প্রকৌশলীদের বাসে ভয়াবহ ডাকাতি

Green Lineব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রকৌশলীদের বহনকারী গ্রীনলাইন পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই বাসে ডাকাতরা মালামাল লুট করে চলে যাওয়ার পর পুলিশ আসে। বৃহস্পতিবার ২টায় জেলার কসবায় এ ঘটনা ঘটে। বাসটি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট আসছিল।
Green Line2ওই বাসের যাত্রী প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম জানান, আবুল খায়ের কোম্পানির আমন্ত্রণে ওই কোম্পানির এ কে এস স্টিল মিলের কারখানা পরিদর্শন করতে সিলেটের ৮০ জন প্রকৌশলী গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই প্রকৌশলীরা চট্টগ্রাম থেকে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় পৌঁছলে মুখোশপরা একদল ডাকাত রাস্তায় গাছ ফেলে বাসের গতিরোধ করে। চালক বাসের দরজা না খুললে ডাকাতরা বাসের গ্লাস ভেঙে ভেতরে ঢোকে।
ডাকাতদের হাতে ধারালো রামদা ছিল। তারা ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের সব মালামাল ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার বেশ কিছু সময় পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। কিন্তু এর আগেই ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে রাত ৪টায় রাস্তার গাছ সরিয়ে পুনরায় সেই বাসযোগেই তারা সিলেট অভিমুখে রওনা করেন।
ডাকাতির স্বীকার প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন জানান, আবুল খয়ের স্টিল মিল কোম্পানীর আমন্ত্রণে সিলেটের ৪০ জন প্রকৌশলী গত ১৬ ডিসেম্বর গ্রীণ লাইন পরিবহনের একটি বাস ভাড়া করে চট্টগ্রামে যান। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় তারা একই পরিবহনের তারা সিলেটে ফিরছিলেন। পথে রাত দেড়টার দিকে তারা কুমিল্লায় একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার সারেন। সেখান থেকে রাত ২টার দিকে রওয়ানা হয়ে কিছু দূর অগ্রসর হওয়া মাত্র সশস্ত্র ডাকাতদল রাস্তায় গাছ ফেলে ব্যারিকেডের সৃষ্টি করে। এ সময় চালক দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে ডাকাতরা ড্রাইভিং সিট ও দরজার পাশের জানালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা যাত্রীদের দেহ তল্লাশী করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে পেছনে আসা আরেকটি বাস বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। এ অবস্থায় ডাকাতরা দ্রুত তাদের অবস্থান ত্যাগ করে।
গ্রীণ লাইন পরিবহনের সিলেট অফিসের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, ডাকাতরা বাসটির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। বাসটি সার্ভিসিংয়ের জন্য ঢাকার মদনপুরে পাঠানো হয়েছে। ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইল সেট নিয়ে গেছে বলেও সূত্রটি স্বীকার করে। তবে, এ বিষয়ে কোন মামলা কিংবা জিডি হয়েছে কিনা সেটা তাদের জানা নেই। এ বিষয়ে তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button