যেকোনো মুহূর্তে সিরিয়ায় হামলা

Syriaসিরিয়ায় যেকোনো মুহূর্তে হামলা শুরু করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রশক্তি। দেশটিতে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশের উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিকরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র হামলার এ বিষয়টি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সেক্রেটারি চাক হেগেল বলেছেন, হামলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের মিত্ররা রাসায়নিক হামলায় প্রাণনাশের জন্য আসাদকে শিক্ষা দিতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
সোমবার হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্রদেশের প্রতিনিধিবৃন্দ, সিরিয়ার বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দরা বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকের একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, সিরিয়ায় যেকোনো সময় সামরিক হামলা হবে। এছাড়া সিরিয়া সরকারের সাথে আর কোনো শান্তি আলোচনায় যাওয়া যাবে না বিদ্রোহীদের।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশনের প্রেসিডেন্ট আহমেদ জারবা। এছাড়া বৈঠকে সিরিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ফ্রড, ১১টি দেশের কূটনীতিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে বিরোধী পক্ষ হিসেবে যুদ্ধ থামাতে রাশিয়া এবং চীন তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশ দুটি আন্তর্জাতিক আইন ও যুদ্ধরীতি অনুসরণ প্রক্রিয়া সামনে এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রশক্তি এখনই কোনো হামলা না চালায়।
সংবাদে বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পার্লামেন্টে সিরিয়া নিয়ে একটি অধিবেশন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন।
সিরিয়ায় হামলা চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিস ওঁলাদে নিজ নিজ দেশে কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। সমালোচকরা বলছেন, সিরিয়ায় হামলা চালালে এর পরিণতি কি হবে এবং তা কোন দিকে গড়াবে। এছাড়া আসাদের পতন ঘটিয়ে তারা কি পশ্চিমাবিরোধী ইসলামী বিদ্রোহী গ্রুপের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে যাচ্ছেন?
অন্যদিকে, জাতিসংঘে সিরিয়ায় হামলা প্রসঙ্গে যাতে রাশিয়া ও চীনের ভেটোর মোকাবেলা করা যায় তারও প্রস্তুতি শেষ করে রাখা হয়েছে। আরব দেশগুলোতে এর সমর্থন নিয়ে নিয়েছে পশ্চিমারা। আর এর ধারাবাহিকতায় আরব লীগ তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, রাসায়নিক অস্ত্র হামলার পুরো দায়ভার সিরিয়া সরকারের ঘাড়েই বর্তায়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button