নারীদের উপর এমন হামলা আইয়্যামে জাহিলিয়্যাকে স্মরণ করিয়ে দেয় : আল্লামা বাবুনগরী

সুপ্রিম কোর্ট ও জাতীয় প্রেসকাবে আইনজীবি ও সাংবাদিকদের উপর পুলিশের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের হামলাকে বর্বরোচিত এবং সরকারের ফ্যাসিবাদি আচরণ বলে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী। সোমবার বিকেলে দেয়া বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পুরুষের পাশাপাশি মহিলা আইনজীবি ও মহিলা সাংবাদিকদের উপর ছাত্রলীগের কর্মীরা যে বর্বরোচিত কায়দায় হামলার সচিত্র প্রতিবেদন এসেছে, তা দেখে যে কোনো সচেতন নাগরিক স্তব্ধ না হয়ে পারবে না। নারীদের উপর এমন বর্বর হামলা আইয়্যামে জাহিলিয়্যাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এমন বর্বরতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা ও সহযোগিতা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এর প্রতিবাদ করা দেশপ্রেমী প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। একটা যুদ্ধক্রান্ত দেশেও প্রকাশ্য এমন বর্বরতা দেখা যায় না। স্বাধীনতার পর থেকে জনগণ এতটা অসহায়বোধ কখনোই করেননি। পাকিস্তানী জুলূম থেকে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে মানুষ যেন স্বাধীনভাবে চলতে ও বলতে পারে।
হেফাজত মহাসচিব বাবুনগরী আরো বলেন, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করবেন। অথচ সরকারবিরোধী দলের প্রতিবাদ কর্মসূচীকে বানচাল করার জন্য পুরো দেশটাকে অচল করে দিয়ে রাজধানীতে যুদ্ধাবস্থার মত পরিস্থিতি তৈরী করেছে।
আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, সরকার আলেমদেরকে ইসলামের কথা বলতে দিচ্ছে না, বিরোধী দলকে সরকারের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হচ্ছে, মন্ত্রী এমপিরা তাদের কর্মীদেরকে লাঠি হাতে রাস্তায় বের হতে বলছে, জনগণের বিরুদ্ধে একের পর এক হুংকার দিয়ে যাচ্ছে। সরকার আসলে দেশটাকে নিয়ে কি করতে চাচ্ছে, এ নিয়ে জনগণ চরম উদ্বেগের মধ্যে আছে। তিনি আরো বলেন, আজ শুধু দেশের মানুষ নয়, একমাত্র ভারত ছাড়া বিশ্বের প্রায় সকল দেশই সরকারের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করছে। এমনকি জাতিসঙ্ঘসহ পাশ্চাত্য বিশ্বও এই তরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ সরকার কারো কথাই কর্ণপাত করছে না।
হেফাজত মহাসচিব সরকারের প্রতি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নাগরিকদের সাথে শত্রুর মতো আচরণ করা বন্ধ করুন। নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অন্যায় আদেশ দিয়ে এবং দলীয় লোকদেরকে তাদের ছত্রছায়ায় রেখে নাগরিকদের উপর হামলা বন্ধ করুন। একতরফা নির্বাচন বন্ধ করে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরী করুন। কারণ, অন্যায়ভাবে এবং জোর-জুলুম চালিয়ে কেউ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পেরেছে, এমন নজির পৃথিবীতে নেই।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button