ইসলাম গ্রহণ করার কারণে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হলো

Rashedaইহুদী ধর্ম ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করার কারণে মরক্কোর কাসাব্লাংকার অধিবাসী রাশিদাকে (পূর্বনাম রাকেল মরিউসেফ) তার পরিবার শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
রাকেল মরিউসেফ মরক্কোন বংশোদ্ভূত এক ইহুদী নাগরিক যিনি ইসলাম গ্রহণ করে গত মে মাসে তার নাম পরিবর্তন করে রাশিদা রাখেন। তার বাবা মরক্কো ও ইসরাইলের একজন ইহুদী রাব্বী। বর্তমানে রাশিদা গৃহহীন কারণ ইসলাম গ্রহণ করার কারণে তার পরিবার ঘর থেকে তাকে বের করে দিয়েছে।
রাশিদা মরক্কোর এক পত্রিকাকে জানান, সপ্তাহ দুয়েক আগে তার মা তার ইসলাম গ্রহণের কথা জানতে পেতে ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে তাকে প্রহার করে। রাশিদা বলেন, আমি আমার মাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করি যে, ইসলাম শান্তির ধর্ম কিন্তু তার ধারণা সব মুসলিমই টেরোরিস্ট! তিনি আমার খালাসহ আরেকজন ইহুদী প্রতিবেশীকে ডেকে এনে আমাকে ইসলাম ত্যাগ করতে বলে। তারা বলে মুসলিমরা ইসরাইলে ইহুদী হত্যাকারী!
রাশিদা (রাকেল) তাদের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, ‘ইসরাইলই ফিলিস্তিনি মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা করছে।’ তার এই বক্তব্যের পর তার মা, খালাসহ ইহুদী প্রতিবেশী তার উপর হামলে পড়ে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। রাশিদা এখন গৃহহীন। বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার সময়, ইসলাম ত্যাগ না করলে আর কোনদিন তার সন্তানের মুখ দেখতে পারবে না বলেও তারা তাকে হুমকি দেয়।
কাসাব্লাংকাতে জন্ম নেয়া রাশিদা (রাকেল) বলেন, “আমি যখন টিনেজার তখন থেকেই ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলাম। এজন্য আমি মনে প্রাণে চাইতাম কোন মুসলিম যুবককে বিয়ে করতে। কিন্তু আমার পরিবার এটা জানতে পেরে আমাকে বেত্রাঘাত করে। পরবর্তীতে তারা ২০০২ সালে আমাকে ইসরাইলে নিয়ে যায় এবং জোর করে এক ইহুদী ছেলের সাথে বিয়ে দেয়।” দুই সন্তানের মা রাশিদা বলেন,তার স্বামী নির্দয় স্বভাবের ছিল, তার সাথে খারাপ আচরণ করতো। ২০০৮ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। একই বছর তার বাবা মারা গেলে তিনি মায়ের সাথে মরক্কো ফিরে আসেন। তার দুই সন্তানকে তার স্বামী তার সাথে আসতে দেয়নি।
অন্য এক সাক্ষাৎকারে রাশিদা (রাকেল) আল আখবার পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার সাথে এমন অনাকাক্সিক্ষত আচরণের জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমি কারও বোঝা হয়ে থাকতে চাই না কারণ আমার আত্মমর্যাদাবোধ আছে। যদিও আমার এখন খুবই দুঃসময় যাচ্ছে। আমি গৃহহীন, আমার হাতে অর্থকড়ি নেই, আমার কোন চাকরিও নেই। আমি আশা করি মরক্কোর রাজা মুহাম্মদ (৬ষ্ঠ) আমার বিষয়টা বিবেচনা করে আমার একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিবেন যাতে আমি একটা বাসা ভাড়া নিয়ে জীবনধারণের ব্যবস্থা করতে পারি। রাশিদা বলেন, সবাই আমাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ইসলাম ত্যাগ করার জন্য কিন্তু আমি কখনও ইসলামকে পরিত্যাগ করবো না।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button