ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীতে অধিক সংখ্যক মুসলিম রিক্রুটের আহ্বান

ব্রিটিশ সরকারের এক প্রতিবেদনে মুসলিম কমিউনিটি থেকে সশস্ত্র বাহিনীতে সেনা সংগ্রহের সুপারিশ করা হয়েছে। এ সপ্তাহের প্রথম দিকে ‘দ্য ব্লুম রিভিউ’ মিডিয়ায় প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয় যে, সরকার ও যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর (ইউকেএএফ) রিক্রুটমেন্ট অভিযান, ভবিষ্যত রিক্রুটমেন্ট কনট্রাক্ট এবং এইচআর নীতিসমূহ পুনর্বিবেচনা করা উচিত, যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে অধিক সংখ্যক সেনা সংগ্রহ নিশ্চিত করা যায়। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে ব্রিটেনে জন্মগ্রহনকারী মুসলিমদের কথা উল্লেখ করা যায়।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের নিয়মিত বাহিনীতে মাত্র ০.৪ শতাংশ মুসলিম রয়েছেন, যদিও ২০২১ সালের মুসলিম জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬.৫ শতাংশ। বর্তমানে আনুমানিক ১ লাখ ৪৬ হাজার লোক রাজকীয় নৌবাহিনী, ব্রিটিশ আর্মি, রাজকীয় বিমানবাহিনী নিয়মিত বাহিনীতে পূর্ন অপারেশনাল কমান্ড কাঠামোর অধীনে কাজ করছেন। ধারনা করা হয় যে, গত কয়েক দশক যাবৎ মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার দরুন ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীতে মুসলিমরা যোগদান করতে নারাজ। বিশেষভাবে যুক্তরাজ্যের ইরাক ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা যায়। এর ফলে কমপক্ষে লাখো লোক নিহত হয়।
দ্য ব্লুম রিভিউ- এ বলা হয়েছে, ইউকে আর্মড ফোর্সেস যুক্তরাজ্যে একটি অন্যতম বৃহৎ নিয়োগদাতাই শুধু নয় বরং এটা একটি প্রতীক, যা দেশে ও বিদেশে ব্রিটিশ মূল্যবোধসমূহের সমুন্নতকারী ও সংরক্ষকও। এটা তার সংগ্রহের কৌশলের মাধ্যমে কমিউনিটির সংহতির অগ্রগতি ও কমিউনিটি বৈচিত্র্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ নিয়মিত বাহিনীতে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নিয়মিত বাহিনীতে মুসলিম সদস্যের সংখ্যায় কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেনি। ২০১৮ সালে ব্রিটিশ আর্মি কর্তৃক ‘দিস ইজ বিলংগিং’ অভিযান শুরুর পর একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্রিটিশ মুসলিম ইউকেএএফ’এ যোগ দিতে আবেদন করে। ২০১৭ সালে আবেদনকারীর সংখ্যা ৩৩০ জন হলেও ২০১৮ সালে তা দেড় হাজারে উন্নীত হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button