‘তুরস্ক ছাড়া ইউরোপের নিরাপত্তা অসম্ভব’

সম্প্রতি ন্যাটোর বিদায়ী সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, দক্ষিণে তুরস্কের সহায়তা ছাড়া ইউরোপীয় দেশ সমূহের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব। জার্মান মার্শাল ফান্ড অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, দক্ষিনে তুরস্ক, উত্তরে নরওয়ে পশ্চিমে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপ মহাদেশের নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা অসম্ভব।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু বিশ্ব আন্ত:সংযুক্ত, তাই বিচ্ছিন্ন থাকার নীতি কাউকে নিরাপদ রাখবে না এবং যেকোনো দেশের জন্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জটি একটি বাস্তব বিষয়। ন্যাটোর ব্যয় নির্বাহ করা হয় অইউরোপীয় দেশ সমূহ থেকে আসা ৮০ শতাংশ অর্থের দ্বারা। ন্যাটো জোট ইউরোপের মতই যুক্তরাষ্ট্রেরও স্বার্থ দেখে থাকে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্য কোন বড় শক্তিধর দেশের এত বেশি বন্ধু নেই।
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউক্রেইনকে সহায়তা হচ্ছে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনার পন্থা, যা শান্তির পথে নিয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে কথা হচ্ছে, ইউক্রেনকে যত বেশি অস্ত্র সরবরাহে আমরা সক্ষম হব ততো তাড়াতাড়ি আমরা শান্তিতে পৌঁছতে, যুদ্ধাবসানে সক্ষম হব। আমাদের অধিকতর দীর্ঘমেয়াদি বিশ্বাসযোগ্য সহায়তা দ্রুত যুদ্ধ শেষ করতে সক্ষম হবে।
লক্ষনীয় যে, ন্যাটো জোটের দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম সৈন্য বাহিনী রয়েছে। জোটের মহাসচিবের পদ নির্ধারণে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তুরস্ক আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই পদের জন্য সমর্থন দিয়েছে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট্টেকে।
আংকারা প্রায়ই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ও ন্যাটোর কিছু সদস্যের মধ্যে সম্পর্ককে অগ্রহণযোগ্য বলে, নিন্দা করে। এটাকে সদস্য দেশগুলোর জন্য হুমকি এবং জোটের চেতনার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পৃক্ত সদস্য দেশগুলো পিকেকে’র সিরীয় শাখা কে সমর্থন করে এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে। অথচ পিকেকে-কে তুরস্কে একটি সন্ত্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button