মাদরাসা শিক্ষা বিলুপ্তির আশঙ্কা

Madrasahঅধ্যক্ষ মাওলানা আবু নছর মুহাম্মদ শামছুল ইসলাম: ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা আলীয়া মাদরাসা। এ শিক্ষা ধারা ওল্ডস্কিম মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস কারো অজানা নয়।
কলকাতা আলীয়া মাদরাসা স্থাপনের ৮৬ বছর পর উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দে ২১ মে ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে একটি ডালিম গাছের নিচে প্রতিষ্ঠা করা হয় দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসা। এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে মাওলানা মুহাম্মদ কাসিম নানৌতভি (রহ:) বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাকে স্বপ্নযোগে আদেশ দেন এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য। নবী করিম (সা.)-এর আদেশে মাওলানা মুহাম্মদ কাসিম নানৌতভির (রহ:) নেতৃত্বে কিছু ইসলাম ধর্ম তত্ত্ববিদ ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দারুল উলুম দেওবন্দের সিলেবাস ও কারিকুলাম অনুসরণ করে, এই উপমহাদেশে অসংখ্য মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামী জ্ঞান বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
ব্রিটিশ আমলের শেষ ভাগে ১৯১৪-১৫ খ্রিস্টাব্দে ওল্ডস্কিমের পাশাপাশি নিউস্কিম নামে আর একটি ধারার মাদরাসা শিক্ষা চালু হয়। এই ভূখণ্ডে এ ধারার পাঠ্যক্রমে ইসলামী শিক্ষা গ্রহণের জন্য ১০৭৪টি মাদরাসা স্থাপিত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে এ মাদরাসাগুলোকে সরকারিভাবে ঘোষণা দিয়ে বিলুপ্ত করে স্কুল ও কলেজে রূপান্তরিত করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ ঢাকার বর্তমান নজরুল কলেজ, চট্টগ্রামের মহসীন কলেজ ও রাজশাহী সরকারি হাই মাদরাসাকে স্কুল-কলেজে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আজও রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটি সরকারি মাদরাসা হিসেবে চালু আছে। মাদরাসার মাঠ আছে, মাদরাসার কার্যক্রম নেই। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ব্রিটিশ দখলদারিত্বের পূর্বে উপমহাদেশে কোন পৃথক শিক্ষাব্যবস্থা ছিলনা। ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে একটি ধারার শিক্ষাব্যবস্থা চালু ছিল। যা মাদরাসা শিক্ষা নামেই পরিচিত ছিল।
এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কারিগরী, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, সাংবাদিক, উলামা মাশায়েখ প্রভৃতি দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠতো। বর্তমান মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও সংস্কারের নামে সিলেবাসে মাত্রারিক্ত সাধারণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে সকল ধর্মের শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং মাদরাসাগুলোতে বাধ্যতামূলক ৩০ ভাগ মহিলা শিক নিয়োগের বিধান বলবৎ করা হয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিতে এ  বিধান মাদরাসা শিক্ষার আদর্শের পরিপন্থী ও অগ্রহণযোগ্য। বলাবাহুল্য ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এই ৬০০ নম্বরের বিপরীতে ইসলামিয়াত বিষয়ের নম্বর শুধুমাত্র ২০০। জুনিয়ার দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ১১০০ নম্বরের গ্রহণ করা হয়। বিপরীতে ইসলামিয়াত বিষয়ের নম্বর শুধুমাত্র ৪০০। মাধ্যমিক শাখার মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থীদের ১০০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। বিপরীতে দাখিল সাধারণ বিভাগের পরীক্ষায় ১৩০০ নম্বর ও বিজ্ঞান শাখায় ১৪০০ নম্বরের পরীা দিতে হয়। উভয় শাখায় ইসলামিয়াত বিষয়ে ৫০০ নম্বর রাখা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীকে ১৩০০ নম্বরে পরীক্ষা দিতে হয়। বিপরীতে আলিম সাধারণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ১৫০০ নম্বর এবং বিজ্ঞান শাখায় ১৭০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। এর মধ্যে যথাক্রমে সাধারণ বিভাগে ইসলামিয়াত বিষয়ে ৭০০ নম্বর এবং বিজ্ঞান বিভাগে ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের মানবিক ও বিজ্ঞান শাখায় সমমানের আলিম সাধারণ ও বিজ্ঞান বিভাগের নম্বরের যে তারতম্যের সৃষ্টি করা হয়েছে, একদিকে যেমন এটি বৈষম্যমূলক, অপর দিকে মাদরাসায় পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা “মাদরাসা শিক্ষায়” পড়ার আগ্রহ দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। ফলে মূলতঃ মাদরাসা শিক্ষার শিক্ষার্থীরা ইসলামিয়াত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, ফাজিল ও কামিল মাদরাসাসমূহ নিয়ন্ত্রণ এবং মাদরাসার পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করে। ফাজিলে বিএ/বিএসএস/বিবিএস/বিএসসি এই ৪টি বিভাগ চালু আছে। শিক্ষার্থীদের পাস কোর্সে ১৪০০ নম্বর ও অনার্স কোর্সে ১৬০০ নম্বরের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হয়। কামিল ৪ বিভাগ যথা হাদিস, তাফসির, ফিকহ্ এবং আদব বিভাগে সর্বমোট ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। এতে ইসলামিয়াত বিষয়সমূহের সিলেবাস মাত্রারিক্তভাবে সংপ্তি করা হয়েছে। যা মাদরাসা শিক্ষার মানদণ্ড হতে পারে না। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার ফলে মাদরাসায় কোনো প্রকৃত আলিম ও যোগ্য ব্যক্তি তৈরি হচ্ছে না। একশ্রেণীর মানুষের ধারণা, মাদরাসা শিক্ষায় কেবল বেহেস্ত ও দোযখ এবং জিহাদের কথা পড়ানো হয় । এটা তাদের অনুমান ভিত্তিক ধারণা। যেহেতু ইসলাম শুধু একটি বিশ্বাসের নাম নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার নাম। যে শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় উপাদান থাকে সে শিক্ষা সোনার মানুষে তৈরি করে। বিশ্বব্যাপী এটি বার বার প্রমাণিত হয়েছে। সৌদি আরবের শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ইসলামী। সেখানে ব্যাপক হারে ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী উৎপাদন হয়ে থাকে। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে যে, ইন্টারনেট ব্যবহারে সৌদি আরব এর স্থান দশম পর্যায়। ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার কারণে সৌদি আরবে ধর্ষণ, ইভটিজিং, চুরি, ডাকাতি, সুদ, ঘুষ, রাহাজানি নেই বললেই চলে। এতে প্রমাণ হয় যে, যে শিক্ষায় ধর্মীয়ব্যবস্থা আছে সে শিক্ষাব্যবস্থা সত্যিকার অর্থে সভ্য মানুষ গড়ে তোলে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে বর্তমানে যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন, তাদের অধিকাংশই মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত নন। মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের ন্যূনতম কোনো ধারণা নেই। ইতঃপূর্বে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় মাদরাসার সিলেবাস ও কারিকুলাম তৈরি করা হতো। বর্তমানে তা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে অনভিজ্ঞ ও ইসলামী শিক্ষা বিবর্জিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। এর ফলে মাদরাসা শিক্ষায় এক ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে এবং অন্ধকারের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা হাবুডুবু খাচ্ছে।
মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকগণের মধ্যে ইসলাম বিষয়ক শিক্ষকের সংখ্যা সাধারণ বিষয়ে শিক্ষকের সংখ্যার আনুপাতিক হার এক তৃতীয়াংশ ( ১ : ৩ )। অনতিবিলম্বে মাদরাসা শিক্ষায় পূর্বের ন্যায় সিলেবাস ও কারিকুলাম চালু করা না হলে এবং মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থায় ডেপুটেশনে যে সকল কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছে তাদের অপসারণ করে সে স্থানে মাদরাসা শিক্ষায় শিতি কর্মকর্তা নিয়োগ করা না হ’লে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বংস অনিবার্য। কথায় বলে ‘‘যেমন নাচাও তেমনি নাচি, আমি পুতুলের কি দোষ?” প্রাণহীন পুতুল যেমন তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে না, তেমনি ইসলামী শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ দ্বারা কারিকুলাম প্রণীত করা না হলে মাদরাসা শিক্ষার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা অসম্ভব।
মাদরাসা শিক্ষার স্বাতন্ত্র্যতা ও সক্রিয়তা চিরস্থায়ীভাবে অটুট রাখার লক্ষ্যে আমি নিম্নলিখিত সুপারিশ পেশ করছি :
(ক) দেশের সকল শিশুর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা সরকারের ও রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একথা প্রথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হলেও মাদরাসার স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদরাসা সম্পর্কে কোনোরূপ মন্তব্য করা হয়নি। বলাবাহুল্য, ইবতেদায়ী মাদরাসা সংশ্লিষ্ট সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক এবং প্রথমিক শিক্ষার সকল সুযোগ পাওয়ার সাংবিধানিক হকদার। ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে জাতীয়করণ করা, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করা, শিক সংখ্যা বাড়ানো, উপযুক্ত প্রশিণপ্রাপ্ত শিক নিয়োগ করা, ইবতেদায়ী শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার পুনর্বিন্যাস করণ।
(খ) ইবতেদায়ী শিকদের প্রশিণের ব্যাবস্থা নেই। ইবতেদায়ী মাদরাসা ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো অধিদফতর নেই। সুনির্দিষ্ট কোনো কর্তৃপ না থাকায় সঠিক তদারকির ব্যবস্থা নেই। অনতিবিলম্বে এ সবের ব্যবস্থা চালু করা।
(গ) মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়া হয়না। ইবতেদায়ী মাদরাসার কোনো সুর্নিদিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এই শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাপকভাবে তিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে মাদরাসা শিক্ষায় পরবর্তী সকল স্তরের ভিত্তি দিন দিন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। এ বৈষম্য দূর করতে হবে।
(ঘ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ন্যায় ইবতেদায়ী শিক্ষার অধিদফতর স্থাপন সম্ভব না হলে উক্ত অধিদফতরের অধীনে ইবতেদায়ী মাদরাসার জন্য একটি পৃথক সেল গঠন। ইবতেদায়ী মাদরাসার শিকের প্রশিণের জন্য প্রতিটি পিটিআইতে একটি পৃথক ইবতেদায়ী সেল গঠন করণ।
(ঙ) ময়মনসিংহের ন্যশনাল একাডেমি ফর এডুকেশন ইবতেদায়ী মাদরাসার জন্য একটি সেল গঠন এবং প্রতিটি বিএড ও এমএড প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দাখিল মাদরাসার শিকের জন্য পৃথক সেল গঠন এবং প্রতিটি দাখিল হতে কামিল পর্যন্ত মাদরাসায় গ্রন্থাগার স্থাপন, তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনা, প্রতিটি জেলা সদরে একটি করে দাখিল মাদরাসা এবং আলিম-কামিল মাদরাসা সরকারিকরণ, প্রতিটি বিভাগীয় সদরে একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মানের পাবলিক ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, সমতার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধারায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সমান সুযোগ সৃষ্টি ও পিএসসিসহ বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
(চ) দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসাসমূহে বিষয় ভিত্তিক শিক নিয়োগ এবং ছাত্রছাত্রীর আনুপাতিক হারে শাখা খোলার ব্যবস্থাকরণ, সম সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ, সাধারণ শিক্ষা অনুরূপ সকল পর্যায় সমসংখ্যক শিক্ষার্থীদের বৃত্তি/উপবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থাকরণ।
(ছ) বালিকা ও মহিলাদের জন্য পৃথক মাদরাসা অনুমোদন দিয়ে মহিলা শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থাকরণ।
(জ) জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে মাদরাসা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নের জন্য একটি আলাদা সেল গঠন এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নের ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ দ্বারা পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ।
মাদরাসার ফাজিল ও কামিলকে সরকারের অনুমোদনের পাশাপাশি সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি গ্রহণের ব্যবস্থাকরণ।
(ঝ) মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে ইসলামী বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে নিয়োগের ব্যবস্থাকরণ।
(ঞ) মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেপুটেশনে নিয়োগের ব্যবস্থাকরণ। সাধারণ শিক্ষার প্রথম শ্রেণী-স্নাতক পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলককরণ। সর্বোপরি যদি সৌদি আরবের আদলে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হয়, তা হলে দ্বিমুখী, ত্রিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে না বলে আমি মনে করি। অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে নিউস্কিম মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মতো ওল্ডস্কিম মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বিলুপ্ত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।
লেখক: সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button