ইংল্যান্ডে প্রায় ১শ হাজার শিশু হোমলেস

Hole Less Childrenইংল্যান্ডে প্রায় ১শ হাজারের বেশি শিশু হোমলেস পরিবারের সদস্য হিসেবে তাদের পিতা মাতার সঙ্গে টেম্পোরারী বাসস্থানে বসবাস করছে। ইংল্যান্ডে গত এক বছরে হোমলেস পরিবারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। হোমলেসনেস চ্যারিটির জরিপে ৯৯ হাজার ৮০ জন শিশু পিতামাতার সঙ্গে টেম্পোরারি বাসস্থানে থাকলেও বলে উল্লেখ করা হলেও এ সংখ্যার সঙ্গে রাগ বা কম্বল স্লীপার পরিবারগুলোকে যোগ করা হয়নি। হিসাব অনুযায়ী, যাদের টেম্পোরীর বাসস্থানও নেই, যারা কম্বলে মুড়িয়ে স্ট্রীটে ঘুমিয়ে জীবনযাবন করেন ২০১৪ সালের শরৎকাল পর্যন্ত এ ধরনের পরিবারের সংখ্যা হল প্রায় ২ হাজার ৭শ।
জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন থেকে গত এক বছরে ৬৬ হাজার ৯শ ৮০ টি পরিবার শিশুসহ হোমলেস হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এ সংখ্যা ১২ শতাংশ বেশি। এ পরিবারগুলোর এক তৃতীয়াংশ প্রাইভেট রেন্টেডের কারণে হোমলেস হয়েছে। হাউসিং বেনিফিট সিস্টেমের পরিবর্তনের কারণে রেন্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছ হোমলেসনেস চ্যারিটি। যদিও সরকার দাবী করছে শক্তিশালি ওয়েলফেয়ার সিস্টেম পদ্ধতি জনগণকে সহায়তা করছে। ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক এন্ড পেনসনসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের তুলনায় বর্তমানে টেম্পোরারী বসস্থানে থাকা পরিবারের সংখ্যা একেবারেইন নগন্য। অসহায় পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করতে সরকার বছরে ২৪ বিলিয়ন পাউন্ড হাউসিং বেনিফিট খাতে ব্যয় করে বলে উল্লেখ করে বলা হয়, সরকারী তথ্য অনুযায়ী শিশুসহ অধিকাংশ হোমলেস পরিবার একটি কিচেন এবং বাথরুম নিয়ে স্বয়ংসম্পূর্নভাবে বসবাস করছে। কিন্তু বাস্তবতা হল বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি পরিবার তাদের শিশু নিয়ে ব্রেড এন্ড ব্রেকফাস্টে বসবাস করছেন। এ সংখ্যা গত বছরের চাইতে ২৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে শিশু নিয়ে ৬ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ব্রেড এন্ড ব্রেকফাস্টে বসবাস করছেন এমন পরিবারের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৮শ ৩০। গত বছরের তুলনায় তা ৩৬ শতাংশ বেশি।
সার্বে রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাইভেট রেন্টেড হাউসের সমস্যা যে কতোটা ভয়াবহ তার উদাহরণ গ্রেটার লন্ডনের বেক্সলি কাউন্সিলের সামান্তা এ্যাশবি নামের এক মহিলা। তিনি ৫ বছরের মেয়েসহ দুই টিনেজ ছেলে নিয়ে ১৭ বছর আগে একটি প্রোপার্টি থেকে কিক আউট হয়েছিলেন। প্রাইভেট রেন্টেড ওই প্রোপার্টি বিক্রি হয়েছিল। একই পরিস্থিতির শিকার হন তিনি গত কয়েক মাস আগে। প্রাইভেট রেন্টেড হাউসে ছিলেন। হঠাৎ করেই প্রোপার্টি বিক্রি হওয়ার কারণে তাকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। এখন তিন বাচ্চা নিয়ে একটি দোকানের উপরে ছোট একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। টিনেজ দুই ছেলে এক রুমে ঘুমালেও ৫ বছরের মেয়ে মায়ের সঙ্গে অন্য রুমে মেট্রেসের মধ্যে ফ্লোরে ঘুমায়। তার জীবদ্দশায় কাউন্সিল থেকে পার্মানেন্ট বাড়ি পাবেন বলে আশা করতে পারছেন না ৪০ বছরের এ্যাশবি। ঘরের জিনিসপত্র বক্স এবং ব্যাগের মধ্যে থাকতে থাকতেই তার বাচ্চাগুলো বড় হয়ে যাচ্ছে বলে আফসোস করেন তিনি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button