লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট চালু করবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ

United Airপ্রায় ৪শ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিয়োগকারীর সন্ধ্যানে যুক্তরাজ্যে আবারো প্রচারনা শুরু করেছেন প্রবাসীদের বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। সোমবার পূর্ব লন্ডনের মুসলিম সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটি জানালেন ইউনাটেড এয়ারওয়েজ এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন তাছবিরুল চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিগত বছর তার পদত্যাগের কারন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চিঠি ব্যাখ্যা দেন উপস্থিত সাংবাদিকদের। তিনি বলেন, বিগত ৯ বছরে ১০ কোটি টাকার বিনিয়োগ এখন ৬শ ২৪ কোটি টাকায় পৌছেছে। আমরা বিশ্বের ৯টি দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করছি। শীর্ঘই লন্ডন, বার্মিংহা ও মানচেষ্টার থেকে সিলেট ও ঢাকায় ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাইভেট এয়ারলাইন হিসাবে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (ইউ বি বি) ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি নতুন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে এবং একই সাথে প্রবাসীদের জন্য এই সফল প্রতিষ্ঠানের গর্বিত অংশীদার হওয়ার আরো একবার সুযোগ নিয়ে এসেছে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (ইউবিডি) বাংলাদেশের একমাত্র প্রাইভেট এয়ারলাইন যাদের ইউকে থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি রয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (ইউবিডি) বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধিক গতিতে বেড়ে ওঠা একটি প্রাইভেট এয়ারলাইন যা বর্তমানে ঢাকা থেকে কলকাতা, দুবাই, কাঠমুন্ডু, জেদ্দা, কুয়ালালামপুর, মাস্কাট, দোহা, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককসহ বাংলাদেশের সকল ডমেস্টিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিমান বহরের আকার দ্বিগুন করতে এবং এনার্জি এফিসিয়েন্ট বোয়িং ও এয়ারবাসসহ বড় বড় নতুন বিমান চালু করতে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি বিনিয়োগ করা হবে যা দুরের রুটে সরাসরি নন-স্টপ ফ্লাইট পরিচালনায় সক্ষম। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (ইউবিডি) লন্ডন গ্যাটউইক, বার্মিংহাম ও ম্যানচেষ্টার থেকে সরাসরি সিলেট ও ঢাকা বিকল্প রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। প্রত্যেকটি বিমানে আধুনিক ইকোনমি ও বিলাশবহুল বিজনেস ক্লাসসহ আন্তর্জাতিক মানের সার্ভিস প্রদান করা হবে এবং তাতে পৃথিবীর অন্যান্য বিখ্যাত এয়ারলাইনের মত সর্বাধুনিক আন্ত-বিমান বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে।
২০০৭ সালে নিবন্ধিত হওয়ার পর থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) এর কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা এর নেতৃত্ব, ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি পাইলট ও ক্রুদের পেশাদারীত্ব ও অভিজ্ঞতার ফলে সম্ভব হয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ শেয়ারহোল্ডারদেরকে বাৎসরিক ১০% এরও বেশি রিটার্নসহ গত ৪ বছরে ৪৭% লভ্যাংশ দিয়ে অভিভুত করেছে। এই লভ্য অর্জনে বিভিন্ন আকারে ছোট ছোট বিমান পরিচালনায় ভূমিকা ছিল যা ফ্লেক্সিবল শিডিউলিং ও তেলের অতিরিক্ত দামের সময় অর্থ সাশ্রয় করেছে।
এই কোম্পানীর জন্য ২০১৫ সালে কেন একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর হবে তা প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ক্যাপ্টেন তাছবিরুল চৌধুরী ব্যাখ্যা করেন।
ডমেস্টিক মার্কেটে এর চাহিদা বেশি যা ৬% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে চাহিদা বাড়ছে ৮% হারে। বিদেশী এয়ারলাইনগুলো বাংলাদেশের মার্কেটের কথা বিবেচনা করে তাদের বিমানসংখ্যা দিগুন করার জন্য অনুরোধ করেছে। তেলে দাম কমেছে এবং বিমানের এনার্জি এফিসিয়েন্সি বেড়েছে। ইউবিডি কোন বড় ধরনের ঘটনা ছাড়াই এযাবৎ ৫৬হাজার এর বেশি বিমান পরিচালনা করেছে এবং ৪০ লাখেরও বেশি যাত্রী বহন করেছে। আমাদের বিশ্বাস ইউরোপিয়ান মার্কেটে সম্প্রসারণের এখনই উপযুক্ত সময়।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ইনভেষ্টমেন্ট/ লোন ফান্ড হচ্ছে একটি নতুন উদ্যোগ যার মাধ্যমে ইউকে ও তার বাইরে বসোবারত প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই ডাইনামিক ও একাইটিং ইন্ডাস্ট্রিতে অংশগ্রহন করতে পারেন। ক্যাম্পেন চৌধুরী এরর বেনিফিট সম্পর্কে এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর একটি ফাস্টেট গ্রোয়িং এয়াারলাইনের গুরুত্বপুর্ণ অংশীদার হতে পারেন এবং আমাদের এয়ারলাইনে প্রতিবার ভ্রমণের সময় আপনি ভিআইপি হিসাবে সুযোগ সুবিধা লাভ করবেন। আমরা আকাশের একটি পরিপূর্ণ ক্লাবের অংশীদার হব যেখানে আমাদের ভিশন, এ্যম্বিশন এবং এচিভমেন্টের জন্য আমাদের দেশ এবং ইউকে গর্বিত বোধ করবে। এই উদ্যোগের ফলে একটি বাংলাদেশী এয়ারলাইন এবং বাংলাদেশী শেয়ারহোল্ডার ও ইনভেষ্টরগণ যাতে বেনিফিট লাভ করে এই নতুন ফান্ডিং তা নিশ্চিত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিনিয়োগ কারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহজান আজিজ, মাজহারুল হক, মদরিছ আলী, জাকির চৌধুরী, ড. বি কে শাহা, সোহেল চৌধুরী, বদরুল হক চৌধুরী, আব্দুল মালিক, তোফায়েল চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button