‘রিং অব ফায়ার’

শতাব্দীর বিরল সূর্যগ্রহণ

বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হলো আজ। কক্ষপথ পরিক্রমায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী আর সূর্যের মাঝে চলে আসে চাঁদ। ধীরে ধীরে চাঁদের আড়ালে ঢাকা পড়ে সূর্য। তবে পুরোপুরি ঢাকতে না পরায় শেষ মুহূর্তে সূর্যের বাইরের অংশটি উজ্জ্বল বলয়ের মতো দেখায়, যেন আগুনের আংটি। তাই বিজ্ঞানীরা এবারের সূর্যগ্রহণের নাম দিয়েছেন ‘রিং অব ফায়ার’। ১৭২ বছর আগে পৃথিবীর মানুষ দেখেছিল এমন সূর্যগ্রহণ। বাংলাদেশ থেকে এবার আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে। এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু এলাকা থেকেও সূর্যগ্রহণ দেখেছেন মানুষজন। তবে ইউরোপ বা আমেরিকায় রাত থাকায় দেখা যায়নি সূর্যগ্রহণ।

কেন সূর্যগ্রহণ হয়?
জ্যেতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্র যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে একই লাইনে চলে আসে তখন চন্দ্র দ্বারা সূর্য আড়াল হয়ে যায়, তখনই সূর্যগ্রহণ হয়। এটি সব সময় অমাবস্যার দিনেই হয়।

প্রশ্ন হতে পারে প্রতি অমাবস্যায় হয় না কেন?
কারণ পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে চাঁদ ৫.১৫ ডিগ্রি কোণে করে ঘোরে। এ জন্য প্রতি অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণ হয় না। সূর্যগ্রহণ চার প্রকার হয়ে থাকে- আংশিক গ্রহণ যা সূর্যের কিছু অংশ ঢেকে ফেলে, পূর্ণ গ্রহণ হলে কিছু সময়ের জন্য সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে। বলয় গ্রহণ হলে কিছু সময়ের জন্য চন্দ্র সূর্যের মাঝে চলে যায়। এ সময় সূর্যকে চারিদিকে রিং বা আংটির মতো দেখায়। আজ বলয় গ্রহণ হয়েছিল। আরেক ধরনের গ্রহণের নাম হাইব্রিড গ্রহণ। এটা হলে পূর্ণ গ্রহণ ও বলয় গ্রহণের সমন্বয়; এটা খুব কম হয়ে থাকে।

১৯০১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত মোট সূর্যগ্রহণ হয়েছে ২২৮টি। এর মধ্যে আংশিক গ্রহণ ৭৮টি, পূর্ণ গ্রহণ ৭১টি, বলয় গ্রহণ ৭৩টি ও হাইব্রিড গ্রহণ ৬টি। ২০০১ সাল থেকে ২১০০ সাল পর্যন্ত মোট সূর্যগ্রহণ ঘটবে ২২৪টি। এর মধ্যে আংশিক গ্রহণ হবে ৭৭টি, পূর্ণ গ্রহণ ৬৮টি, বলয় গ্রহণ হবে ৭২টি ও হাইব্রিড গ্রহণ ৭টি। পরবর্তী সূর্যগ্রহণটি হবে আগামী বছর ২১ জুন। এটি হবে বলয় গ্রহণ এবং এটি দেখা যাবে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশে এবং আফ্রিকা ও এশিয়া অধিকাংশ অঞ্চল থেকে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button