ব্রিটেনে প্রথমবার বাড়ি ক্রয়কারীর সংখ্যা ২০০৭ সালের পর সর্বোচ্চ

ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো বাড়ি ক্রেতাদের (ফাষ্র্ট টাইম হোম বায়ার) সংখ্যা গত বছর ২০০৭ সালের পর সর্বোচ্চ সংখ্যায় পৌঁছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৩৪৩৬ জন। এ সংখ্যা ২০১৮ সালে রেকর্ডকৃত সংখ্যার চেয়ে কিছু বেশী। ঐ বছর ছিলো ৩৫৩১৩০ জন। ২০০৭ সালে ছিলো সর্বোচ্চ-৩৫৭৫৯০ জন। ইয়র্কশায়ার বিল্ডিং সোসাইটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সোসাইটি ব্যবসায়ী সমিতি ইউকে ফাইনান্স-এর অক্টোবর পর্যন্ত ইন্ডাষ্ট্রি ওয়াইড মর্টগেজ ডাটা অর্থাৎ শিল্পব্যাপী বন্ধক উপাত্ত ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি নভেম্বর ও ডিসেম্বরের ডাটাও কাজে লাগায় গত বছরের প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের মোট সংখ্যা গণনায়। ২০০৮ সালে আর্থিক সংকট শুরুর প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালে বন্ধক গ্রহণকারী প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছে-প্রোপার্টি মার্কেটে যাদের প্রবেশের ফলে এখন বন্ধকে বাড়ি কেনার সংখ্যা মোট ৫১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০০৮ সালে এটা ছিলো ৩৮ শতাংশ মাত্র। ইয়র্কশায়ার বিল্ডিং সোসাইটি স্ট্রাটেজিক ইকোনোমিস্ট নীতেশ প্যাটেল বলেন, এমনকি যদিও প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের সংখ্যা গত বছরের ন্যায় মোটামুটি একই রকম তবুও এটা উৎসাহব্যঞ্জক যে, দ্বিতীয় বছরের মতো প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের সংখ্যার ধারায় ৩৫০০০০ টপকেছে। তিনি আরো বলেন, এছাড়া তারা বন্ধকসহ সকল বাড়ি ক্রয়কারীদের সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশীর প্রতিনিধিত্ব করে। এর মানে হচ্ছে, ১৯৯৫ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের বন্ধক মার্কেট শেয়ার সর্বোচ্চ, যখন তারা সকল বন্ধকী অর্থায়ণকৃত বাড়ির ৫৩ শতাংশ ক্রয় করেছে।
নীতেশ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রথমবারের মতো বাড়ি ক্রেতারা তীব্র প্রতিযোগিতার ফলশ্রুতিতে প্রায় রেকর্ড পরিমাণ নিম্ন হারের বন্ধকী রেইটের সহায়তা পাচ্ছে, যা তাদের ঋণকে সহজসাধ্য করেছে। এছাড়া স্টাম্প ফী থেকে অব্যাহতির মতো সরকারী পরিকল্পনাসমূহ ইকুইটি লোন ক্রয়ে সহায়ক হয়েছে। সহায়ক হয়েছে আইএসইসমূহ ক্রয়ে, যার একটা প্রভাব পড়বে এতে। তিনি বলেন, উপাদানসমূহের এই সমন্বয় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি বাড়ি ক্রয়কে অধিক সহজ করেছে। এভাবে অন্যান্য প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের মার্কেট অর্থনৈতিক সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং অন্যান্য খাতের চেয়ে, যেমন হোম-মোভিং (গৃহ স্থানান্তর) ও বাই-টু-লেট (ভাড়া প্রদানের জন্য ক্রয়) এর চেয়ে ভালো করছে। যাই হোক, এসব সংখ্যা থেকে প্রতীয়মান হয়, হয়তো মার্কেটটি এখন তার শীর্ষে পৌঁছেছে এবং অনেকের ক্ষেত্রে এখনো প্রথমবারের মতো ক্রয় কঠিন বিষয় হয়ে আছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button