নেতাকর্মীদের মসজিদে যাওয়ার পরামর্শ জয়ের

Joyপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, সাধারণ মানুষ চমক ভালবাসে। ক্ষমতায় থেকে চমক দেখানো সহজ নয়। তারপরও এবার চমক দেখানো হবে। আগামী তিন দিন খেয়াল রাখুন। তিন দিন পরই চমক দেখতে পাবেন। আমরা বিরোধী দলের অপপ্রচার মোকাবিলা ও সরকারের সফলতা জনগণের সামনে তুলে ধরতে ভিন্ন রকম কৌশল নিয়েছি। গতকাল আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক এক মতবিনিময় সভায় জয় এসব কথা বলেন। চমকের বিষয়ে জয় বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিলেও তিনি জানিয়েছেন, আগামী রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নামছেন তিনি। ওই প্রচারণায় নতুন কৌশল প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান জয়। দলের নেতাকর্মীদের শুক্রবার মসজিদে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমি তো সারা দেশে সফর করে অপপ্রচারের জবাব দিতে পারবো না। তাই বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব দিতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি শুক্রবার মসজিদে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমি দেশে এসেছি দলকে সহযোগিতা করতে। দলের জন্য আগামী দিনগুলোতে ক্যাম্পেইন করবো। বিরোধী দলের অপপ্রচার মোকাবিলা ও সরকারের সাফল্য জনগণের সামনে তুলে ধরতে শতভাগ চেষ্টা করবো, ৯৯% নয়। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে জয় বলেন, আপনারা সামনের দিনগুলোতে একটু খেয়াল রাখবেন। সত্যকে ভালভাবে কাভারেজ দেয়ার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, বিরোধী দলে থেকে চমক দেখানো যত সহজ, সরকারে থেকে তা অত্যন্ত কঠিন। আমরা অনেক কাজ করেছি, ভবিষ্যতে আরও করবো এবং দেশের মানুষকে চমকপ্রদ কিছু দেয়ার চেষ্টা করবো। জামায়াত-শিবিরের সাইবার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগও সাইবার টিম গড়ে তুলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের অপপ্রচারকে কাউন্টার দেয়ার জন্য আমাদের একটি টিম কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায়ই আওয়ামী লীগের ভোট রয়েছে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে আওয়ামী লীগকে হারানো কঠিন। আর যদি দল ঢিলেঢালাভাবে চলে তবেই হারতে পারে। তিনি বলেন, পরিকল্পনা আছে ৩০০ প্রার্থীর ৩০০ ফেসবুক পেজ খোলার।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে জয় বলেন, ব্যাড নিউজ ইজ এ গুড নিউজ। এটা আমরা জানি। কিন্তু সেনসেশনের জন্য একটা হেডলাইন না দিয়ে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করবেন বলে আশা করি। মানুষের জানা দরকার সরকারের সফলতাগুলো। সত্যের চেয়ে প্রচার শক্তিশালী মন্তব্য করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, একবার এক বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান আমাকে বলেছিলেন, অনেকে কাজ করে ভোট পায় না। আবার অনেকে কাজ না করেও ভোট পায়। আসল হলো প্রচার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমাদের নেতাকর্মীদের মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ক্যাম্পেইন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা কাজ করেছি। অনেকে আমাদের সফলতাকে স্বীকার করতে চায় না। তারা বলে দেশে উন্নয়ন হয়নি। এগুলো অপপ্রচার। আওয়ামী লীগ ভেবেছিল শুধু কাজ করলেই হবে। তারা কাজ করতে গিয়ে প্রচুর ব্যস্ত। এ জন্য আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণা কম হয়েছে। এখন আমরা প্রচারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জয় বলেন, সামনে নির্বাচন। মানুষকে তো একটা পক্ষে ভোট দিতেই হবে। এজন্য তাদের সামনে একটি তুলনামূলক চিত্র থাকা প্রয়োজন, যাতে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই।
আগামীতে প্রার্থী বাছাইয়ে কোন কাজ করবেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব জয় বলেন, আমি থাকি বিদেশে। দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এজন্য দল থেকে তৃণমূলের মত নেয়া হচ্ছে, টিম গঠন করে জরিপ চালানো হচ্ছে। যাদের অবস্থা ভাল না তাদের এবার মনোনয়ন দেয়া হবে না।
২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের কারণ প্রসঙ্গে জয় বলেন, ওই সময় ৫০টির মতো আসনে কারচুপি হয়েছে। এটা আমরা জানতে পেরেছি। তখন সেনাবাহিনীর হাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তালিকা তুলে দেয়া হয়েছিল। নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা এখন আর কিছু বলতে চাই না।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button