গাজায় সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরাইল, নিহত ২১২
বিশ্বব্যাপী যখন ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অর্থ্যাৎ ‘বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস’ পালিত হচ্ছে, তখন গাজার ফিলিস্তিনী সাংবাদিকরা ইসরাইলী বোমাবর্ষন, স্নাইপার হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গ্রেফতারের মধ্যেও তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলী গনহত্যামূলক যুদ্ধ শুরুর পর থেকে চলছে এ অবস্থা।
গাজায় সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের নৃশংসতা সংঘটিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সাংবাদিকদের অধিকারের বিষয়ে কর্মরত বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিষ্ঠুর নীরবতার মধ্যে।
সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাসমূহের মতে, এটা এমন নীরবতা, যা ইসরাইলকে তার অপরাধ-অপকর্ম অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করছে। গনহত্যামূলক সাময়িক অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরাইল ২১২ জন ফিলিস্তিনী সাংবাদিককে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে ১৩ জন নারী সাংবাদিক।
গাজায় গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস এটাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকান্ড’ বলে আখ্যায়িত করেছে। প্যালেস্টাইন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এর মতে ১৯৯২ সালে রেকর্ড শুরুর পর থেকে উপরোক্ত পরিসংখ্যান সাংবাদিক নিহত হওয়ার সর্বোচ্চ রেকর্ড।
মানবাধিকার ও জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ গাজা উপত্যকায় ইসরাইল কর্তৃক সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়ে উপর্যুপরি নিন্দা জ্ঞাপন করছে।
কিন্তু এসব সাংবাদিককে সুরক্ষা দান কিংবা মুক্ত মিডিয়ার ব্যাপারে তাদের অধিকারের গ্যারান্টি প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে। ২৪ লাখ ফিলিস্তিনীর মতো গাজার সাংবাদিক ও তাদের পরিবারগুলো গত ১৮ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর ইসরাইলী অবরোধের মধ্যে বসবাস করছেন। গাজায় সরকারী মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসরাইল আল-থাওয়াবতা জানান, হতাহত হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক, নিউস এজেন্সী রিপোর্টার এবং আন্তর্জাতিক চ্যানেলসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ।
তিনি আরো জানান, ইসরাইল ৪০৯ জন সাংবাদিককে আহত, ৪৮ জনকে গ্রেফতার এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজের জন্য সুপরিচিত ২১ জন বিশিষ্ট অ্যাক্টিভিস্টকে হত্যা করেছে।