ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর রমজানের শুভেচ্ছা

Cameronসৈয়দ আনাস পাশা: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, মুসলমানরা ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় চ্যারিটি দাতা ধর্মীয় সম্প্রদায়। অন্যান্য যে কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের চেয়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরাই ব্রিটেনের চ্যারিটি কর্মকাণ্ডে বেশি দান করেন।
পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার প্রাক্কালে সোমবার লন্ডন সময় মধ্যরাতে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ব্রিটেনসহ সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এই বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে ডেভিড ক্যামেরন বলেন, পবিত্র মাস রমজান উপলক্ষে আমি সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানাই। ব্রিটেনসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এই মাসটি বছরের সবচেয়ে সেরা মাস। এই মাস মুক্তহস্তে দান করার মাস, আত্মশুদ্ধি ও অনুশীলনের মাস।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ব্রিটেনে মুসলমান সম্প্রদায় আমাদের সবচেয়ে বড় দাতাগোষ্ঠী, যারা অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি দান করে থাকেন।
পরোপকারে মুসলমানদের এই উৎসাহ সারা বছরই আমরা দেখতে পাই মন্তব্য করে রমজান শুভেচ্ছায় ক্যামেরন বলেন, যে মুসলমানরা তাদের মসজিদ থেকে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য স্পোর্টস ক্লাব পরিচালনা করে। তারাই আবার রিমেমবারেন্স-ডে-তে পপি ফুল বিক্রি করে চ্যারিটি সংগ্রহ করে।
সারা দেশে যখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়, তখন ভারী কাপড় ও জুতো পড়ে এই মানুষগুলোই আবার আক্রান্ত পরিবারগুলোকে সাহায্যের জন্য ছুটে আসে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান হলো- এমন একটি সময়, যে সময়ে মুসলমানদের মধ্যে মানুষকে সহযোগিতা করার ইচ্ছেটি আরও বেড়ে যায়। সেবার মানসিকতা আরো সামনে চলে আসে।
তিনি বলেন, আমি যখন শুনি, প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের যুদ্ধ আক্রান্ত ও দুর্ভিক্ষপীড়িত হতভাগ্য মানুষের জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড সংগৃহীত হয়, তখন খুবই গর্ব অনুভব করি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উপলব্ধি, রমজান হলো অনুশীলন, প্রার্থনা এবং পরের জন্য গভীরভাবে চিন্তা করার সময়।
রমজান শুভেচ্ছায় ক্যামেরন আরো বলেন, ঈদের পরদিনই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ১শ বছর পূর্ণ হবে। এক মিলিয়নেরও বেশি ভারতীয় ছেলে-পুরুষ ওই সময় আমাদের সেনাবাহিনীর সহযোগী হয়ে একসঙ্গে যুদ্ধ করেছেন, যাদের মধ্যে হাজার হাজার মুসলমানও ছিলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাসের জোরে তারা আমাদের স্বাধীনতা রক্ষায় অনেক কষ্ট সহ্য করে সাহসের সঙ্গে ওই সময় শত্রুর মোকাবেলা করেছেন, তাদের নিঃস্বার্থ ও সাহসী সহযোগিতা আমাদের স্বাধীনতা নিরাপদ রেখেছিলে বলেই আমরা আজ তা ভোগ করছি।
তিনি বলেন, ১০০ বছর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের স্বাধীনতা রক্ষায় সাহসের সঙ্গে যারা প্রাণ দিয়েছেন, এবারের রমজানে সেই সাহসী মানুষদের স্মরণ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাই।
বিবৃতির শেষে ‘রমজান মোবারক’ বলে সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button