শৃংখলাবাহিনীসহ পরিদর্শন করে এসেছি। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা জেলা এডিশনাল এসপি মোনালিসা জানান, সহিংসতার খবর পেয়ে নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসছি।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, অপরাধীরা যত শক্তিশালীই হোক তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button