ফ্রান্সে মুসলিম শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে উগ্রপন্থীদের অপপ্রচার

Nazatফ্রান্সের মরক্কো বংশোদ্ভূত নতুন মুসলিম নারী শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন করে অপপ্রচার শুরু করেছে ডানপন্থী ওয়েবসাইটগুলো। তার বিরুদ্ধে ফেসবুক ও টুইটারে জোরেশোরে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওল্যাঁদ মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করায় ৩৬ বছর বয়সী নাজাত বালাউদ বেলকাসেম দুই সপ্তাহ আগে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী ও নোংরা মন্তব্য করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছড়ানো হচ্ছে নানা গুজব। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নতুন দু’টি গুজব ছড়ানো হয়েছে। তার সই জাল করে একটি চিঠি প্রচার করা হয়েছে। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক সুসম্পর্কের স্বার্থে প্রতি সপ্তাহে আরবির পাঠ দিতে বলা হয়েছে। তেমনি তার একটি ভুয়া পরিচয়পত্র প্রচার করে প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে যে, তিনি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান জোরদার করার জন্য আরব পরিচিতি গ্রহণ করেছেন। পরিচয়পত্র দ্বারা প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে, তার আসল নাম কাউডিন ডুপান্ত।
বালাউদ বেলকাসেম এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। কিন্তু তার উপদেষ্টারা বলছেন, মিথ্যাচারের পরিমাণ ও ব্যাপকতার নিচে তলিয়ে যেতে পারে আইনি ব্যবস্থা। কেননা একটি মিথ্যাচার নাকচ করার সাথে সাথেই আরেকটি মিথ্যা প্রচার করা হয়। এই গুজবগুলো উগ্র ডানপন্থীরা জন্ম দিলেও তা মধ্য ডানপন্থী ব্যক্তিবর্গ ও ওয়েবসাইটগুলো যখন প্রচার করে, তখন অনেকেই এগুলো সত্য বলে মনে করে। যেমন প্রধান মধ্য ডানপন্থী দলের এক এমপি তার টুইটারে আরবি পাঠের এই চিঠির সমালোচনা করেন। অবশ্য পরে তিনি জানতে পারেন এটি ভুয়া। গত বছর এভাবেই অপপ্রচার চালানো হয়েছিল গায়ানা বংশোদ্ভূত আইনমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান তোবিরার বিরুদ্ধে।
নাজাত হচ্ছেন ফ্রান্সে একটি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক সফল ব্যক্তিত্বের বিরল প্রতীক। তিনি ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মরক্কোর বিনি সিকার গ্রামের দারিদ্র্য পীড়িত পিতামাতার সাত সন্তানের দ্বিতীয় তিনি। পাঁচ বছর বয়সের সময় শ্রমিক পিতার সাথে ফ্রান্সে অভিবাসী হয় তার পরিবার। এখানকার আমিন্সে কৃতিত্বের সাথে স্কুল জীবন শেষ করার পর তিনি প্যারিসের ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button