কবি আল মাহমুদের ৭৯তম জন্মদিন পালন

Almahmud‘আমি রবীন্দ্রনাথ পড়েছি, নজরুল পড়েছি কিন্তু আল মাহমুদের কবিতা ছাড়া আর কারও কবিতায় কবিতার বিজয় দেখিনি। তিনি বাংলার নিজস্বতা আবিষ্কার করতে পেরেছেন।’
সোনালী কাবিনের কবি আল মাহমুদের ৭৯তম জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে এসে শুক্রবার শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে এসব কথা বলেন কবি আসাদ চৌধুরী।
আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি এবং ভক্ত ও সতীর্থদের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে পালিত হয় বর্ষিয়ান এ কবির জন্মদিন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বৃষ্টিঘর সাহিত্য চক্র।
কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার হলো বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম কবির জন্মদিনের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করা। এমন পুরস্কার এর আগে আমাকে কেউ দেয়নি। আমরা যদি আল মাহমুদের জন্মদিন পালন করতে না পারতাম, তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছে ধিক্কার শুনতে হতো।
কবি আসাদ চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর মাহমুদ শাহ কোরায়শী, গীতিকবি কেজি মোস্তফা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ড. শাহজাদা বসুনিয়া, কবি আবদুল হাই শিকদার, কবি লুৎফুল হক, কথাসাহিত্যিক জোবাইদা গুলশান আরা, গদ্যকার আফরোজা পারভিন ও কবি জাকির আবু জাফরসহ একান্ত অনুরাগীরা।
আল মাহমুদকে প্রিয়কবি উল্লেখ করে ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখনও বসবাসের অযোগ্য হয়নি। তার উদাহরণ কবি আল মাহমুদকে নিয়ে তরুণ প্রজন্মের আজকের আয়োজন। আল মাহমুদ দেশের আত্মার সাথে মিশে আছেন। আশা করি তার সৃজনশীল লেখনীর মাধ্যমে আমাদেরও দেশের প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে।
কবিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মাহমুদ শাহ কোরায়শী বলেন, আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের এক বিশিষ্ট নাম। আশা রাখছি তিনি আমাদের আরও নতুন কিছু উপহার দিবেন, বাংলা সাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবেন।
জোবাইদা গুলশান আরা বলেন, আল মাহমুদ এমন একজন কবি যিনি সবার ভাবনার মধ্যে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। তার কবিতায় প্রকৃতির যে উপাদান তা বাংলা সাহিত্যের তথা বাংলাভাষার এক অনন্য দান। আর এসব বৈশিষ্ট্যের জন্যই তার কবিতা পরম মুগ্ধতায় পাঠকের কাছে ধরা দেয়। তার কথার মধ্যে লেখার মধ্যে তারুণ্য সবসময় খেলা করে। আল মাহমুদ আমাদের মাঝে আরও অনেক দিন বেঁচে থাকবেন।
স্বাগত বক্তব্যে জাকির আবু জাফর বলেন, একজন কবির জন্মদিন মানেই সারা পৃথিবীর একজন কবির জন্মদিন। কিন্তু আল মাহমুদের জন্মদিন মানে একটু অন্যরকম আবহ। আল মাহমুদের কবিতা মানেই বাংলাদেশের মাটি, প্রকৃতি, নারী, নদী ও জলের একেবারেই ঘনিষ্ট বর্ণনা।
অনুষ্ঠানে কবিকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন ভক্ত ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে- জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ নজরুল আবৃত্তি পরিষদ, সাইমুম পরিবার, পুবের হাওয়া, স্বাধীনতা ফোরাম, আনন ফাউন্ডেশন, সওগাত সাহিত্য সংসদ, দিশারি, বাংলাদেশ সংস্কৃতি কেন্দ্র, সাত ভাই চম্পা এবং রাইটার্স অব বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button