‘নাই তাজ, তাই লাজ’!

সারওয়ার মো: সাইফুল্লাহ খালেদ: সাম্রাজ্যবাদীদের সামরিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও নানাবিদ শোষণ-নির্যাতন আজ মুসলিম বিশ্বে হাহাকার। মুসলিমরা সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হারাতে বসেছে কার্যত। এর প্রধান কারণ সাম্রাজ্যবাদী দেশ এবং তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিশ্বদাতা সংস্থাগুলো থেকে আর্থসামাজিক উন্নয়নের নামে যাচাই-বাছাই না করে শর্তযুক্ত ঋণ ও অনুদান গ্রহণ। এর সাথে যুক্ত হয়েছে দেশী-বিদেশী বহু এনজিও যারা পরাক্রমশালী দেশগুলো থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আর্থসামাজিক উন্নয়নের ছদ্মাবরণে মুসলিম দেশগুলোতে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের ভাবাদর্শের অনুকূলে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ঘোষিত ও অঘোষিত অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ কারণে মুসলমানরা নিজস্ব ঐতিহ্যগত ভাবাদর্শের উন্নয়ন মডেলের শক্তির ওপর আস্থা হারিয়ে পাশ্চাত্যের উন্নয়ন মডেলের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এ কাজে পাশ্চাত্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কারিগররাও অবদান রেখে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর সামাজিক অবয়ব অনেকটা জগাখিচুড়ি রূপ নিয়েছে।

মুসলমানরা একসময় রোমক ও পারস্য সাম্রাজ্যের সামাজিক কালিমা দূর করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এমন একপর্যায়ে উপনীত হয়েছিল যে, জাকাত নেয়ার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যেত না। কিন্তু পৃথিবীর কোথাও আজ আর মুসলমানরা সে অবস্থায় নেই এবং গর্বযোগ্য সে রাজত্বও নেই। কারণ তারা সেই আদর্শ থেকে ধীরে ধীরে বিচ্যুত হয়েছে। তাই বলে হতাশ হওয়ার মতো কোনো কারণ নেই। ব্রিটিশরা এ উপমহাদেশের শাসনভার মুসলমানদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। তাই ভারতবর্ষের মুসলমানরা হতাশায় ভেঙে পড়েছিল। এ পরিস্থিতিতে মুসলমানদের ঐতিহ্য স্মরণ করে কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন- ‘নাই তাজ, তাই লাজ!/ওরে মুসলিম,/ খর্জুর শীষে তোরা সাজ’। এ কথার অর্থ- তোমাদের যা অবশিষ্ট আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাক, আক্ষেপ বা সঙ্কোচ করো না; নিজেদের ঐতিহ্য ও আত্মসম্মানবোধ জাগ্রত রাখো।

হয়তো অনেকেরই জানা আছে, অ্যাথেনিয়ানরা এককালে অলিম্পিক বিজয়ীদের জলপাইয়ের পাতার তৈরি মুকুট পরিয়ে গৌরবান্বিত করত। সোনার মুকুট বা মেডেলের অপেক্ষায় তাদের প্রবর্তিত ঐতিহ্যবাহী অলিম্পিক গেম থেমে থাকত না। এ কথা স্মরণ করেই নজরুলও কথা লিখেছিলেন কি না জানি না; তবে তার এই প্রেরণাসঞ্চারী উক্তি আজকের মুসলমানদের চলার পথে পাথেয় হতে পারে। পাশ্চাত্য সভ্যতার ভিত্তি হলো, সম্পদের প্রতি লোভ। এই লোভের বশে দ্রুত বৈষয়িক উন্নয়নের লক্ষ্যে তারা নিষ্ঠুরভাবে বিশ্বব্যাপী লুণ্ঠনের সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছে এবং এখনো কৌশলে ঘটিয়ে চলেছে। তাই তারা আজ বিশ্বে নীতিবিবর্জিত বৈষয়িক উন্নয়নের আদর্শ। কিন্তু মুসলমানদের আদর্শ ও শিক্ষা তা নয়। রাসূলে করিম সা: বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো এবং ধীর গতিতে জীবিকা অন্বেষণ করো। অর্থোপার্জনে তাড়াতাড়ি করো না এবং সীমাহীন লোভ করো না’। (ইমাম গাজ্জালি, কিমিয়ায়ে সায়াদাত, ১৯৯৬, তৃতীয় জিলদ, পৃষ্ঠা-১৬৪) বাস্তবে পাশ্চাত্য ধারার সীমাহীন লোভই আজ বিশ্বব্যাপী দৃশ্যমান বাহ্যিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি।

বেশির ভাগ মুসলিম দেশের বর্তমান নেতারা কথিত উন্নয়নের যে বিরামহীন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন, তা পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুকরণ মাত্র। পাশ্চাত্যের মডেলে বিশাল বিশাল বহুতল ইমারত ও বহুতল সড়কবহুল নগরায়ন, দেশীয় শিল্পকে পশ্চাতে রেখে পাশ্চাত্যধর্মী নতুন নতুন পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কারখানা গড়ে তোলা, পাশ্চাত্যের আদলে বৈষম্যমূলক একটি নতুন সমাজ বিনির্মাণ, আমাদের চিরায়ত সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাকে পাশ্চাত্যায়ন করা, ধন-সম্পদ আহরণ ও সঞ্চয়ে মাত্রাতিরিক্ত ব্যস্ততা- এসব চলছে। কিন্তু এর পরিণাম পাশ্চাত্যের মতোই হিতে বিপরীত হচ্ছে। সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে, নানাবিধ দুর্বৃত্তায়নের উদ্ভবের ফলে মানুষ দিশাহারা।

এমনটা যে হবে এর ইঙ্গিত নবী করিম সা: দিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে সময় মানুষ ধন-সম্পদ সঞ্চয়ে মনোনিবেশ করবে, দালান-কোঠা-ইমারত নির্মাণে উৎসাহিত থাকবে এবং দরিদ্রদের শত্র“র মতো মনে করবে, তখন আল্লাহ তায়ালা জনসমাজে চার প্রকার ‘বালা’ (আপদ-বিপদ) প্রেরণ করবেন- ০১. দুর্ভিক্ষ; ০২. রাজশক্তির অত্যাচার; ০৩. বিচারকদের পক্ষপাতমূলক আচরণ; ০৪. কাফের ও শত্র“দের দৌরাত্ম্য।’ (ইমাম গাজ্জালি, কিমিয়ায়ে সায়াদত, ১৯৯৭, চতুর্থ জিলদ, পৃষ্ঠা-১৩৯-১৪০)। আজ বিশ্বব্যাপী মুসলিম-অমুসলিম দেশ নির্বিশেষে যেখানেই এ ফাঁদে পা দিয়েছে, সেখানে এরই ‘প্রদর্শনী’ দেখছি আমরা।

এর মানে এই নয় যে, মানব জীবনে বৈরাগ্য অবলম্বন করতে হবে। আল কুরআনের স্পষ্ট নির্দেশন- ‘সন্ন্যাসবাদ- এ তো তারা নিজেরাই প্রবর্তন করেছিল। আমি এর বিধান দেইনি তাদের’। (সূরা হাদিদ-৫৭, আয়াত-২৭) এ ছাড়া হাদিসেও স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ আছে- ‘ইসলামে কোনো বৈরাগ্যবাদ নেই’ (মুসনাদে আহমাদ, ষষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা-২২৬)। ইসলামী অর্থব্যবস্থায় জাগতিক সম্পদকে আল্লাহর নিয়ামত হিসেবে গ্রহণ করে তা শরিয়াত নির্ধারিত পন্থায় ভোগ করে শোকর আদায়ের জন্য মুসলমানদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ পাক বলছেন ‘তোমার জাগতিক হিস্যাকে ভুলে যেয়ো না’ (সূরা কাসাস-২৮, আয়াত-৭৭)। জীবনযাপনের জন্য মানবজাতি বিশেষ করে ছয় প্রকার দ্রব্যের মুখাপেক্ষী।

এগুলো হলো- ০১. খাদ্য বা আহার্য্যসামগ্রী; ০২. বস্ত্র; ০৩. বাসস্থান; ০৪. গৃহের আসবাবপত্র; ০৫. পতœী, এবং ০৬. ঐশ্বর্য ও সম্মান। সাংসারিক জীবনে এসব বিষয় মানবজাতির নিতান্ত প্রয়োজনীয়। এসব অত্যাবশ্যকীয় বস্তু না পেলে মানুষ, অস্থির ও অধীর হয়ে পড়ে। আবার এসব মোটেও না পেলে শোচনীয় অভাবের সম্মুখীন হয়ে কেউ কেউ কাফের হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে মাত্রাতিরিক্ত ধন-সম্পদ ও সম্মান মানুষকে অহঙ্কারী ও দাম্ভিক করে তোলার ভয় থাকে। তাই ‘যাকে আল্লাহ তায়ালা তাঁর দয়ার আশীর্বাদে ইসলামের পথ দেখিয়েছেন এবং এত সম্পদ দিয়েছেন যা তার অভাব পূরণের জন্য যথেষ্ট এবং তাতেই সে সন্তুষ্ট, সে-ই সৌভাগ্যবান।’ (ইমাম গাজ্জালি, কিমিয়ায়ে সায়াদাত, ১৯৯৬, তৃতীয় জিলদ, পৃষ্ঠা-১৫২-১৯৩)

পাশ্চাত্য বস্তুবাদী সভ্যতার জৌলুস দেখে মুসলমানদের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাদের ভোগবাদী সভ্যতা অনুকরণীয় হতে পারে না, যেখানে মুসলমানদের নিজস্ব আদর্শ অনুসরণে পবিত্র জীবনযাপনের ঐতিহ্য রয়েছে। পবিত্র কুরআনে স্পষ্টতই উল্লেখ আছে- ‘যারা কুফরি করে, তাদের জন্য পার্থিব জীবনটা সুশোভিত করে রাখা হয়েছে। এরা ঈমানদার ব্যক্তিদের বিদ্রƒপ করে। ঈমানদার ব্যক্তি যারা আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেছে, শেষ বিচারের দিন তাদের মর্যাদা অনেক বেশি হবে। আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা অপরিমিত রিজিক দান করেন।’ (সূরা বাকারা-২, আয়াত-২১২) আমরা যারা পরকালে এবং শেষ বিচারের দিনে বিশ্বাসী মুসলমান তাদের পক্ষে পাশ্চত্যের তুলনায় জৌলুসহীন জীবনযাপন আক্ষেপের কারণ হতে পারে না এবং তাদের অনুকরণ করে পার্থিব জীবন জৌলুশপূর্ণ করে সাজাবার জন্য ব্যতিব্যস্ত হওয়ার কারণ নেই। পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার সবই মন্দ বা ক্ষতিকর নয়। এমন কিছু বিষয় আছে যা পরকালের জন্য কল্যাণকর। তা হচ্ছে, উত্তম জ্ঞান এবং ভালো কাজ। এই দুই বস্তু পরকাল পর্যন্ত মানুষের সঙ্গী হবে।’ (ইমাম গাজ্জালি, কিমিয়ায়ে সায়াদাত, ১৯৯৫, প্রথম জিলদ, পৃষ্ঠা-৮৬-৯৩)

জ্ঞানের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হজরত আলী রা: বলেন, Knowledge is of two kinds: native and acquired,/But no acquired knowledge is of any use/If there is no native knowledge,/Just as the light of the sun is useless/When the light of the eyes is shut off (Al Ghazzali, A Book of Knowledge, 1962, P. 228. তাই পাশ্চাত্য সভ্যতার মূল্যায়ন আমাদের পাশ্চাত্য সভ্যতার আহরিত জ্ঞানের ভিত্তিতে করলে চলবে না, আমাদের সহজাত দৃষ্টির আলোকে তার মূল্যায়ন করতে হবে। তবেই আমরা এর যথার্থ তাৎপর্য এবং উপযোগিতা ও ফলাফল বিচার করতে পারব এবং পাশ্চাত্য সমাজ যে আসলেই ঠুনকো তাও আমরা অনুধাবন করতে পারব। পাশ্চাত্য সমাজব্যবস্থাকে গ্রহণ না করেও তাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে আমরা গ্রহণ করতে পারি।

আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইবনে সিনা প্রণীত গ্রন্থ বহুকাল ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য ছিল। অ্যালজেবরা ও কেমিস্ট্রি জাতীয় জ্ঞানের শাখা মুসলমান পণ্ডিতরাই ইসলামের সোনালি যুগে উদ্ভাবন করেছেন। আজ আমরা মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে পাশ্চাত্যের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছি সত্য, তবে তা পুনরুদ্ধার করতে হলে মুসলমান হিসেবে ঈমান-আকিদা ঠিক রেখেই করতে হবে। নচেৎ পাশ্চাত্য আমাদের গিলে খাবে’ এবং ইসলামের ভিত্তিতে গড়ে উঠা আমাদের সমাজকে কলুষিত করবে। তদুপরি মুসলমান হিসেবে আমাদের অস্তিত্বকেই বিপন্ন করবে। আমাদের কতেক বুদ্ধিজীবী মুসলমানদের ঐতিহ্য ও আদর্শের অনুকূলে কথা বলেন না।

অধিকন্তু সম্পদ আহরণে আমাদের সতর্ক হতে হবে। ইমাম গাজ্জালির মতে, নিম্ন বর্ণিত উপায়ে আহরিত সম্পদগুলো হীন প্রকৃতির। এগুলো হচ্ছে- (i) Theft, (ii) Robbery, (iii) Dacoity, (iv) Jokers, (v) Imitators, (vi) Conjurers, (vii) Emulators, (viii) Deceivers, (ix) Fortune tellers, (x) Astrologers and those who, ‘on the pulpit vehemently preach and collect donations’, including the ‘fine prose and decorated verses etc., which they recite and engulf others who are wealthy’ (Al-Qardawi, Economic Security in Islam, 1997, P. 45-47)

আমাদের সমাজে পাশ্চাত্য প্রভাবে এসব ক্রমাগত বাড়ছে। রাষ্ট্র পরিচালন ব্যবস্থার পাশ্চাত্যকরণ হয়েছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আজ পৃথিবীর মুসলমানরা গৌরবোজ্জ্বল অতীত এবং নিজেদের ঐতিহ্যবাহী কার্যকর শাসন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এক প্রকার হীনম্মন্যতায় ভুগছে। বৈচিত্র্যপূর্ণ এ মানব জাতিকে আমরা মেনে নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি- ‘হে মানুষ, আমি তোমাদের একটি পুরুষ ও একটি নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হতে পারো। কিন্তু আল্লাহর কাছে তোমাদের মাঝে সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি সে, যে আল্লাহকে বেশি ভয় করে। অবশ্যই আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং সব কিছুর খবর রাখেন।’ (সূরা হুজুরাত-৪৯, আয়াত-১৩)

হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে বিশ্বের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে মুসলমান বানানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা এও বিশ্বাস করি- ‘তোমরা (মুসলমানরা) শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব, তোমরা সৎকাজের আদেশ দাও, অসৎকাজে নিষেধ করো, এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখো’ (সূরা আলে ইমরান-৩, আয়াত-১১০)। আল্লাহ্ বলেন, ’আমি তোমাদের (মুসলমানদের) এক মধ্যপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির সাক্ষী হও এবং রাসূল তোমাদের সাক্ষী হয়’ (সূরা বাকারা-২, আয়াত-১৪৩)। তাই চরম বা নরম কোনো পন্থা মুসলমানদের কাম্য নয়। মুসলমানদের আজ আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না, তাদের ঐতিহ্য ও গৌরব পুনরুদ্ধার করতে হবে। তাদের কেল্লা আজ ভাঙা। পরাধীন ভারতের কবি নজরুলের ভাষায় আমাদের প্রমাণ করতে হবে ‘ভাঙা কেল্লায় উড়ে নিশান’।
লেখক: অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কাডার

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button