গনহত্যার জন্য ইসরাইল ও তার পশ্চিমা সহযোগীদের নিন্দা করেছেন এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান গাজা সংকট মোকাবেলায় নিষ্ক্রিয়তার জন্য বৈশ্বিক ব্যবস্থা ধসে পড়ায় উদ্বেগ ও অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন। তিনি ইসরাইলের ফিলিস্তিনী গনহত্যায় তাদের সহযোগী হওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে অভিযুক্ত করেছেন। গত সোমবার ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) এক অনুষ্ঠানে ভাষন দানকালে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আমন্ত্রন জানানোর জন্য তিনি পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, গনহত্যার হোতাদের বিচারের সম্মুখীন করা উচিত। এরদোগান বিশ্বে মানবাধিকার লংঘনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এখন মারাত্মক মোড় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আমরা একটি শক্তির শূন্যতা দেখতে পাচ্ছি, যা দিন দিন স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। রক্তপাত, নির্যাতন এবং সংঘাত-সংঘর্ষ এখন বিশ্বের জন্য একটি রুটিন হয়ে ওঠেছে, যখন মানবজাতির নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সৃষ্ট রীতিনীতি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের প্রভাব হারিয়ে ফেলেছে। আমরা নীতিভিত্তিক সিস্টেমের বিপর্যয় প্রত্যক্ষ করছি, যা মানবজাতি তিক্ত অভিজ্ঞতার পর সৃষ্টি করেছিলো।
তিনি বলেন, এ অবস্থা পরিবর্তনে কোন উদ্যোগ নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরাকে আগ্রাসন থেকে কোন শিক্ষাই গ্রহন করেনি। শিক্ষা গ্রহন করেনি সিরিয়া কিংবা রুশ-ইউক্রেইন যুদ্ধ থেকে। লক্ষনীয়, তুরস্ক ফিলিস্তিনীদের একটি সমর্থক দেশ। গত অক্টোবরে নতুন করে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর নেতানিয়াহু প্রশাসনের বিরুদ্ধে তুরস্কের বিরোধিতা সম্প্রসারিত হয়েছে। এরদোগান উভয়পক্ষকে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য উপর্যুপরি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু গাজা উপত্যকায় ইসরাইলী আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। তুরস্ক সংঘাত বন্ধে ব্যর্থতার জন্য ইসরাইরের প্রতি পাশ্চাত্যের দৃঢ় সমর্থনের নিন্দা করেছেন।