ক্রিসমাস উপলক্ষে রানীর ৬২০ উপহার ও ৭৫০টি কার্ড

ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ (৯০) তার স্টাফ ও পরিবারের জন্য ৬২০টি উপহার সামগ্রী ক্রয় করেছেন, যার দাম প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড। প্রাসাদের এক সাবেক কর্মচারী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ফ্যাবুলাস ডিজিটাল এর সাথে কথা বলতে গিয়ে উক্ত কর্মচারী বলেন, ক্রিসমাসের ২ সপ্তাহ পূর্বে গৃহস্থালীর ডেপুটি মাস্টার রাজকীয় কর্মকর্তা থেকে গৃহকর্মী এবং হিসাব রক্ষক থেকে গৃহপরিচারক পর্যন্ত সকল স্টাফকে বাকিংহাম প্রাসাদের স্টেটরুমে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। তারা বলেন, এখানে রানীর নিকট থেকে এক মোড়কে আচ্ছাদিত উপহার গ্রহনের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান। রানী তাদের প্রত্যেককে কয়েকটি কথা বলেন। অনেকটা ‘বছর ব্যাপী তোমার সহযোগিতার জন্য অনেক ধন্যবাদ’ জাতীয়, পরিশেষে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’। যদি কোন স্টাফ নিদির্ষ্ট দিনগুলোতে আসতে সক্ষম না হয়, উদাহরন স্বরূপ, বাল্টিমোরে গিল্লির (শিকারীর সহকারী) কাজে নিয়োজিত, তাদের কাছে নিশ্চিতভাবেই পৌঁছে যাবে এসব উপহার- সাথে মহামান্য রানীর দেয়া একটি কার্ড।

উপহারসামগ্রী সাধারনত: প্রাসাদের উপহার সামগ্রীর দোকান থেকে একটি প্রতীকী বই কিংবা চায়নার একটি ছোট্ট পীস। অধিকাংশ বছরে রানী একটি বাক্সে একটি ছোট্ট ক্রিসমাস পুডিংও প্রদান করেন। রাজপরিবারের ওয়েবসাইট অনুসারে, মোট দেড় হাজার ক্রিসমাস পুডিং প্রাসাদের স্টাফ, রাজকীয় পোস্ট অফিস এবং প্রাসাদের পুলিশদের হাতে তুলে দেয়া হয়। রাজ পরিবার থেকে এর অর্থ পরিশোধ করা হয়।

রাজপরিবারের উক্ত কর্মচারী আরো জানান, এক রাজকয়ি কর্মকর্তা রানীর পাশে একটি তালিকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন, যে তালিকা থেকে তিনি মৃদুস্বরে প্রত্যেক পুরস্কার গ্রহীতার নাম উচ্চারন করবেন এবং গ্রহীতা উপহার গ্রহন করবেন। ঠিক যেনো একটি প্রাসাদের আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মতো।

প্রতিটি পুডিংয়ের সাথে থাকে রানী ও ডিউক অব এডিনবরার পক্ষ থেকে একটি শুভেচ্ছা কার্ড এবং তিনি এভাবে প্রতি বছর মোট সাড়ে ৭শ’ কার্ড প্রেরণ করেন। এগুলো কমনওয়েলথ দেশসমূহের প্রধানদের দেয়া হয়, একই সাথে দেয়া হয় যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের।

কর্মচারী আরো জানান যে, রানী ক্রিসমাসের আগে হেরোড থেকে একটি ব্যক্তিগত কেনাকাটা সম্পাদন করে থাকেন। তারা বলেন, বর্তমানে মহামান্য রানীর ব্যক্তিগত সচিবের অফিসের দু’জন মহিলা অনলাইনে সকল উপহার সামগ্র পছন্দ বা বাছাই করে থাকেন। তবে এই কিছুকাল আগেও রানী নিজেই কেনাকাটা করতে যেতেন। এখন পছন্দের স্টোরগুলো, প্রধানত: হেরোডস্ এবং ফোর্টনামস, রানীর কাছে ভ্যানগাড়ি ভর্তি সামগ্রী পাঠিয়ে দেয় তার দেখার জন্য।

‘সকল সামগ্রী বাকিংহাম প্রসাদের দু’টি কক্ষের টেবিলগুলোর ওপর প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়’। এটা ছিলো ঠিক তার নিজস্ব রাজকীয় শপিং মলের মতো। কিন্তু এখন আর এটা করা হয় না।
‘এটা ছিলো রানীর নিজস্ব রাজকীয় শপিং মল। কিন্তু এখন আর এটা করা হয় না। এটা ঐসব কারণের একটি, যাতে বয়স হয়ে যাওয়ায় তার শক্তি আর খরচ করার প্রয়োজন নেই।

ইতোমধ্যে তার পরিবারের ঘনিষ্টজনদের কাছে যখন এটা এসে পড়ে, তখন রানীকে জোক অর্থাৎ কৌতুক উপহার দেয়া হয়। রাজকীয় লেখক ফিল ড্যাম্পিয়ার বলেন: বয়স্করা হালকা ধরনের কৌতুক বিনিময় করেন, প্রিন্স হ্যারি একবার রানীকে একটি শাওয়ার ক্যাপ উপহার দেন। এতে লেখা ছিলো: ‘জীবন কি এতে মুদ্রিত একটি ‘বিচে’র মতো নয়?’

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button