তুরস্ক ইসরাইলের সাথে সকল বানিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে

তুরস্ক ইসরাইলের সাথে সব ধরনের আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম স্থগিত করেছে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লংঘন করে ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানোর কারণে তুরস্ক এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি তুরস্কের বানিজ্য মন্ত্রনালয় এই ঘোষনা প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে উভয় দেশের মধ্যে বানিজ্যের পরিমান ছিলো ৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগান ফিলিস্তিনীদের পক্ষে বাগাড়ম্বরকে বাস্তবে রূপদানের জন্য দেশের অভ্যন্তরে চাপের মধ্যে রয়েছেন। তিনি ইতোপূর্বে গত ৯ এপ্রিল তুরস্ক ৫৪ ক্যাটাগরির পন্য ইসরাইলে রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
বলা হয়, এ ধরনের পদক্ষেপ সত্বেও ইসরাইলকে তার আগ্রাসী ভূমিকা চালিয়ে যেতে দেখা যায় এবং ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়ের আরো অবনতি ঘটে। ১৫ হাজার শিশুসহ প্রায় ৩৫ হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনী নাগরিক প্রান হারিয়েছে এবং ৭৪ হাজার আহত হয়েছে ইসরাইলী হামলার কারনে। ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লংঘন করে এই হামলা চালিয়েছে।
মন্ত্রনালয় আরো বলেছে, প্রথম দিন থেকেই তুরস্ক গাজার জনগনের জন্য সহায়তা পাঠিয়েছে। জাহাজ ও বিমানে ১০ হাজার টন মানবাধিক ত্রান সহায়তা দিয়েছে। বিশেষভাবে খাদ্য, স্বাস্থ্যও চিকিৎসা সামগ্রী প্রেরন করেছে। অসুস্থদের বের করে এনেছে এবং এই কঠিন দিনগুলোতে ফিলিস্তিনী ভাই-বোনদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রনালয় আরো বলেছে, তবে ইসরাইলী হত্যাযজ্ঞ, মানবিক বিপর্যয় ও ধ্বংস লীলা অব্যাহত রয়েছে এবং ইসরাইলী সরকার আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিরতি প্রচেষ্টার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন ও মানবিক সহায়তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ইসরাইলী সরকার গাজায় বিনা বাধায় যথেষ্ট পরিমানে ত্রানসামগ্রী পৌঁছানোর অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত তুরস্ক কঠোর ও চূড়ান্তভাবে এই নতুন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিরোধ সংগঠন হামাস তুরুস্কের এই সিদ্ধান্তকে ‘ফিলিস্তিনী জনগনের একটি বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button