পবিত্র কাবাঘর ধৌত করলেন মক্কার গবর্নর

Kabaসৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের পক্ষে মক্কার পবিত্র কাবাঘরের মেঝে ও দেয়াল ধৌত করলেন মক্কার গবর্নর যুবরাজ খালেদ আল ফয়সাল। গত সোমবার জমজমের পানিতে সুগন্ধী আতর মিশিয়ে কাপড়ের টুকরো এবং খেজুর পাতা ব্যবহার করে পবিত্র কাবাঘরের মেঝে ও দেয়াল ধৌত করেন তিনি। মক্কা শরিফের ইমাম আবদুল রহমান আল সুদাইস, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ওলামা, কাবাঘরের তত্ত্বাবধায়ক, ইসলামিক কূটনৈতিক কোরের সদস্য, সৌদি আরবের বিশিষ্ট নাগরিক এবং বেশ কয়েকজন প্রার্থনাকারী এ সময় গবর্নরের সঙ্গে ছিলেন।
কাবাঘর ধোয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশের আগে তাওয়াফ ও দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। কাবা শরিফ পরিষ্কার করতে গোলাপের সুগন্ধিযুক্ত জমজমের পানি মেঝেতে ঢালা হয়, তারপর খালি হাতে খেজুর পাতা দ্বারা পরিষ্কার করা হয়।
পরিষ্কার করার পর মেঝে এবং দেয়াল সাদা কাপড় এবং উন্নতমানের টিস্যু দিয়ে শুকানো হয়। কাবা শরিফ ধোয়ার সময় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা থাকে। কারণ সম্পূর্ণ কাবা ধৌত করতে দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। এ জন্য ফজরের নামাজের পর পবিত্র কাবা শরিফের দরজা উন্মুক্ত করেন প্রধান তত্ত্বাবধায়ক শেখ সালেহ বিন যাইনুল আবিদিন আল-শিবলি।
মক্কার প্রধান মসজিদ কমপ্লেক্সের ভেতরে কাবা শরিফ অবস্থিত। এটি বিশ্বের সকল মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রধান কেন্দ্র, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিদিন কাবা ঘরের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেন। প্রতিবছর লাখ লাখ মুসলমান হজ ও ওমরাহ পালনে কাবায় আসেন। পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার কাজকে অত্যন্ত বরকতময় কাজ হিসেবে মনে করা হয়। এটি একটি উৎসবও বটে। যা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অনুসরণে করা হয়। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে যখন হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নেতৃত্বে মুসলমানরা মক্কা বিজয় করেছিল তখন তিনি মহান আল্লাহর এ পবিত্র ঘরকে ধৌত করেছিলেন।
এখন কাবা শরিফ ধৌত করা হলেও জিলহজ মাসের ১০ তারিখে নতুন গিলাফ পরানো হয়। পবিত্র কাবাকে বাইতুল আতিক বা সবচেয়ে প্রাচীন ঘর বলে অভিহিত করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। আররি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিবছর দুইবার, মহররম ও শাবান মাসে, কাবা শরিফের ভেতরে ধোয়ার কাজ পরিচালিত হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button