মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশ

Nizamiজামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে আনা চারটি তথা ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।  অন্যদিকে ১, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ১৬টি অভিযোগের মধ্যে বাকি আটটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়। অভিযোগগুলো হলো ৫, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বুধবার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মাওলানা নিজামী স্বাভাবিক ছিলেন।
এর আগে চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সকাল ১১টা ৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ২০৪ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায় পড়েন বিচারপতি আনোয়ারুল হক। রায় পাঠের আগে সূচনা বক্তব্য রাখেন ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম।
মাওলানা নিজামীকে আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে নিয়ে ট্রাইব্যুনালে রওয়ানা দেয় পুলিশ। রায়ের জন্য তাকে গতকাল মঙ্গলবার কাশিমপুর কারাগার থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১-এ হাজির হন চেয়ারম্যান বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম। ১০টার মধ্যে হাজির হন অপর দুই বিচারপতি।
এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকে।
বুধবার ভোর থেকেই হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের সবগুলো ফটকে পুলিশ ও র‌্যাব অবস্থান নেয়। ভেতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি তল্লাশিও করা হয়।
দোয়েল চত্বর থেকে হাইকোর্ট মাজার পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। হাইকোর্ট মাজার ফটকের বাইরে অবস্থান নেয় পুলিশের সাঁজোয়া যান। শাহবাগ মোড়েও অবস্থান নেয় পুলিশ।
এ ছাড়া রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ রাজধানীসহ দেশব্যাপী নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। গতকাল রাত থেকেই রাস্তায় নামানো হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button